somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

নিশি বিষয়ক একটি কাহিনী যার কোন টাইটেল নাই-১ !!! /:) /:) /:)

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মুখবন্ধ: এই কাহিনীটা আমার আর নিশির কাহিনী। তবে আগেরকার পর্বগুলোর মত টাইটেল বাদ দিলাম। এই পর্ব থেকে এই টাইটেলটাই চালু থাকবে। আমার গুণমুগ্ধ এবং প্রিয় একজন মানুষের কাছে আগের পর্বগুলোর টাইটেল "চটি" মার্কা লাগার কারনে এই পর্ব থেকে এই কাহিনীগুলো এই টাইটেলেই চলবে। তবে ইচ্ছা করলে পাঠকরা তাদের পছন্দমত টাইটেল দিতে পারেন। একের অধিক টাইটেলের ক্ষেত্রে আমি আমার ইচ্ছামত টাইটেল বেছে নিবো। যারা সাথে সাথে আছেন, যারা সাথে থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন এবং যারা পোস্ট পড়ে বিরক্ত হয়ে ফিরে যাচ্ছেন সবার প্রতি আমার শুভকামনা। আর এই পোস্ট পড়ার আগে ১ম কমেন্টে দেয়া লিংকের পোস্টগুলো পড়ে নিলে ভাল হয়।




বাসস্টপের প্রত্যেকজোড়া চোখ আমাদের দেখছে। আর আমি দেখছি নিশিকে। দেখছি আর বোঝার চেষ্টা করছি এখন ঠিক কি করলে এই বিব্রতকর পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে পারবো। ওকে কি বলে ঠান্ডা করবো বুঝে উঠতে পারছি না। সেই দুপুরে বের হয়েছি এখন প্রায় পড়ন্ত বিকাল। শেষ পর্যন্ত বলেই বসলাম-

- চল আজ বিকালটা কোথাও থেকে ঘুরে আসি। :|:|
- :(( :(( :(( :(( :( :( :( :(
- আড়ং এ যাবা না ?!? :|:|
- :((:((:((:((:((:((:((
- আরে আবার কান্না শুরু করলা কেন ?!? :-*:-*:-*
-আড়ং এ যাইতে ইচ্ছা করছে না !!! :((:((:((:((:((
- কোথায় যাবা তাহলে ?!? বাসায় যাবা ?!?
- না !!! :((:((:((:((
- তাহলে ?!? /:) /:) /:)
- আমি যেইখানে নিয়ে যেতে বলবো সেইখানে নিয়ে যাবা তো ?!? :( :( :( :(
- আচ্ছা নিয়ে যাবো, এখন একটু শান্ত হও প্লিজ !!! /:) /:) /:)
- ঠিক আছে, শান্ত হলাম। এখন বল নিয়ে যাবা তো আমাকে ?!? :| :| :|
- হ্যা, বলছিই তো নিয়ে যাবো। /:) /:) /:)
- তাহলে....চল আজ নৌকায় করে ঘুরি। :) :) :)
- :-& :-& :-& :-&
-কি হল ?!? 8-| 8-|
-এই বৃষ্টির মাঝে নৌকায় না ঘুরলে হয় না ?!?/:) /:) /:)
-বৃষ্টি তো শেষ, আর হলেই বা কি, নৌকা তো ডুববে না, আর ডুবলেই বা কি , তুমি তো আছো !!! :):) :!> :#>
-আমি সাতার জানি না !!! :-/:-/
-জানা লাগবে না, চল এখন !!! :):):)

কি আর করা, বাধ্য হয়েই নিশির কথায় রাজি হয়ে গেলাম। আর আরও একটা কথা বলা হয় নাই। আমাদের ভার্সিটির খুব কাছে একটা নদী আছে, মোটামুটি সাইজের নদী, তেমন বড় কিছু না। আগে কোনদিনই যাই নাই। সেইদিনই ১ম নিশির কাছে শুনলাম। বাসস্ট্যান্ড থেকে ভ্যানে করেই নদীর ঘাট পর্যন্ত যাওয়া যায়। যদিও ভ্যানে যাওয়া রিস্ক, তারপরেও নিশি একটা ভ্যান "রিজার্ভ" করে আমাকে প্রায় টানতে টানতেই নিয়ে ভ্যান এ বসাল।

আকাশ আস্তে আস্তে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে আসছে। এমনি মেঘলা আবহাওয়া, এর উপরে বিকালও প্রায় শেষ হয়ে এল। কিন্তু ঐ যে বলেছিলাম, আজ আমার মুগ্ধ হওয়ার দিন। নিশিও কিভাবে জানি আমাকে মুগ্ধ করে ফেলেছে। আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত নিশির সাথে সাথে "রিজার্ভ" করা ভ্যান এ করে নদীর ঘাটের দিকে রওনা হলাম।

আগেই বলেছি যে ভার্সিটির এত কাছেই নদী আছে এইটা আগে জানতাম না। মনে মনে নিশিকে ধন্যবাদ দিলাম। যাই হোক, এই একটা ব্যাপার জেনে লাভই হয়েছে। মাঝেই মাঝেই আসা যাবে। তবে আসলে অন্যকিছুতে আসতে হবে, ভ্যান এ না। রাস্তার অবস্থা বেশ খারাপ। ভ্যান অনেক আস্তে চালাতে হচ্ছে। দুলুনীর ঠেলায় মাঝে মাঝেই মনে হচ্ছে ভ্যান এ না নৌকাতেই বসে আছি। রাস্তার অবস্থা ভাল না হলে এরপর থেকে হেটে আসবো বলে মনে মনে নিয়ত করলাম।

