আমি বিনোদন জগতের যে কয়েকজনকে খুব ভালোবাসি ও সম্মান করি তাদের মধ্যে একজনের নাম তানভীন সুইটি। নাম যেমন সুইটি - হাসি ব্যক্যিত্ব কথা ব্যবহার এটিচুড মেনারস সবকিছুই সুইট। অভিনেতা অভিনেত্রীদের মধ্য থেকে বাংলাদেশ আওয়ামিলীগ এর রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া যে কজন খ্যাতি অর্জন করেছেন তাদের মধ্যে তিনি অসাধারণ। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধিকাংশ মন্ত্রণালয় তাঁকে সম্মানের সাথে রেসপন্স করে ও ট্রিট করে। এই মেয়ে ভবিষ্যতে মন্ত্রী না হলেও এমপি হওয়ার যথেষ্ট যোগ্যতা সম্পন্ন।।শিক্ষায় মেধায় মননে ব্যক্তিত্বে মিষ্টভাষী সুইটি সত্যি অনন্যা।
যা অনেকে সহজে বলতে পারেন না কেউ মনঃফুত হবে বলে তিনি তা নির্ভয়ে লিখেন বলেন। আওয়ামীলীগ এর রাজনীতিতে যুক্ত হলেও অন্যান্য দলের কাউকে কোনিদিন হেয় করেন নি। সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে কারও সাথে পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করেনি। সুইটি আজ যা লিখেছেন তা দেশের অধিকাংশ মানুষের মনের কথা। যা পোস্টে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কিছু মানুষ নিজেকে পরিচিত করার জন্য এতো জঘন্য ও বিশ্রী ভাবে ভাইরাল হওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেছে যে দেখে মনে হয় জনপ্রিয় হওয়ার জন্য একটু ভাইরাল হলেই হইল। কেউ সিনেমা বানাচ্ছেন তা ভাইরাল করার জন্য মরিয়া অথচ আমরা যখন ছাত্র জীবনে 'চড়ুই ভাতি' বা 'শ্রাবণ মেঘের দিন' হলে দেখতে যেতাম তখন ভাইরাল এর দরকার পড়তো না কোন কিছুর। দেশের মানুষ নিজ দায়িত্বে কোয়ালিটি খুঁজে নিতো।জয়া আহসান - নুসরাত ফারিয়া থেকে শুরু করে গতরাতে জন্ম নেয়া অভিনেত্রী, কবি কিংবা লেখক, গল্প কিংবা উপন্যাস সব কিছুকে ভাইরাল করানোর কি হাস্যকর প্রচেষ্টা। ব্যাচেলর পয়েন্ট ও ৯৯% বাংলা নাটক ও মুভি পুরাই ম্যাওপ্যাও। অথচ এক একটা নাটকের ভিউ কোটি ছড়িয়ে যায়। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত "মেড ইন চিটাগাং " টিম বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে "ফেট ফুরেদ্দে তোয়ারলাই" গানটি পুরা চট্টগ্রাম শহরের আনাছে কানাছে, সকলের ফেবু - ইনস্টা হোম পেজে বেজেই চলেছে।জনপ্রিয়তা পেয়েছে ভাইরাল হওয়ার মাধ্যমে। চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় নির্মিত নাটক গুলো অধিকাংশই বস্তা পচা।চাটগাঁইয়া অপর্না ঘোষ, নাবিলার মতো মারাত্মক সুইট একটি মেয়ে, পার্থ বড়ুয়া ও চিত্রলেখা গুহ এর মতো কিংবদন্তী এসব ফোর্থ ক্লাস নাটকে অভিনয় করছেন। আর সেগুলো হু হু করে ভিউ পাচ্ছে অথচ অনেক কোয়ালিটিফুল নাটক/গান/টেলিফিল্ম অতো ভিউ পায়না।
এই জন্যই জনপ্রিয় অভিনেতা ইফতেখার দিনার কিছুদিন আগে একটা এওয়ার্ড পেয়ে বলেছিলেন - "এই এওয়ার্ডটি সেসব শিল্পীদের উৎসর্গ করা হলো যাদের ভিউ কম "।
সুইটি ফেসবুকে লিখেছেন - "মানুষ এখন ভাইরাল হওয়ার জন্য “হা” করে থাকে। আচ্ছা আপনাদের কি পরিবারের কথা একবারও মনে হয় না। বাবা,মা,ভাই,বোন,আত্নীয়স্বজন,বন্ধু,পাড়াপ্রতিবেশী,সমাজের মানুষের কথা একবারও ভাবেন না।সবাই অস্থির হয়ে গেছে,কি করবে না করবে কুল কিনারা পাচ্ছে না।ভাইরাল হয়ে নিজেকে চিনাতে হবে সবার কাছে,কি জঘন্য এদের চিন্তাধারা।নিজের অস্তিত্ব নষ্ট করে ফেলছে।আপনাকে নিয়ে কেন কথা বলবে সবাই। একদল মানুষ আরো উৎসাহ দিতে থাকে চালিয়ে যাও,আমরা আছি তোমার পাশে।
আমাদের শিল্পীদের সচেতন হওয়া খুবই জরুরী,কার সাথে কাজ করছি সেটাও দেখার দরকার।ভাইরাল হয়ে যদি কেউ তার পরিচয় পেতে চায়,তাহলে আমরা যখন বুঝতেই পারছি সেই বিষয় নিয়ে আর কথা না বলাই ভালো।নিজের সন্মান নিজেকেই রাখতে হবে॥
সবাই ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন॥ "
ভাইরাল হয়ে সস্তা পাবলিসিটি পাওয়া যায়। কিন্তু কখনো সম্মান জনপ্রিয়তা ও ভালোবাসা পাওয়া যায়না। কিংবদন্তি হতে মেধা লাগে। যাদের মগজ নেই তারাই মূলত ভাইরাল হওয়ার জন্য সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে গুলোতে হাউকাউ করে।
২০২১ এ সুইটি আমার দাওয়াতে একটা শোতে এটেন্ড করতে চট্টগ্রাম এসেছিল। বিনয় ভদ্রতায় পরিপূর্ণ অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী তানভীন সুইটি।বাংলাদেশ আওয়ামী থেকে চোর ডাকাত বাটপার প্রতারক দূর্নীতিবাজ, ঘুষখোর দের বের করে দিয়ে তানভীন দের অগ্রাধিকার দেয়ার জোর দাবী জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০২২ রাত ১:১৮