somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ধর্মীয় আগ্রাসন কি খ্রিস্টানরাই শুরু করেছিল?

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৪২০ সালে আধুনিক ইরাকের দক্ষিণের এক পার্সিয়ান প্রদেশ খুজিস্তানের (Khuzistankhujistan) এক পারসিক মন্দিরে এক খ্রিস্টান ধর্মীয় নেতা আগুন ধরিয়ে দেয়। ধারণা করা হয় ওই চরমপন্থী নেতাকে ঘটনাস্থলেই নিরাপত্তা কর্মীরা মেরে ফেলে। যদিও ততক্ষণে যা হওয়ার তা হয়ে গেছে। এই আত্মঘাতী হামলার পেছনে প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তৎকালীন পার্সিয়ান সাম্রাজ্যের প্রধান ধর্ম, Zoroastrianism কে একটি বড় রকমের আঘাত প্রদান করা। আরেক খ্রিস্টান যাজক আব্দাস সেই হামলায় সামিল ছিল, কিন্তু ঘটনার পর আত্মহত্যা করতে সে ব্যর্থ হয়। রক্ষীরা তাকে গ্রেপ্তার করে তৎকালীন শাসক ইয়াজদেগার্দের সামনে নিয়ে আসে। এই ইয়াজদেগার্দ বিগত ২০ বছর ধরে খ্রিস্টানদের প্রশ্রয় দিয়ে আসতেন। কিন্তু এই ঘটনার পর তার মানসিকতা পরিবর্তিত হয়। তিনি আব্দাস ও তার অনুসারীদের নির্দেশ দেন পোড়ানো মন্দির আবার নির্মাণ করার। তবে আব্দাস ও তার অনুসারীরা ইয়াজদেগার্দের মত পরিবর্তনে সমর্থ হয়। তারা শাসককে এটা বোঝাতে পারে যে খ্রিস্টানদের পারস্যের সমাজ ব্যবস্থায় দখলদারিত্ব চালানোর কোন ইচ্ছা নেই। কিন্তু তারা ওই শাসকের উদার নীতিমালার ফায়দা ক্রমাগত লুটতে থাকে।
ক্রিস্টোফার কেলি তার বই ‘Attila The Hun - Barbarian Terror And The Fall Of The Roman Empire" এ এমনটাই উল্লেখ করেছেন।
ইয়াজদেগার্দ পারস্যের ত্রয়োদশ অধিপতি ছিলেন, যার শাসনকাল ছিল ৩৯৯ খ্রি থেকে ৪২১ খ্রি পর্যন্ত। তার শাসনকাল তেমন ঘটনাবহুল ছিল না। তাকে মোটামুটি শান্তিপ্রিয়ই ধরা হত। তিনি রোমানদের সাথেও ভাল সম্পর্ক রাখতে চাইতেন। নিজের শাসনকালের প্রথনদিকে তিনি খ্রিস্টানদের প্রশ্রয় দিয়ে আসতেন। কিন্তু যখন তিনি তাদের দুরভিসন্ধি বুঝতে পারেন ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছিল। এভাবেই পারস্যে খ্রিস্টানরা তাদের দখলদারিত্ব শুরু করে ক্রুসেডের মাধ্যমে।
ধর্মীয় সাম্রাজ্যবাদ বলতে যা বোঝায় খ্রিস্টানরা এখানে সেটাই করেছিল। এরপর খ্রিস্টধর্ম প্রচার পায় আরও বৃহৎ পরিসরে। এরপর ২ শতাব্দী পর মুহম্মদের মাধ্যমে ইসলামের জন্ম হয়। এবং এই ইসলামের প্রসারে নবী ও তার অনুসারীরা এই ক্রুসেডের মতই আরেকটি নীতি অনুসরন করে যাকে আমরা বলি জিহাদ। জিহাদ ও ক্রুসেড উভয়কেই বাংলায় বলা হয় ধর্মযুদ্ধ। কাজেই ধর্মের নামে সন্ত্রাসবাদ বলা হয় খ্রিস্টানরাই শুরু করেছিল। এর আগে ইহুদিরা বা আর্যরা তাদের ধর্ম প্রচারে অস্ত্র ব্যবহার করলেও এই ক্রুসেড বা জিহাদের মত এত পরিকল্পিত ও সংগঠিতভাবে আক্রমণ চালানোর মত সৃজনশীলতা তাদের মধ্যে ছিল না। কাজেই বলা যায় ধর্মীয় উন্মাদনা ও আগ্রাসন খ্রিস্টানদের মাধ্যমেই শুরু হয়। যা আজও অব্যহত আছে। তবে এখন মূলত এটা জিহাদের আধুনিক প্রয়োগের মাধ্যমেই টিকে আছে।
(আরো দেখতে পারেন, http://beinghuman.blogs.fi/http://thelittlebook.blogs.fi/ )
৬টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×