প্রতিবারের মতো এবারের ব্লগ ডে'রও একটা মটো লাইন ছিল,একটা শিরোনাম ছিলোঃ যোগাযোগে সামাজিক মাধ্যম ও আমাদের দায়বদ্ধতা । দিনশেষে বলতে হয় সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিত হয়ে আমাদের সিলেটের ব্লগাররা ইতিমধ্যেই বেশ খানিকটা দায়বদ্ধতার প্রমাণ দিয়ে ফেলেছেন ।
আমাদের ব্লগীয় মিলনমেলার এবারের ভেন্যু ছিলো নবনির্মিত সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার । আসুন এক ঝলক ঘুরে আসি সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে,আমাদের এবারের ভেন্যু থেকে ।
ছবি দেখে নিশ্চই বুঝতে পারছেন উপরের শহীদ মিনারটি বাংলাদেশের সব চাইতে সুন্দর শহীদ মিনার এবং নিঃসন্দেহে একটি অন্যন্য স্থাপত্যকির্তী ।
সময়টাছিলো বিকেল চারটা । যথা সময়ের বেশ আগেই যথাস্থানে পৌছে আমি মন্ত্রী মহোদয় বাংলাদেশের অন্যান্য মন্ত্রী মহোদয় থেকে নিজেকে একটা স্বতন্ত্র অবস্থানে নিয়ে আসি । তারপরেই আগমন ঘটে সিলেটে ব্লগ ডে উদযাপনের মূল হোতা আমাদের সবার প্রিয়
এবং শ্রদ্ধেয় গল্পকার মামুন ভাইয়ের ( ব্লগার মামুনুর রশীদ ) । ভাইয়া একা আসেন নি । সাথে নিয়ে এসেছেন উনার সুযোগ্য এবং অত্যন্ত মিস্টি দুই মেয়েকে ( আমরা অবশ্য ভাবীকেও চেয়েছিলাম মামুন ভাই )।
মামুন ভাইয়ের পর সস্ত্রীক ( দুই মেয়ে সহ) আমাদের মাঝে আসেন আমাদের মধ্যে সব চাইতে পুরনো ব্লগার-ব্লগার প্রভাষক ভাই । প্রভাষক ভাইয়ের স্ত্রী শর্বরী শর্মিও সামুর এক সময়ের খুব নিয়মিত এবং জনপ্রিয় ব্লগার।
যাই হউক, প্রভাষক ভাই সম্পর্কে চুপিচুপি একটা কথা বলি... নিন্দুকেরা বলে ব্লগে আমার বয়স যতনা হয়নি তার চাইতেও বেশীবার প্রভাষক ভাই ব্লগ দিয়ে ইন্টারনেট চালিয়ে ব্যান খেয়েছেন । সামুতে উনার হাজারে হাজারে মাল্টি ।
এরপরই আমাদের সাথে যোগ দেন বিশিষ্ট ছড়াকার, প্রবন্ধাকার প্রেমিক মাতাল ( ব্লগার নুর ইসলাম রফিক) । এই ভদ্রলোকের নাম শুনে বেশ সাধারণ মানুষ মনে হলেও উনাকে আমার যথেস্ট রহস্যময় মানুষ মনে হয়েছে । উনি একজন উঠতি সেলিব্রিটি । ছবি তোলেন না । অনেক কস্ট করেও মাতাল ভাইয়ের একটা ছবি তুলতে পারি নাই ।
মাতাল ভাইয়ের পর একে একে উপস্থিত হতে থাকেন বাপ্পী ( ব্লগার সোজা কথা ), নীরব মানুষ পাপ্পু (ব্লগার পপস),গল্পকার পার্থ তালুকদার ( ব্লগার পার্থ তালুকদার), সদ্য বিসিএস ফেইল ব্লগার প্রতিভাবান বালক ( মানুষ পাশ করেও স্ট্যাটাস দেয় না , উনি প্রতিভাবান বলেই ফেল করেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে সবাইকে সেটা জানিয়েছেন ),হ্যান্ডসাম পুরুষ পলাশ ভট্টাচার্য (ব্লগার দুরন্ত পলাশ),সাংবাদিক শরীফ তুহিন, ব্লগার জিনিয়াস পাগল ,সদা হাস্যময় ফটোগ্রাফার ফয়সাল খলিলুর রহমান ভাই ( ব্লগার খলিলুর রহমান ফয়সাল) এবং মুনসী আলিম (ব্লগার সৃষ্টিশীল আলিম)।
