'মায়াস্নান' এর ভূমিকা...................
'প্রতিটি মানুষের বুকের ভেতর একটা শান্ত নদী থাকে। সেই নদীর নাম ‘মায়া নদী’। সেই নদীতেও জোয়ার-ভাটা হয়, স্রোত হয়, আর সেই সাথে হয় মন দেওয়া-নেওয়া। সময়ের আবর্তনে সেখানে আসে ভাঙ্গন। দিনশেষে কেউ কাউকে রেখে যায় আর বুকের মধ্যিখানে গভীর দুঃখ নিয়ে কেউ থেকে যায়। আচ্ছা, যে রেখে যায় সে কী মানুষটিকে একাই রেখে যায় নাকি দিয়ে যায় মায়া? আবার যে মানুষটি থেকে যায় সেও কী একাই থাকে নাকি বুকে জড়িয়ে রাখে হারানো ছায়ার সাথে বহুদিনের পুষে রাখা মায়া?
কোন এক নিশুতি রাতে কোলকাতার প্রিন্সেপ ঘাটে বসে এমন ভাবনা নিয়েই মূলত ‘মায়াস্নান’ উপন্যাসটি লিখতে শুরু করি। ধীরে ধীরে গল্প এগিয়ে যেতে থাকে আর আমি হারিয়ে যেতে থাকি নাম না জানা এক ভুবনে। সেই ভুবনের নাম মায়াস্নান। মায়াস্নান উপন্যাসটি ১৯৬০ পরবর্তী সময়ের কুমিল্লার অদূরে অজপাড়া গ্রাম বিনোদপুরের গল্প। আমি বিশ্বাস করি, মায়াস্নান ছুঁয়ে দেবে পাঠকের অপঠিত অনুভুতিকে।'
গোলাম রাব্বানী
১২ জানুয়ারি, ২০১৯
ধানমণ্ডি ৪/এ, ঢাকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ১১:৩৫