উপমহাদেশের মুসলিম জাতিসত্ত্বাকে ব্রিটিশদের সাথে নেগোসিয়েশন টেবিলে নিয়ে যাওয়া আর কংগ্রেসের ভারসাম্যহীন আধিপত্য প্রতিহত করায় মোহাম্মদ আলি জিন্নার অবদার অনেক। এই লোকটা না থাকলে হয়ত বাংলাদেশ ভারতের অংশই থাকত। আর ভারতের ভাল রেকর্ড নাই ভিন্ন জাতিসত্ত্বাকে সেলেব্রেট করার; সেটার প্রমান আমরা কাশ্মির, হায়দ্রাবাদ, সেভেন সিস্টার্সে দেখে এসেছি।
সব ঠিক থাকলে জিন্নাকেও বাংলাদেশে সেলেব্রেট করার কথা ছিল। হয় না কারণ পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর উনিও খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন। আর সেটার অংশ হিসেবে উনি বাঙালি জাতিসত্ত্বাকেও আন্ডারমাইন করেছেন উর্দুই এই অঞ্চলের রাষ্ট্রভাষা থাকবে বলার মাধ্যমে। এই কারণে তার আগে সব কন্ট্রিবিউশন ঢাকা পড়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষ তার শেষ জীবনের কাজগুলোর জন্যেই ঘৃণা করে; আগের সব আর ইম্পরট্যান্ট থাকে না।
১৯৭১ পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানের কন্ট্রিবিউশন অনেক। কিন্তু স্বাধীন হওয়ার পর উনার অন্য আরেকটা রূপ দেখতে পাই। আওয়ামী লীগ অনেক চেষ্টা করেছে তার ভুলগুলো ঢেকে সেলেব্রেট করার। তাই স্বতঃস্ফূর্ত যে সমালোচনাগুলো ইতিহাস জানা মানুষদের কাছে চাপা ছিল সেটা আরও ফুটতে থাকে; একটা সময় তীব্র ঘৃণার পর্যায় চলে যায়। আজকে তারই পরিবারের হাতে যখন শতশত নিরস্ত্র মানুষ প্রান হারিয়েছে তখন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবার আর এই দেশের সাধারণ মানুষের কাছে আপন নাই। তাদের পরিনতি জিন্নার থেকেও বাজে হয়েছে। জিন্না ছিল অন্য মাটির মানুষ ছিল। এই মাটির গন্ধে বড় হওয়া কেউ এত বড় গাদ্দারি করবে তাদের প্রতি ঘৃণা আরও শত বছর থাকবে।
১৫শে অগাস্টের হত্যাকান্ডেও নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়। তাই এই দিনটা কমপক্ষে সেলেব্রেশনের না। এই দিনটা শোকের। কিন্তু শোকটা আমি বঙ্গবন্ধুর জন্য নিব না; এই নামগুলোর জন্যে নিব। শেখ রাসেল (১০), পারভিন জামাল রোজি, শেখ জামাল(২১), সুলতানা কামাল খুকি, শেখ ফজিলাতুন্নেসা, বেগম সামসুন্নেসা আরও কিছু নিরপরাধ মানুষ।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ২:৫৯