মাথাভাঙা অন্ধকার চারিদিকে...
তোমার বাগানে আখরোট পেকেছে
এক হাজার দুই শত হস্তীবর্ষে
জর্দান নদীর তৃণক্ষেতে
বেদুঈন শাহজাদীর বসতি ছিল
ভূ-পিণ্ডে
লেবাননী বান্ধবীর কথা মনে পড়ে
এমন ঘোরগ্রস্ত জ্বরে তোমাকেই জননী বলে ডেকে উঠি
হযরত দাউদ ও সোলেমানের সাথে
আমিও রাতে জেগে পাঠ করি পাখির ভাষা
০২.
ঈদের দিন ঢাকা শহরে কোনো যানজট নেই। কায়রোর জাদুঘর হতে ফেরাউনের মমি হেঁটে আসে মিরপুরে...
আজ কোথাও ভিড় নেই। প্রেম ও সন্তান উৎপাদনের দেবীরা গতকাল বিউটি পার্লারে ভিড় জমিয়েছিল। গতকালই বনি-ইসরাইলের বাসের ছাদে চড়ে উত্তর বঙ্গের মফিজেরা রক্ত বিক্রি করে চলে গেছে গ্রামে। তারা ফিরবে কি ফিরবে না, পূর্বদেশের প্রথা অনুযায়ী আমি তা জানি না । ইতোমধ্যে সমুদ্র বিদীর্ণ হলো । মুসা ও তার সঙ্গীদের জলপার করে দিলেন পরোয়ারদিগার। রণক্লান্ত তাহাদের মুখে বেহেশতি খাবার দিলেন মান্না ও সালওয়া; লাচ্ছি এবং পিঠা
তিরিশটা দিবস অভূক্ত ছিলাম
একত্রিশ দিবসে তোমার বক্ষদ্বয়ে মুখ রেখে বুঝলাম
মদীনার খেজুর সর্বদা বড়ো বড়ো হয়
ঠিক রাজশাহীর খেজুরের মতো নয়...
০৩.
ঈদের বিকেলে আমি আর দেবী-নিনগুল চিড়িয়াখানায় যাই। সুন্দরবন থেকে চল্লিশটি নতুন ময়ূর এসেছে ময়ূরীদের সম্ভোগইচ্ছার কাছে
জিরাফের খাচার পাশে বৈমাত্রের ভ্রাতার সঙ্গে দেখা হলো। তার বয়স জানি কত! আমি জানি- বয়স ত্রিশ হলে জগতের সকল প্রেমিক মিশরের অধিপতি হয়
অন্ধ কূপের কিনারে দীর্ঘ দাঁড়াই। মুসার ছাগল এখানেই কি জলপান করেছিল! শহর প্রদক্ষিণ শেষে চক্ষুহীন শিকারীর কাছে রক্তমাখা তীর রেখে আসি। ইউসুফ আমাদের সঙ্গে আসে না
আজ অন্য-ইউসুফ শাহবাগে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে জুলেখার যৌবন ফিরিয়ে দেবে...
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১০ সকাল ৯:৩৭