বাবার এক চাচাতো ভাই নতুন বিয়া করার পর সারাক্ষন ঘরের দড়জা বন্ধ কইরা রাখতো।আমি একদিন মা কে জিজ্ঞেস করলাম,"মা,চাচা চাচী সারাক্ষন দড়জা বন্ধ কইরা রাখে কেন?' মা বললো,"তোমার চাচা-চাচীর পরীক্ষা তো তাই কেউ যাতে ডির্ষ্টাব না করে এই জন্য দড়জা বন্ধ কইরা পড়শোনা করে।"আমি জিজ্ঞেস করলাম,"দুইজনের একসাথে পরীক্ষা কি কইরা হয়?এইটা কেমন পরীক্ষা?",মা বললো,"এই পরীক্ষা দুইজনের একসাথে দেওয়া লাগে।বড় হইলে তুমি দিবা"।চাচা-চাচী কি পড়াশোনা করে জানার জন্য প্রায়ই আমি আর আমার চাচাতো ভাই চাচার ঘরের আশেপাশে ঘুরঘুর করতাম।কিন্তু দড়জা বন্ধ থাকার জন্য কিছু জানতে পারতাম না।একদিন বিকালে দুই পরিবারের সবাই উঠানে বইসা গল্প করতেছে এমন সময় ছাচাতো কানেকানে বললো,'চল এই ফাঁকে চাচার রুমে ঘুইরা আসি"।দুইজনে মিইলা চাচার রুমে গেলাম,চাচা-চাচী কি পরে দেখার জন্.কিন্তু ঐ রুমে খবরের কাগজ আর কয়েকটা মাসিক পত্ড়িকা ছাড়া আর কিছু খুইজা পাইলাম না।খুজতে খুজতে একসময় চাচার আলমারীর ড্রয়ারে একটা প্যাকের পাইলাম।চাচাতো ভাই বানান কইরা পড়লো,লেখা আছে,'রাজা কনডম"।চাচাতো ভাই আমাকে জিজ্ঞেস করলো, 'এইটা কি জিনিষ?"।আমি ঐ প্যাকেট হাতে নিয়া সোজা দাদার কাছে গিয়া কোলে বইসা জিজ্ঞেস করলাম,"দাদু কনডম কি জিনিষ" আমার এই প্রশ্ন শুইনা সবাই পুরা চুপ হয়া গেলো।একটু পর বাবা বললো,এইটা কোথায় পাইছো?,আমি উত্তর দিলাম,চাচার ঘরে"।এই কথা শুইনা সবাই কেন জানি আকাশের দিকে তাকায়া দিন-দুপুরে তারা খোজায় ব্যস্ত হয়া গেলো।একটু পর দাদী আইসা প্যাকেট টা আমার আমার হা/ত থেইকা নিয়া বললো, 'এই বড়দের খেলার জিনিষ।'।এই ঘটনার পর থেইকা চাচা-চাচী কেমন যেন ফাঁকিবাজ হয়া গেছিলো।দড়জা বন্ধ কইরা আর পড়াশোনা ঠিকমতো করতো না সারাক্ষনই উদাস হয়া উঠানে ঘুরাফিরা করতো..................
গ্রামেরবাড়ি থেইকা ঢাকায় আসার পর জানতে পারলাম আমার গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পর থেইকা নানার কালো ছাগলটা নাকি সারা উঠান জুইড়া খুশির চোটে ধেঁই ধেঁই কইরা নাইচা বেড়াতেছিলো আর চোখের সামনে যা পড়তো(ছোট মামার লুঙ্গী থেইকা শুরু কইরা রান্না ঘরে ভাতের পাতিল) সবই গলধকরনের চেষ্টা করছিলো।একদিন নাকি মেঝো খালু সকালে উঠানে দাড়ায়া দাড়ায়া দাত মাজতে ছিলো এইসময় কালো ছাগলটা নাকি তার লুঙ্গী ধইরা টান মাইরা সবার সামনে বেইজ্জ্বত করছিলো।এইসব অভিযোগ শুইনা ছাগলটারে জব্দ করার উপায় খুজতে লাগলাম।একদিন দুপুরে বারান্দায় বইসা নানীর পান খাওয়া দেখতে ছিলাম।এমন সময় মাথায় প্রশ্ন জাগলো ছাগল যদি পান খায় তাইলে ওদেরও কি ঠোট লাল হবে?এইসব চিন্তা কইরা নানী ঘরে চইলা গেলে পানের বাটা থেইকা একটা পান নিয়া খিলি বানায়া তার মধ্যে হাকিমপুরী জর্দার ডিব্বা পুরাটা ঢাইলা দিলাম।আমার হাতে পান দেইখা ছাগলটা ড্যাবড্যাব কইরা তাকায়া আছিলো।আমি পানটা সামনে ধরতেই মুখের মধ্যে নিয়া দুই চাবান দিয়ে কোৎ কইরা গিলা ফালাইলো।একটু পর জর্দার প্রভাবে নাকমুখ দিয়া দোয়া বাইর করতে করতে সারা উঠানে ব্যা ব্যা কইরা দাপাদাপি করতে লাগলো।উঠানের এককোনে নানার সাদা ছাগলটা চুপচাপ দাড়ায় ঝিমাইতে ছিলো।কালো ছাগলটা দাতমুখ খিঁচায়া তেইড়া আইসা সাদা ছাগলটার পাছায় রাম কামড় বসায় দিলো।কামড় খায়া সাদা ছাগলটা সামনে ফিরা দুই পা উঁচা কইরা কালোছাগলের মাথার মাঝ বরাবর ক্ষুর দিয়া একটা গাট্টা বসায় দিলো।গাট্টা খায়া কালো ছাগলটা জিব আধহাত বাইর কইরা উঠানে মুখ থুবড়ায়া পড়লো।এর আগে মানুষরে জ্ঞ্যান হারাইতে দেখছি।কিন্তু ছাগলও যে জ্ঞ্যান হারাইতে পারে ঐবারই প্রথম দেখলাম।এই ঘটনার কয়েকদিন পর কালো ছাগলটা লজ্জ্বা লজ্জ্বা মুখ কইরা সাদাটার সাথে ভাব করতে আসলেও।সাদা ছাগলটা কালো ছাগলটারে দেখা মাত্রই দুই পা উঁচা কইরা গাট্টা মারার জন্য রেডী হয়া থাকতো.........................
