somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দমননীতি নাকি লিটারেসি?

১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আপনি যদি জার্মানদের সাথে কথা বলেন, দেখবেন অধিকাংশই হিটলারকে ঘৃণা করে। কিন্তু জার্মানির আনাচে কানাচেতে এখনও নব্য নাৎসিবাদীদের পাওয়া যাবে। আমেরিকার অনেক লিবারেলরাও তাদের ফাউন্ডিং ফাদারদের নিয়ে ওপেনলি ক্রিটিসাইজ করে, কমেডি বানায়। আবার সেখানকার দক্ষিণের অঙ্গরাজ্যগুলোতে এখনো কনফেডারেট পতাকা (যারা আমেরিকার গৃহযুদ্ধে দাসপ্রথার পক্ষে ছিল) দেখা মিলবে। তাও এরা সবাই নিজেদের জায়গা থেকে নিজেদের অপিনিয়ন নিয়ে খোলাখুলি কথা বলে। একসময়ের মেজরিটির অপিনিয়ন কমে গিয়ে মাইনরিটি হয়ে যায়।

আমার মনে আছে ২০০১ সালে ৯/১১ এর পরপর; লাদেনকে এদেশের অনেকেই পজেটিভভাবে দেখত। (আমেরিকা এমন বোমা হামলা ডিসার্ভ করে, সাইদিরও সম্ভবত এমন একটা বক্তব্য ছিল সে সময়)। পরে নিজের দেশে আত্নঘাতি হামলার ট্রেন্ড শুরু হওয়ার পর জনসাধারণের এই থটপ্রসেস ভালই চেঞ্জ হয়।

আজকে দেখলাম সাইদির মারা যাওয়ার ইস্যুকে কেন্দ্র করে আনফ্রেন্ড ট্রেন্ড শুরু হয়েছে। একজন রাজাকারের মৃত্যুতে পোস্ট দেয়া ও স্যাড ইমোজি দেয়ার লোকের অভাব নাই আশেপাশে। কিন্তু এটার রিএকশন যদি হয় আনফ্রেন্ড তাহলে এটা counterproductive। আপনি নিজে যতদিন Bubble এর মধ্যে থাকবেন বা peer-pressure দিয়ে অন্যদের একটা Bubble এর মধ্যে থাকতে বাধ্য করবেন ততই সমাজটায় আর নিঃশ্বাস নেয়ার জায়গা থাকবে না। আজকে একটা ন্যারেটিভের জন্য এটা সত্য, কালকে অন্য ন্যারেটিভের জন্য সত্য হয়ে উঠবে। History has its own way of repeating itself.

তার চেয়ে ভাল হয় আসেন যাদের সাথে মতের মিল নাই তাদের মেইন মেইন ইস্যুগুলো নিয়ে আলাপ করি। কেন পলিটিকাল সাইদি আর বক্তা সাইদীকে আলাদা করা যাবে না? সাইদির রাজাকার হওয়ার ক্লেইমগুলো ভ্যালিডিটিগুলো কি কি? এগুলো অনেককিছুই আপনার দৃষ্টিতে একেবারে বেসিক। তাই হয়ত বুঝাতে যাওয়াও ডিস্টার্বিং লাগতে পারে।

কিন্তু কারো কারো কাছে ভিন্নমতের বেসিক জিনিসেরই নলেজ নাই। সবাই নিজে ঘেটে দেখে না। অনেকের পারিবারিক শিক্ষার ব্যাপার থাকে, ফ্যামিলি ন্যারেটিভ চ্যালেঞ্জ করে না অনেকে। বিশেষ করে অনেকের ধর্মীয় ইমোশন জড়িত থাকে। এগুলো বিনয়ের সাথে পয়েন্ট টু পয়েন্ট এড্রেস করা লাগে। আবার যারা পড়াশুনা জানে তাদেরও কিছু বলার থাকে বিপরীতে।

বিপক্ষের কথা আসুক, সেটার কাউন্টার আর্গুমেন্ট আসুক। মানুষ জেনে বুঝে যা মানার মানুক। আর অনেকে না মানুক। ব্যাপার না; এটাই রিয়ালিটি।

Political literacy না বাড়িয়ে দমননীতি করলে ন্যায্য ও দুর্গন্ধময় উভয় চিন্তাধারার মানুষই নিজেদের বিপ্লবী মনে করা শুরু করে। এটা সাংঘাতিক ভয়ংকর।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই আগস্ট, ২০২৩ সকাল ১০:৪৪
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টরন্টোর চিঠি - "অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনী!"

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭


গত বছর গ্রীষ্মের শুরুতে টরন্টোয় বসবাসরত আমার জন্মস্থান জেলা-শহর থেকে আগত অভিবাসীদের একটি পিকনিকে গিয়েছিলাম। ৫০–৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সকলে ছিলেন নারী। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্টারের কাচ্চি বিরিয়ানী

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১



শেষ কবে স্টারের কাচ্চি খেয়েছিলাম আমার মনে নেই। আগে একটা সময় ছিল যখন কাচ্চির নাম নিলে যে নামগুলো সবার প্রথমে সামনে আসতো তার ভেতরে এই স্টারের নাম থাকতো। এখনকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিনিক চা

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৭ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



একটা গান আছে- পিনিক পিনিক লাগে।
ফালতু গান। পচা গান। পিনিক নামে একটা বাংলা সিনেমাও হয়েছে। আসলে 'পিনিক' শব্দটির আভিধানিক কোনো অর্থ নেই। সাধারণত নেশাদ্রব্য সেবন করার ফলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নটীদের আড্ডাখানা ছিল সংসদ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪


বাজারে যত নটী আছে হাসিনা সবগুলোকে একছাদের নিচে দক্ষতার সংগে জমায়েত করতে পেরেছিল। সেই নটীদের ছিলনা কোন যোগ্যতা কিংবা না ছিল কোন রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ড; তারপরও নটীরা সংসদে যেতে পেরেছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি ব্লগঃ প্রকৃতি

লিখেছেন সামিয়া, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১



কিছুক্ষণ আগে পাতায় পাতায় গড়িয়ে পড়েছে বৃষ্টির ধারা; তার চিহ্ন রয়েছে জমে থাকা পাতার ফোঁটাগুলায়, মাঝে মাঝে নিচে পড়ে গিয়ে ছোট্ট শব্দ তুলছে, বাতাসে ভেজা মাটির গন্ধ, আর দূর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×