somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অশ্লীলতার সংজ্ঞা!!

২০ শে মে, ২০১০ রাত ১:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমাদের সমাজে বহুল প্রচলিত কিছু শব্দ বা শব্দমালা আছে, যা ব্যবহৃত হয় কোন বিষয়কে বিশেষায়িত করতে। কিন্তু এই শব্দ বা শব্দমালাগুলো কখন কি অর্থে ব্যবহৃত হয় তা বোঝা বড়ই কঠিন। আপনারাই দেখুন, অশ্লীল বা অসামাজিক, আপত্তিকর এই ধরণের বিশেষন যখন কোন ব্যাক্তি বা তার কোন কাজের (যেমন, চিত্র, গল্প, কবিতা, ছবি ইত্যাদি) আগে বসিয়ে দেয়া হয় তখন ওই ব্যাক্তি কিরকম বিব্রতকর ও অপ্রস্তুত অবস্থায় পড়ে তা বলাই বাহুল্য। আমি নিজেও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রজেক্টে কিছু নতুনত্ব আনতে গিয়ে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই
একই কাজ অনেকের কাছে অত্যন্ত প্রশংসিত হয়, আবার অনেকে মন্তব্য করে অশ্লীল, আপত্তিকর . . . । স্লাইড প্রেজেন্টেশনে আমার এক বন্ধু একবার ছবি দিয়েছিল যে, এক দম্পতি সোফায় হাত ধরে বসে হাস্যজ্বল মুখে সিনেমা দেখছে। ছবিটি প্রাসঙ্গিক ছিল। প্রেজেন্টেশনটি ছিলই কয়েকটি মুভি রেন্টাল কোম্পানির উপরে, আর তেমনি এক কোম্পানির বিজ্ঞাপন ছিল ছবিটি। আমার বন্ধুর ভাষায় “স্লাইডটি আসার পরই দেখলাম সমস্ত ক্লাসজুড়ে ফিসফিসানি শুরু হয়ে গেছে, অনেকে মুচকি দিয়ে আর মেয়েরা মুখ টিপে হাসছে। গ্রুপের অন্য মেয়েরা বলতে লাগলো, ‘ এটা কি দিয়েছো? স্যার তো .. দিবে’। স্যার অবশ্য ওভারঅল স্লাইডের প্রশংসাই করেছিল। এরপর ক্লাসের অন্যান্যদের মন্তব্য জানতে চাইলে বেশিরভাগই প্রশংসা করলেও অনেকে সেই শব্দগুলোই (অশ্লীল, আপত্তিকর) উচ্চারণ করে। যদিও কেন অশ্লীল, আপত্তিকর বলা হচ্ছে জানতে চাইলে অবশ্য আর কিছু বলে না। আমার বিব্রতবোধও আর কমে না”।

কোন ছবি কার কাছে অশ্লীল বলে বিবেচিত হবে তার কোন ঠিক নেই। কারণ অশ্লীলতার যে কোন সংজ্ঞাই নেই। আর এর ফলে একটা ছোট বিষয়ের ভূল বোঝাবুঝি অনেক বড় আকার ধারণ করে। মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী তার ‘ফার্স্ট ডেট’ নাটকটিতে আধুনিক কালের তথা প্রাইভেট ভার্সিটি পড়ুয়াদের প্রেমের আধুনিক স্টাইলটিকে বেশ স্পষ্টভাবেই তুলে ধরেছিলেন। কিন্তু এতেও দেশের একশ্রেণীর মানুষের কি কারণে যে গাত্রদাহ শুরু হয়েছিল তা উনারাই বলতে পারবেন। প্রথম আলোর ‘আনন্দ’র এক সংখ্যায় এক লেখক ওই নাটকটিকে বলেছিল, ‘এক বিকৃত রুচির যুবককে নিয়ে রচিত একটি বিতর্কিত নাটক’। ওই যুবক যদি বিকৃত রুচির হয় তবে তো বলতে হয় দেশের প্রাইভেট ভার্সিটির সমগ্র বর্তমান প্রজন্মই বিকৃত রুচির।

আমি নিজেও হয়তো এসব শব্দের ভুল প্রয়োগ কখনোও কখনোও করে ফেলি। (এবং ফলও ভোগ করি)। কিন্তু কি করব? অশ্লীলতার সংজ্ঞাই যে আমার জানা নেই। নিজে তৈরি করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। তাই আপনাদের নিকট অনুরোধ, কারও যদি অশ্লীলতার সংজ্ঞা জানা থাকে, বা কেউ যদি নিজে তৈরি করতে সমর্থ হন তবে তা আমাদের জানান।
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আরো একটি সফলতা যুক্ত হোলো আধা নোবেল জয়ীর একাউন্টে‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪০



সেদিন প্রথম আলো-র সম্পাদক বলেছিলেন—
“আজ শেখ হাসিনা পালিয়েছে, প্রথম আলো এখনো আছে।”

একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আজ আমি পাল্টা প্রশ্ন রাখতে চাই—
প্রথম আলোর সম্পাদক সাহেব, আপনারা কি সত্যিই আছেন?

যেদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

লিখেছেন নতুন নকিব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১১

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ নয়, আমরা শান্তি চাই

ছবি এআই জেনারেটেড

হামলা ভাংচুর অগ্নিসংযোগ প্রতিবাদের ভাষা নয় কখনোই
আমরা এসব আর দেখতে চাই না কোনভাবেই

আততায়ীর বুলেট কেড়ে নিয়েছে আমাদের হাদিকে
হাদিকে ফিরে পাব না... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×