হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশের নারীরা নিরাপদ ছিল এটা একটা মিথ
২০২৪ সালে বাংলাদেশের মহিলা পরিষদের রিপোর্ট মতে, জানুয়ারি ২০২৩ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩ এই সময়ের মধ্যে মোট ১ হাজার ৩৫১ জন কন্যা এবং ১ হাজার ৫৮৬ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়, যার মধ্যে ৬৩৯ জন ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ৪৩১ জন কন্যা ও ২০৮ জন নারী। এ সময় ৬৯ জন কন্যাসহ মোট ১৪০ জন নারী দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২৫ জন কন্যা ও আট জন নারীসহ মোট ৩৪ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। বিগত সরকারের সময় গড়ে প্রতিদিন প্রায় দুই জন ধর্ষণের শিকার হয়। আসাক এর তথ্যঅনুযায়ী, ২০২৫ সালের প্রথম দুই মাসে ধর্ষণ হয়েছে ৯৬টা; মানে গড়ে প্রতিদিন ১.৬।
বলাবাহুল্য বিগত সময়ে রিপোর্ট থেকে আসল সংখ্যার একটা বিস্তর পার্থক্য ছিল। বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি, আধাসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ও এনজিওগুলো সে সময় পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। তাছাড়া অনেক অলিপিবদ্ধ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা আছে যেখানে রাজনৈতিক ক্ষমতাশীলরা জড়িত ছিল। অনেককিছুই সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে আসেনি।
এখন প্রশ্ন যদি হাসিনার আর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তুলনা হয় সেটা করা যায়। দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের এখনো সক্রিয় করতে পারছে না দেখেই এই ঘটনাগুলো সারাদেশে হচ্ছে আর বর্তমান সরকার সে জায়গায় অবশ্যই ব্যর্থ। আর এখানে আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও বাস্তবতার বিশাল তফাৎ তৈরি হয়েছে।
কিন্তু আমরা যেন বর্তমানকে শুধরাতে গিয়ে অতীতের পিশাচদের ভুলে না যাই। তনুদের যেন ভুলে না যাই আমরা।