ক্লাশ নাইনে উঠার পর এক স্যারের কাছে ব্যাচে পড়তাম।ঐ ব্যাচে আমাদের সাথে কয়েকটা মেয়েও পড়তো।এদের মধ্যে একজনের সাথে খুব ভাব হয়া গেছিলো।একদিন স্যারের বাসার সামনে গিয়ে দেখি ঐ মেয়ে একা একা দাড়ায় আছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম," দাড়ায় আছো কেন?" মেয়ে কইলো, "আজকে ক্লাশ করবো না"।আমি বললাম,"তাইলে কি করবা",মেয়ে কইলো,"চলো ঘুরতে যাই"। পকেটের অবস্থা চিন্তা কইরা প্রথমে একটু গাঁইগুই করলেও মেয়ের সমগ্র বাংলাদেশে পাঁচটন ট্রাকের হেডলাইটের মতো বড়বড় ভাসাভাসা অক্ষিযুগলের দিকে তাকায়া সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হইলাম।একটা রিক্সা নিয়া ধানমন্ডির ভিতর ঘন্টাখানেক ঘুরাঘুরির পর ৮নং পার্কে গিয়া বইসা গল্প করতে লাগলাম।একটু পর দেখি মেয়ে কেমন জানি উদাস হয়া আকাশের দিকে তাকায় আছে।আমি জিজ্ঞেস করলাম,"কি হইছে?" প্রশ্ন শুইনা মেয়ে দেখি আরও উদাস হয়া আকাশ দেখা শুরু করলো।আমি আবার জিজ্ঞেস করলাম, 'কি হইছে বলবা তো!!!' মেয়ে উত্তর দিলো,'কিছু হয় নাই'।আমি কইলাম, 'তাইলে চুপ কইরা আছো কেন?মন খারাপ?"মেয়ে কইলো,'না'......"তাইলে কি পেট ব্যাথা করতেছে?"।মেয়ে চোখ পাকায়া উত্তর দিলো,পেট ব্যাথা করবে কেন? আমার কি পেট খারাপ নাকি?।একটু পর উশখুশ করতে করতে মেয়ে কইলো,"ক্ষুদা লাগছে"।আমি কইলাম কি খাবা?।মেয়ে কয়,"জানি না?।আমি বললাম,ফুচকা খাবা?.....না........ঝালমুড়ি খাবা?......ঝালমুড়ি খাবো কেন?জানো না আমার গ্যাস্ট্রিক আছে?.....আইসক্রীম?.......ঠান্ডা লাগবে........তাইলে একটা কোক খাও..........কোক খায়া কি পেট ভরবে নাকি?.......আমি এবার কইলাম,"তাইলে আমারে খাও........।মেয়ে উত্তর দিলো তোমার শরীরে তো হাড্ডি ছাড়া কিছুই নাই।তোমারে খায়া কোন লাভ নাই......এতো হাদুমপাদুম শুইনা আমার গেলো মেজাজ খারাপ হয়া......আমি এবার কইলাম,"তাইলে একটা পাদ দেই,পাদ খাও.......একথা শুইনা মেয়ে বড়বড় চোখ কইরা আমার দিকে তাকায়া থাকতে থাকতে কান্ধে ঝুলানো ব্যাগ দিয়া আমার নাক বরাবর সোজা একটা বাড়ি মারলো..........এরপর একটা রিক্সা ডাইকা চইলা গেলো......এরপর যতদিন স্যারের কাছে পড়ছি ঐ মেয়ে আমার সাথে কথা কয় নাই........
মেয়েটা খুব সুন্দর আছিলো..............
চলবে...................
আমার বান্দরবেলা......১
আমার বান্দরবেলা.......২
আমার বান্দরবেলা........৩
আমার বান্দরবেলা........৪
আমার বান্দরবেলা........৫
আমার বান্দরবেলা........৬
আমার বান্দরবেলা.............৭
আমার বান্দরবেলা............৮
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০০৯ সন্ধ্যা ৬:৩৫