আজ বুধবার ভারতের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিটে চন্দ্রযান-৩–এর ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করে। চাঁদে মহাকাশযান অবতরণকারী দেশের তালিকায় চতুর্থ দেশ হিসেবে যুক্ত হলো ভারত।
সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে চোখে ISRO এর দীর্ঘদিনের নিরন্তন চেষ্টার বাইরে চোখে পড়লো SPARRSO এর নাম। যেটা কিনা বাংলাদেশের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান। যার বর্তমান চেয়ারম্যানের পড়াশুনা কৃষিবিজ্ঞান ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের উপর। একটা মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নেতৃত্বে যারা আছে কমপক্ষে STEM থেকে আসবে এটা আমরা আশা করতেই পারি। যাই হোক , গভমেন্ট পোর্টাল থেকে তাদের বিগত বছরগুলোর গবেষণার রিপোর্টগুলো দেখলাম। অধিকাংশ কাজই আসলে বাংলাদেশের আবহাওয়া, কৃষি ও ভূপ্রকৃতির তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ; মোটকথা GIS Monitoring এর উপর সীমাবদ্ধ।
NASA ও এই কাজটা করে। তাদের GIS Data যে কেউ তাদের ওয়েবসাইট থেকে একসেস করতে পারে। SPARRSO এর মত প্রতিষ্ঠান আসলে বাংলাদেশেও দরকার যারা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আরও Specific Context এ এই রিসার্চ করবে। এমনকি তাদের Fellowship প্রোগ্রামও আছে Disaster Science, Space Technology & Policy ইত্যাদির উপর। কিন্তু যদি SPARRSO এর স্কোপ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এখানেই সীমাবদ্ধ থাকে তাহলে এটা যথেষ্ট দুঃখজনক। কমপক্ষে Space Observatory তৈরি করার পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিল যেটার নামগন্ধ কোথাও পেলাম না। পুরো বাংলাদেশে শুধুমাত্র একটা Astro Observatory আছে; তাও একজন বিজ্ঞানমনস্ক ব্যবসায়ী শাহজাহান মৃথা তার নিজস্ব ব্যয় ও জমিতে এটা করেছে।
ভারত ও পাকিস্তানের স্পেস রিসার্চ আমাদের উপমহাদেশে সবচেয়ে বেশি। কারণটাও খুবই স্বাভাবিক; তাদের মধ্যকার রাজনৈতিক শীতলতা। বাংলাদেশ সবসময়ই এইসব থেকে দূরে তাই স্পেস রিসার্চ এর প্রণোদনা বা বাজেট থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে এইটুকু আশা করা যায় যে যদি কোন প্রতিষ্ঠান থাকেই সেটা তার স্বল্প ক্ষমতার মধ্যে কিছুটা হলেও নিজের দেশে মহাকাশ গবেষণা করার ও অনুপ্রেরণা পাওয়ার একটা সুযোগ দিক।