(শিশু, বৃদ্ধ এবং দুর্বল হার্টের কাউকে ভিডিও না দেখার অনুরোধ করছি)
গত ৫ জুন ২০১৪ বৃহস্পতিবার বান্দরবান রোয়াংছড়ি সদর থেকে বাড়ি ফেরার পথে এনজিও কর্মী উ প্রু মারমা (২৩) নিখোঁজ হন। ৭ জুন শনিবার পাহাড়ের নিচে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় ধর্ষণ করার পর তাকে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। এই পাহাড়ী নারীকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় পুলিশ অংজাই পাড়া থেকে দেবং বিজয় তঞ্চঙ্গ্যা (৩২) নামে এক উপজাতীয় যুবককে গ্রেফতার করেছে। দুঃখজনক ঘটনা হলো, ৭ জুন শনিবার সেখানে মুসলেম মিয়া (৩৫) নামের এক বাঙালি কাঠ ব্যবসায়ী সেখানে গেলে কিছু উশৃঙ্খল উপজাতীয় যুবকের প্ররোচণায় উত্তেজিত গ্রামবাসী মুসলেম মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে। ঘটনাস্থলে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা ছিলেন নির্বিকার। দুই-একজন চেষ্টা করেছেন মুসলেম মিয়াকে বাঁচাতে। কিন্তু উশৃঙ্খল উপজাতীয় যুবকরা পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে মুসলেম মিয়াকে হত্যা করে।
একজন উপজাতীয় নারী ধর্ষিত হলেন, নিহত হলেন। সে ব্যাপারে মামলা হলো, অভিযুক্ত হিসেবে একজন উপজাতীয় যুবক গ্রেফতার পর্যন্ত হলেন। তারপরও শুধু সন্দেহের বশে ঘটনার একদিন পর মুসলেম মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা কোনভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মুসলেম মিয়া যদি সত্যিই অপরাধী হতেন, তাহলে তিনি নিশ্চয় এত বড় অপরাধ করার এক দিন পর আবার সেই এলাকায় যেতেন না। কারণ তার নিজ গ্রাম বাজালিয়া থেকে রোয়াংছড়ি খুব কাছের যায়গা নয়। তাছাড়া রোয়াংছড়ি বাঙালি অধ্যুষিত এলাকাও না।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালিদের হত্যা করার ঘটনা নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ কোন ঘটনারই বিচার হয়নি কিংবা আমাদের রাষ্ট্র ব্যবস্থা উপজাতীয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিতে অনিচ্ছুক অথবা অপারগ। তারপরও একটা প্রশ্ন, এই নির্মমতা এবং হিংস্রতার সাথে জড়িতদের শাস্তি দেওয়ার ক্ষমতা কি আমাদের রাষ্ট্রের আছে? যদি থাকে, তাহলে আমরা তার বাস্তবায় দেখতে চাই।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:০৫