রাস্তার অবস্থা খারাপ হলেও রাস্তার আশেপাশের সিন সিনারী রীতিমত মনোমুগ্ধকর। দেখলে মনে হয় হঠাৎ করেই যেন ২০-৩০ বছর আগের কোন সময়ে চলে গেছি। রাস্তার পাশে শুধু গাছ আর গাছ। আর মাঝে মাঝেই গুচ্ছাকারে কয়েকটা টিনশেড দেয়া দোকান। এরকম গুচ্ছ দেখছি কিছুদুর পরপরই আছে। মাঝখানে আবার শুধু গাছ। কিছুদুর সামনে যেয়ে দেখি একটা মোড়। মোড়ের ঠিক মাথার উপর একটা "যক্ষা" হাসপাতাল। মোড়ের কাছাকাছি আসতেই নিশি বলল- আরেকটু বস, আর ২ মিনিটের রাস্তা। আমি ওর কথায় কোন সাড়া না দিয়ে কেন জানি উদাস দৃষ্টিতে "যক্ষা" হাসপাতালের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।

২ মিনিটের জায়গায় প্রায় ১০ মিনিট পার করে নদীর ঘাটে এসে পৌছালাম, এবং নিরাশ হলাম। এটাকে নদী বললে নদীর অপমান করা হবে। বড় সাইজের খাল বলা যেতে পারে। আমার মুগ্ধ হয়ে থাকা মনে হঠাৎ করেই মুগ্ধতার ভাটা পড়ল। মেজাজটা আরও খারাপ হল যখন দেখলাম যে নদীর তীরে সব নৌকাগুলা বেঁধে রাখা। এই বৃষ্টির মাঝে কেই বা আসবে নদী পারাপার হতে। মেজাজটা খারাপ হওয়া শুরু করছে আস্তে আস্তে। কিন্তু মেজাজ খারাপ করে কোন লাভ নাই। এইখানে বাসস্ট্যান্ডের মত কিছু ঘটলে বিরাট প্রবলেম। নিশি মনে হয় আমার মনের কথাটা বুঝতে পারছে। বললো-

-আমি খুবই "সরি" !!! :):)
- কেন, "সরি" হওয়ার কিছু নাই !!! /:) /:)
-আমি আসলেই বুঝতে পারি নাই এমন কিছু হবে। :):)
-সেইটা আসলে আমিও বুঝছিলাম !!! /:) /:)
- তাহলে তখন বল নাই কেন ?!? :|
- এমনি বলি নাই !!! /:) /:)
-তুমি প্লিজ আমার উপর আর রাগ করে থেকো না, আমি খুবই আনইজি ফিল করছি !!! :( :(
- আরে আজব তো, আমি কোথায় রাগ করে আছি ?!? এই যে দেখো, কত সুন্দর করে হাসছি। /:) /:) রাগ হলে এইভাবে হাসতে পারতাম ?!? /:) /:)
- আচ্ছা বুঝলাম তুমি রাগ করো নাই। :) :)
- শোকরান শোকরান। /:) /:)
- তবে রাগ হলে কিন্তু তোমাকে অনেক কিউট লাগে, আমি ব্যাপারটা অনেক এনজয় করি। ;) ;)
-শুনে খুশি হলাম। /:) /:)
-চল এখন কোথাও বসি !!! :)
- এর মাঝে কোথায় বসবা ?!? আর সন্ধ্যাও তো হয়ে গেল প্রায় !!! :-* :-*
-ঐযে দেখ, ঘাটের পাশে....ঐখানটায় বসবো। :) :)

চলবে না.......

সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৯:১২
২২টি মন্তব্য ২২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান।

লিখেছেন আহা রুবন, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ৯:৫০





ফখরুল সাহেব দেশটাকে বাঁচান। আমরা দিন দিন কোথায় যাচ্ছি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আপনার দলের লোকজন চাঁদাবাজি-দখলবাজি নিয়ে তো মহাব্যস্ত! সে পুরাতন কথা। কিন্তু নিজেদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হচ্ছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। প্রধান উপদেষ্টাকে সাবেক মন্ত্রীর স্ত্রীর খোলা চিঠি!

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৩




সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনকে মুক্তি দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে খোলা চিঠি দিয়েছেন মোশাররফ হোসেনের স্ত্রী আয়েশা সুলতানা। মঙ্গলবার (২৯... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেমন হবে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ ?

লিখেছেন শিশির খান ১৪, ০১ লা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:৫৬


জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিক্ষুব্দ ছাত্র জনতা আগুন দিয়েছে তাতে বুড়ো গরু গুলোর মন খারাপ।বুড়ো গরু হচ্ছে তারা যারা এখনো গণমাধ্যমে ইনিয়ে বিনিয়ে স্বৈরাচারের পক্ষে কথা বলে ,ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হওয়াতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী

লিখেছেন সামিউল ইসলাম বাবু, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ রাত ১২:১৩

ফিতনার এই জামানায়,
দ্বীনদার জীবন সঙ্গিনী খুব প্রয়োজন ..! (পর্ব- ৭৭)

সময়টা যাচ্ছে বেশ কঠিন, নানান রকম ফেতনার জালে ছেয়ে আছে পুরো পৃথিবী। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে গুনাহ মুক্ত রাখা অনেকটাই হাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাতির জনক কে? একক পরিচয় বনাম বহুত্বের বাস্তবতা

লিখেছেন মুনতাসির, ০২ রা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৮:২৪

বাঙালি জাতির জনক কে, এই প্রশ্নটি শুনতে সোজা হলেও এর উত্তর ভীষণ জটিল। বাংলাদেশে জাতির জনক ধারণাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যেখানে একজন ব্যক্তিত্বকে জাতির প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে মর্যাদা দেওয়া হয়। তবে পশ্চিমবঙ্গের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×