মুনসী ভাই কবি মানুষ । কবিতা লিখে ভদ্রলোক বেশ কিছু পুরস্কারও ইতিমধ্যে বাগিয়ে নিয়েছেন। কবি হলেও গাম্ভীর্য বলতে কোন জিনিস মুনসী ভাইয়ের মধ্যে পাই নাই । উনার মত প্রাণখোলা, কবি অথচ রসিক মানুষকে আমাদের মাঝে পেয়ে আমরা সত্যিই বেশ মজা করেছি এবং উনার সংগ খুব ভালোভাবেই উপভোগ করে নিয়েছি ) ।
এরপর ক্ষানিক বিরতিতে আমাদের মাঝে পৌছান প্রিয় আলমগীর ভাই (ব্লগার ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর) । আলমগীর ভাইয়ের খুব শীঘ্রই শুভ বিবাহ হতে যাচ্ছে , সামুর সকল ব্লগারের দাওয়াত রইলো । পাত্রী বৈদেশিক ।
যাই হউক সবাই উপস্থিত হবার পর আমরা আমাদের এবারের ব্লগ ডে'র চকোলেট কেকটা কেটে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করি । এরপর চলে দেশ ও জাতি নিয়ে এক জ্ঞানগর্ভ আলোচনা সমালোচনা এবং ব্লগীয় খাওয়া দাওয়া , সাথে চলে একের পর এক ফটোসেশন। আলোচনা সমালোচনার এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে এসে উপস্থিত হন পুরনো ব্লগার, স্টিকি ব্লগার-ব্লগার নিশাত শাহরিয়ার ।
সবশেষে সন্ধ্যার পর আরেক চক্র চা পানের পর আমরা যে যার রাস্তা ধরে এগুতে শুরু করি ।
ছবিতে ছবিতে ব্লগ ডেঃ ছবিয়ালঃ মামুন রশীদ, ফয়সাল খলিলুর রহমান এবং আমি মন্ত্রী ।
সুস্বাদু চকোলেট কেক,ক্রেডিট মামুন ভাইয়ের...
কলমের বদলে হাতে তাঁর ছুরি! আমরা কি এমন গল্পকার চেয়েছিলাম ??
মিস্টি হাসির গম্ভীর কবি মুনসী আলীম (ব্লগার সৃষ্টিশীল আলীম)...
সদ্য বিসিএস ফেইল ব্লগার প্রতিভাবান বালক...
কেক কাটছে ব্লগার প্রভাষক ভাইয়ের ছোট মেয়ে...
কেক নিয়ে কিভাবে গল্প লিখা যায় সে বিষয়ে গল্পকার পার্থ তালুকদারকে টিপস দিচ্ছেন আরেক গল্পকার মামুন রশীদ ...
এবার সবাই মিলে একসাথে ...
দুটি কথা না বললেই নয়, আমাদের সবাইকেই অকপটে স্বীকার করে নিতে হবে যে এবারের ব্লগ ডে উদযাপনের সমস্ত কৃতিত্ব মামুন রশীদ ভাইয়ের । আমাদের সবাইকে একত্রিত করা থেকে আরম্ভ করে কেকের সাথে ছুরি নিয়ে আসা অবধি সব কয়টি কাজেই মামুন ভাই দারুণভাবে তার সাংগঠনিক দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন ।উনি না থাকলে বা এগিয়ে না আসলে হয়তো সিলেটে এবার ব্লগ ডে এভাবে উদয়াপন করা সম্ভব হতো না ।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৬