ব্লগে অন্যান্য সাধারণ কৌতুকের তুলনায় ১৮+ কৌতুক বেশি জনপ্রিয়। এটা আমি নেগেটিভ সেন্সে বলছি না। নতুন তো। আপনারাই জানান এই পোস্ট ১৮+ রেট করা উচিত কিনা।
আপাতত এগুলো পড়ুন। ভালো লাগলে পড়ে আরও দেব। আর ভাল না লাগলে কৌতুকের নম্বর উল্লেখ করে জানিয়ে দিয়েন।
১.
এক ব্যাক্তি ঐশ্বরিয়ার অনেক বড় ভক্ত। ঐশ্বরিয়াকে পাওয়ার আশায় এক দীর্ঘ সাধনা শেষে একদিন সে ঈশ্বরের কাছে গেল। এবং প্রার্থনা করল,
ভক্তঃ হে ঈশ্বর, হে পরম করুণাময়, হে সর্বশক্তিমান, হে সবজান্তা, হে ...
ঈশ্বরঃ হয়েছে হয়েছে। এক কথা বার বার শুনিয়ে কানটারে আর পচাইস না। কি বলবি বল।
ভক্তঃ আপনার অজানা কিছুই নেই। আমার একটিই প্রার্থনা, আমাকে আপনি ঐশ্বরিয়ার সাথে বিয়ে করিয়ে দিন।
ঈশ্বরঃ ওর একটা শাড়ির দামই হবে কয়েক লাখ টাকার। কি করে চালাবি?
ভক্তঃ (অনেক ভেবে)হুজুর, আপনিই যদি কোন পরামর্শ দেন
ঈশ্বরঃ কেন, মল্লিকা শেরাওয়াত আছে না।
২.
বলিউডের চ্যানেলগুলোতে এখন রাবণ নামক ছবির ট্রেলার দেখাচ্ছে। যেটা নাকি আধুনিক রামায়নের প্রতিচ্ছবি। যা হোক মনে করুন মহাভারতেরও চিত্রায়ন করা হচ্ছে। দুঃশাসন চরিত্রে আছেন আমাদের স্বনামধন্য এমরান হাশমি। আর দ্রৌপদীর চরিত্রে আছেন সেই মল্লিকা শেরাওয়াত। এখন,
ডিরেক্টরঃ light, camera, action এমরান, দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণ কর।
এমরান হাশমিঃ ইনি তো আছেনই সংক্ষিপ্ততম পোশাকে। আমি আর এর কি হরণ করব?
৩.
প্রশ্নঃ বলুন তো, মাইকেল জ্যাকসন এবং একটা পলিথিন ব্যাগের মধ্যে মিল কোথায়?
উত্তরঃ দুটো মিল আছে। এক, দুটিই প্লাস্টিকের তৈরি। দুই, উভয়কেই শিশুদের থেকে দূরে রাখতে হয়।
(মৃত মানুষকে নিয়ে ব্যঙ্গ করার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি)
৪.
এক আমেরিকান, এক জাপানিজ ও এক বাংলাদেশিকে বলা হল তাদের একটা ঘরে ২বছর আটকে রাখা হবে। তবে এই ২বছর তারা নিজেদের বিনোদনের জন্য যা ইচ্ছা তাই নিতে পারবে।
প্রথমে, ওই আমেরিকান লোকটি বলল, “আমাকে ৪-৫টা সুন্দরী ব্লোন্ড মেয়েকে দাও। আর কিছু দরকার নাই”
জাপানিজ ভদ্রলোক চাইলেন একটি বইএর লাইব্রেরি। আর আমাদের বাংলাদেশি ভদ্রলোকের চাহিদা অবশ্য খুবই কম। তিনি জানালেন তাকে দুইবস্তা আকিজ বিড়ি দিলেই তিনি খুশি।
২ বছর পর . . .
১ম ঘরের দরজা খোলার পর আমেরিকান ভদ্রলোক সুন্দরীদের সাথে বেশ কিছু বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে হাসি মুখে বেড়িয়ে এলেন। ২য় দরজা খোলার পর জাপানিজ ভদ্রলোক বিষন্ন মুখে জানালেন তিনি আর কয়েকদিন সময় পেলেই তার লাইব্রেরির সব বই শেষ করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু ...
এবার ৩য় অর্থাৎ আমাদের বাঙ্গালি ভাইয়ের দরজা খোলা হল। কিন্তু একি! দুই বস্তা আকিজ বিড়ি যেমন ছিল তেমনই আছে। আর ভদ্রলোক রক্তচক্ষু নিয়ে তাকিয়ে আছেন। বললেন,
“ওই শালা, আগুন দিস নাই কেন”।
৫.
এক ব্যাক্তি তার মৃত্যুশয্যায় শায়িত। তিনি তার ধর্মযাজক এবং আইনজীবিকে ডেকে দুজনকে তার বিছানার দুইপাশে দাঁড়াতে বললেন।
এভাবে অনেকক্ষণ থাকার পর নীরবতা ভেঙ্গে ফাদার তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘কি ব্যাপার বল। কেন তুমি আমাদের ডেকে এনেছ?’
ওই ব্যাক্তি জানালেন, ‘কারণ, আমি বাইবেলে পড়েছিলাম, জেসাস নাকি দুজন চোরের মাঝখানে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। এবং আমিও সেভাবেই মরতে চাই’।