ওহাবী কারা? সাধারণত ইসলামের দুষমন ও আল্লাহর শত্রুদের ওহাবী বলা হয়। চট্টগ্রামের ভাষায় বলা হয় ওয়াবি।ওয়াবি ২ প্রকার। ১: জামায়াত শিবির ২: হেফাজত/ তাবলীগ। সাধারণত প্রকৃত ইসলাম না মেনে কোরান ও হাদীসকে নিজেদের মত অনুবাদ করে মন গড়া ভিত্তিহীন আজগুবি বানোয়াট কিচ্ছা কাহিনী বানিয়ে ইসলামকে হাস্যকর করাই এদের কাজ। ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন বিধান।ইসলাম কখনোই সাম্প্রদায়িকতার কথা বলেনা, ইসলামে মিথ্যচার, গীবত, হিংসা, বিদ্বেষ, নিন্দা নিকৃষ্টতর পাপ হিসেবে গন্য হয়। খেয়াল করলে দেখবেন জামায়াত শিবির ও হেফাজত তাবলীগ এর অপর নাম সাম্প্রদায়িক, মিথ্যাবাদী, হিংসুক, নিন্দুক, গীবতকারী, ফেতনাবাজ ও ফ্যাসাদ সৃষ্টি করে জনমানুষের সুন্দর শান্ত জীবনকে অস্থির ও অশান্ত করে তুলা। মসজিদের ভেতর বোমা মেরে মুসল্লি হত্যা করতে, জঙ্গি হামলা করে মানুষ মারতে, দেশের সম্পদ নষ্ট করতে, ভারত ও মায়ানমার এর প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করার নামে হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মের প্রতি অত্যন্ত নিখুঁত ভাবে বিদ্বেষ সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে, বাংলাদেশের ভালো সহ্য করতে না পারার ক্ষেত্রে, যারা বিএনপি জামাত ও হেফাজত না তাদের নোংরা এট্যাক করতেএদের জুড়ি নেই। চিন্তা করুন আল্লাহ কেন এদের থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে গার্বেজে নিক্ষেপ করেছেন। যারা জামায়াত শিবির ও ওহাবী নয় তাদের সকলকে আল্লাহর দুষমন ও নাস্তিক বলে ফতুয়া দিয়ে ইসলাম বিরোধী হিসেবে পরিচয় করে দেয়ার ক্ষেত্রে এরা অত্যন্ত পারদর্শী। এই ব্লগের কয়েকজন মৌলবাদী জঙ্গি মানসিকতার কথিত ব্লগারকে ভারত বিদ্বেষ এর নামে হিন্দু বিদ্বেষ করতে প্রায় প্রতিদিন দেখা যায়। এরা কলকাতার মুসলিম দাদাকে চুমা দেয় হিন্দুদের ব্লগ থেকে বের করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করে, এদের সাথে জড়িত কয়েকজন প্রগতিশীলতার ভেক ধরা ব্লগার। যদিও তারা নিজেদের প্রগতিশীল হিসেবে উপস্থাপন করে, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ও মুক্তমনা দাবী করে, তবুও এদেরকে বাংলাদেশ, বাঙালি ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি, বাংলা ভাষা, মিলাদুন্নবী, মহররম, পহেলা বৈশাখ এর বিরুদ্ধে যারা অবস্থান গ্রহণ করে তাদের প্রতি পরোক্ষ সমর্থন দিতে দেখা যায়। তাদের সাথে কুলাকুলি করতে দেখা যায়। এমনকি তাদের উস্কে ও মদদ দিতে দেখা যায়।আরও আশ্চর্যজনক এদের বিরুদ্ধে কেউ লিখলে তাদের সাথে জোট বদ্ধ হয়ে যিনি লিখেন তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে দেখা যায়।এরা আসলে ছুপা মুখোশধারী।এদের থেকে হুঁশিয়ার।
যাই হোক, মহররম বাঙালী মুসলমানদের ঐতিহ্য। মহরম এর ৫ ও ১০ তারিখ সাধারণ মুসলিমরা ভালো কিছু রান্না করে গরীব এতিম, মিসকিন, অসাহায় দের খাবার বিতরণ করেন, রাসুল স: এর প্রিয় নাতীদের জন্য দোয়া করেন, কারবালার করুন ইতিহাসের জন্য শোকাহত হন। একটি রেলি হয়। সেখানে ধর্মপ্রাণ কিছু মুসলিম নিজেকে রক্তাক্ত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য হায় হোসাইন হায় হোসাইন বলার অপরাধে তাদের নাস্তিক, কাফের বলে ঘোষণা দেয় জামায়াত হেফাজত। অথচ এরা নিজেরাই আল্লাহর কোরানের নির্দেশ অমান্য করে প্রতি মুহুর্তে মিথ্যা হিংসা গীবত পরনিন্দা পরচর্চা খুন ধর্ষণ বোমাবাজি ইত্যাদি করে থাকে।
এদের বৈশাখে সমস্যা, ঈদে সমস্যা, মহররমে সমস্যা, অসাম্প্রদায়িকতায় সমস্যা, ধর্ম নিরপেক্ষতায় সমস্যা, ওয়াবি ছাড়া অন্য সব মুসলিম নিয়ে সমস্যা, গানে সমস্যা, ছবি তুলা ও আঁকায় সমস্যা, খেলাধুলায় সমস্যা, বই মেলায় সমস্যা, নাটক সিনেমায় সমস্যা, ভাষায় সমস্যা। মোটাদাগে যা কিছু সুন্দর ও কিউট সবকিছুতেই সমস্য আর সমস্যা। প্রতিবছর মহররম, মিলাদুন্নবী, ১ লা বৈশাখ, ঈদ, কোরবানী, পূজা আসলেই এরা ভাদ্র মাসের কুকুর হয়ে যায়।
আসুন এদের এড়িয়ে চলে একটি অসাম্প্রদায়িক, অহিংসুক, স্বনির্ভর, সুশিক্ষিত স্মার্ট ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে দাঁড়াই।
জয় বাংলা
জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুলাই, ২০২৪ রাত ৯:০৬