গুলতেকিনের কান্না হুমায়ূন আহেমেদের ক্যক্তিচীবনে যেমন প্রভাব রাখতে পারেনি, তেমনি কোনো অবদান রাখতে পারবে না তার কথাসাহিত্যেও। নোভা-শিলার কান্নাও ঘুচাতে পারবে না তার বাজারী লেখকের বদনাম। চটি সাহিত্যের আরএম গুপ্তের পর, আর কোনো লেখক বাংলাসাহিত্যে এতোটা জনপ্রিয় হননি। এতোটা উম্মাদনা হয়নি কখনোই, সম্ভবত রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর পরও নয়। ফাকা মাঠে গোল দিয়ে টিভি নাটকে বাজিমাত করেছেন। মহাকালের দৌড়ে কখনোই ছিলেন না হুমায়ূন আহমেদ।
জনপ্রিয়তা পতনের সিড়ি, এটা জেনেবুঝেই নেমেছিলেন জলজ সাহিত্যে। এরপরও তিনি স্যালুট প্রাপ্য। সুনীল-সমরেশ-শীর্ষেন্দুদের উপনিবেশী শাসন থেকে বাংলাদেশের সাহিত্যকে রক্ষা করেছেন একক হাতে। ব্যক্তিজীবনে আছে রবীন্দ্রনাথসুলভ জমিদারী আচরণ। অয়োময়ের ছোট মির্জার মতো দ্বিতীয় বিয়ে করে সেই আভিজাত্যই টিকিয়ে রেখেছেন। যে মধ্যবিত্ত পাঠক তাকে আকড়ে ধরবে, তাদের মানসিকতা দ্বিতীয় বিয়ের চিন্তা অনেক আগেই ছেড়েছে। সুতরাং, কালেির যাত্রায় হুমায়ূন আহমেদের টিকে যাওয়ার রাস্তা একটাই! নুহাশ পল্লী। যে জমিদার বাড়িটিাকে কবরস্থান না বাননোর স্ট্যান্টবাজিও করে গেছেন হুমায়ূন। স্বপ্নের নেভারল্যান্ড বাগানবাড়িতে কিন্তু মাইকেল জ্যাকসনের শেষ ঠিকানা হয়নি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




