৩ দিন পর চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফাইনাল। তারপর জুনে ট্রান্সফার উইনডো খুলবে। বিশ্বকাপের আগেই ইউরোপের ক্লাবগুলো মাঠের বাইরের এই লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে। এরমধ্যে হয়তো অনেক লেনদেন হয়েও গেছে। তারপরও এবার নিম্নোক্ত খেলোয়াররা ইউরোপের বিভিন্ন ক্লাবের টার্গেট হয়ে আছে। তবে হ্যাঁ, এটা বিশ্বকাপের আগে। বিশ্বকাপের পরে সব হিসাব-নিকাশই উলটে যাবে।
আ্যঞ্জেল ডি মারিয়াঃ বেনফিকাকে এবার পর্তুগীজ লীগ জেতাতে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার। আর্জেন্টিনার দুঃস্বপ্নময় বাছাইপর্বের শেষের দুই ম্যাচেও বেশ ভালো খেলেছেন। যদিও ইউরোপীয়ান জায়ান্টদের চোখে আছেন ২০০৮ অলিম্পিকে সোনা জেতার সময় থেকেই। তিন ইংলিশ জায়ান্ট চেলসি, ম্যানইউ, আর্সেনাল তো আছেই, এখন রিয়ালের চোখেও তিনি টার্গেট হয়ে আছেন। বেনফিকা ৪০ মিলিয়ন পাউন্ড দান আগেই হাঁকিয়ে রেখেছে। এখ কতদামে কোন ক্লাবে যাবেন তা সময়ের ব্যাপার।
নেইমার ডি সিলভাঃ স্যান্টসে খেলা এই ব্রাজিলিয়ান ‘নতুন পেলে’কে ব্রাজিলিয়ান মেসি বলা হচ্ছে। এই মৌসুমে গোল করেছেন ২৫ টি। বিশ্বকাপে তাকে নেওয়ার জন্য চিল্লাচিল্লিও বেশ হয়েছিল। বিশ্বকাপে জায়গা না পেলেও ইউরোপীয়ান পাওয়ারহাউসদের নজর অবশ্য ঠিকই কেড়েছেন এই টিন এজ স্ট্রাইকার। তবে আমি মনে করি তার এখনই ইউরোপে যাওয়াটা ঠিক হবে না। আরো তো সময় আছে।
ডেভিড ভিয়াঃ প্রতি সিজনেই শোনা যায় ভ্যালেন্সিয়ায় এটাই ভিয়ার তবে গত বছর ভিয়া যখন নিজেই ইংল্যান্ডে কথা বললেন তাতে এবার মনে হয় সত্যিই এটা শেষ সিজন। তবে ইংল্যান্ডে নয়, ভিয়া সম্ভবত বার্সাতেই আসছেন।
ডেভিড সিলভাঃ ভিয়ার মতো ডেভিড সিলভার সম্পর্কেও একই কথা প্রতিবার শোনা যায়। নিত্যনতুন অফার নিয়ে ক্লাবমালিকরা এলেও কখনও আলোচনা বেশিদুর আগায় নি। তবে এবার হয়তো অন্যরকম কিছু ঘটতে পারে।
হুগো লরিসঃ ফ্রান্সকে বিশ্বকাপে তুলে দেয়ায় অঁরির হাত বেশ আলোচিত হয়েছে। তবে অঁরির থেকেও গুরুত্বপূর্ন ছিল গোলরক্ষক হুগ লরিসের। লিওঁকে ইতিহাসে ১ম বারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লীগএর সেমিতে তুলে আনার পেছনে অসামান্য অবদান রয়েছে লরিসের। ভ্যান ডার সারের উত্তরসুরি হিসেবে লরিস বেশ ভালো অপশন বলে ম্যানইউ তার পিছনে আছে।
ইয়োয়ান গুরকাফঃ গত বছর বোর্দোকে ফরাসি লীগ জিতিয়েছিলেন। এবার তা করতে না পারলেও বড় ক্লাবগুলো কিন্তু ঠিকই আছে তার পিছনে। বিশ্বকাপে নাসরি না থাকায় ফ্রান্সের সেন্ট্রাল মিডফিল্ড ধারে রাখার গুরুদায়িত্বও আছে তার কাঁধে ।
এডিন জাকোঃ গুরকাফের সাথে অনেক মিল পাওয়া যায় বসনিয়ান স্ট্রাইকার জাকোর। অপ্রত্যাশিতভাবে তিনিও নিজের দল উলফসবার্গকে বুন্দেসলীগার চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। এবছর দল ভালো না করলেও আপন নৈপুণ্যে ঠিকই ভাস্বর ছিলেন।
ফার্নান্দো টরেসঃ আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন, লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন্স লীগএ কোয়ালিফাই করতে না পারলে দল ছেড়ে দিবেন। টরেসের মত স্ট্রাইকারকে পাওয়ার আশা তো সব ক্লাবই করে। তবে ম্যানসিটিই এখানে এগিয়ে আছে। যদিও তারা নিজেরাই চ্যাম্পিয়ন্স লীগে নাই। ঋনগ্রস্ত লিভারপুলও হয়তো তাকে ছেড়ে দিতেই চাইবে।
গ্যারেথ বেলঃ টটেনহ্যামের লেফট উইং ব্যাক ওয়েলসের এই তরুণ, সিজনের প্রায় প্রথম অর্ধেক গেছে বেঞ্চে বসেই। কিন্তু শেষার্ধে ম্যানেজার তাকে মিডফিল্ডের বাম দিকে নিয়ে আসেন। ৪র্থ হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে কোয়ালিফাই করার ক্রেডিট অনেকাংশেই তার প্রাপ্য। একারণে স্পার্স তাকে নতুন চুক্তির প্রস্তাবও দিয়ে দিয়েছে।
পিয়াত্তিঃ আলমেরিয়ার এই আর্জেন্টাইন উইঙ্গার তার গতি ও স্কিল দিয়ে নজর কেড়েছেন। তাকে কেনার জন্য রোমাকেই অন্যদের থেকে এগিয়ে আছে।