(সবগুলো পর্বই দেয়া হলো এবার একসাথে)
♋ লিওডেনাস ও রাণী থিওসী
মহীয়সী নারী থিওসী অ্যারিপাস। রাজপরিবারের মেয়ে তিনি। অত্যন্ত অমায়িক ব্যবহার, বুদ্ধিমত্তা ও দৃঢ় মনোভাবের জন্য তিনি বিঃখ্যাত হয়েছেন গত কয়েক বৎসর যাবত। মহামান্য রাজা যেই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যর্থতার আশংকা করেছিলেন এবং ভাল নির্বাহী কর্মকর্তার খরায় ভুগছিলেন সেগুলোর অর্ধেক তিনি রাণীকে দিয়ে দিয়েছেন। নাগরিক-তন্ত্রের জন্য যেসব প্রজা আন্দোলন করা শুরু করেছিল সেটা থিওসীর শান্ত মষ্তিষ্কের বুদ্ধি না থা থাকলে স্পার্টা, এথেন্সের ন্যায় কিং থিওডক্সাসের রাজ্যেও নগর রাজ্য প্রতিষ্টিত হয়ে যেত।
কয়েক ঘন্টা পরেই সূর্যদেব ওঠবেন, এবং ৩'রা মার্চের দিন শুরু হবে। থিওসীর স্বামী কিং থিওডক্সাস সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন ঠিক ৩ বছর আগের এই তেসরা মার্চে। রাতভোর সময়। ঝলমলে চাঁদ পশ্চিমাকাশে নিজেকে খুইয়ে ফেলেছে মধ্যরাতের আগেই তাই একেবারেই ঘুটঘুট অন্ধকার এখনো। হপলাইট(সৈন্য/দেহরক্ষী) লিউওডেনাস হঠাৎ অস্ফুট ধ্বনি শুনল। সে নিঃশ্চিত এটা মহীয়সী থিওসী'র কন্ঠ। নিশ্চয়ই কোন গোলমাল হয়েছে। প্রাতঃবেলায়ই তুর্যধ্বনি শোনার কথা। আর রাণীর কিছু হলে অবস্থা শেষ।
সাধারণত রাণীর অনুমতি ছাড়া লিওডেনাস বাসকক্ষে প্রবেশ করে না। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এ বিপদজনক মুহুর্তে তাকে যেতেই হবে। তাই সে সংকোচবোধ রেখেও তৈলবাতি হাতে দ্রুতপায়ে এগিয়ে গেল।
ততক্ষণে প্রায় নগ্ন থিওসী ফুলশয্যায় উঠে বসেছেন। পরিচর্যাকারীণীগণও কেউ জেগে নেই। রাণী তাঁদের কাউকেও ডাকছেন না। তাঁর বক্ষযুগলও সম্ভবত উন্মুক্ত কারণ পেছন দিকটা পুরোপুরি খালি এবং তিনি ঘেমে গেছেন। তৈলবাতির শিখায় গৌর পিঠদেশে ঘামের বেশ বড় বড় বিন্দুগুলো লাল আলো প্রতিফলন করছে। মহামান্য রাণীকে এ অবস্থায় দেখে প্রৌঢ় লিউওডেনাস মাথা নিচু করে ফেলল। সে অবনত মস্তকে জিজ্ঞেস করলো
☞ আদেশ শিরোধার্য। মহারাণী আমার মস্তক আপনার পদতলে অর্পিত।
মহামান্য থিওসী কিছু বললেন না। স্ব বক্ষদেশ চিলতনের(জামা) একটা অংশ দিয়ে আপাত আবৃত করে পানি পানের ইংগিত করলেন।লিওডেনাস মনে মনে চিন্তা করছে তাঁর স্ত্রী এলিসার সমবয়সী হবেন মহীয়সী এ নারী। উজ্জল গৌরবর্ণের রাণী এ রাজ্যের সবচেয়ে জ্ঞানী অথচ দুর্বল বাহু সম্পন্ন নিষ্টুর একজন নারী। রাজ্যে কোনসময় বিদ্রোহ দেখা দিলে সে রাণীকে নিয়ে কোথাও পালিয়ে যাবে। প্রয়োজনে মেসিডোনিয়ার* গ্রামে গিয়ে স্থায়ী বাসস্থাপন করে ফেলবে।
লিও যখন এইসব ভাবছে ততক্ষণে রাণী থিওসি এক মটকা পানি গোগ্রাসে গিলে ফেললেন যেটা লিওডেনাসের কাছে বেশ অস্বাভাবিক মনে হলো। সে গর্দভের মতো তখনও দাঁড়িয়ে থাকল। রাণী তাঁকেও যেতে বলছেন না। পানি পান করে তিনি অবশের মতো চুপটি করে বসে থাকলেন। তাঁর অজান্তেই বক্ষদেশ থেকে চিলতনের অংশটুকু পড়ে গেল। লিও বেশ খানিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর তিনি উঠে দাঁড়ালেন। বিশ্বস্ত লিওডেনাস তখনও মাথা নিচু করে আছে।
রাণী নিঃসংকোচে পাশে রাখা স্ট্যান্ড থেকে স্ট্রফিন পরে নিতে চাইলেন। তিনি সম্পুরণ অনাবৃত হয়ে এক মুহুর্ত আড়চোখে খেয়াল করলেন লিও তাঁর দিকে তাকাচ্ছে কি-না। যথারীতি সে তাকায় নি দেখে আশ্বস্ত হলেন।
লিওডেনাস নিজেকে ধৈর্য্যবান হিসেবে দেখার শপথ নিয়েছে। সে চায় না রাণীর সাথে সংগমে লিপ্ত হয়ে তাঁর মাথাটি দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হোক। কিন্তু অন্যান্য দিনের মতো আজও নিষ্টুর থিওসী তাঁকে যন্ত্রণা দেয়ার মতলবে নিজের দেহাংশবিশেষ কৌশলে দেখিয়ে ছাড়লেন। সে আড়চোখে এখনো দেখছে থিওসী তার দিকে চেয়ে মৃদু হাসছেন। সে ভেতরে ভেতরে ক্রোধে জ্বলছে আর রাণী সেটা বুঝেই হাসছেন। এই বালিকার বয়স বড়জোর ২৫-২৬ হবে। অথচ কি নিষ্টুরতা এই রাণীর মনে। স্কিইরোস রাজ্যের সবাই জানে রাণী মহীয়সী। অথচ আমি জানি রাণী থিওসী অ্যারিপাস কতটা নিষ্টুর।
☞ যাও। আমি আজ আর ঘুমাবো না। কিং থিও কি করছেন আমাকে জানাও।
☞ যথা আজ্ঞা, মহারাণী।
যাবার সময় লিও উভয় কানে শুনল নিষ্টুর রাণীর অট্রহাসি। এই হাসির কারণ সে জানে। সে রাণীকে ১০১ বার অভিশাপ দিতে দিতে কিং থিওডোরের একান্ত সচিব ও দেহরক্ষী অলিপের কাছে গেল। অলিপ তাকে জানাল কিং এখনো ঘুমে আছেন।
থিওসীর কক্ষে আবার যখন সে যাবার অনুমতি প্রার্থনা করল, ততক্ষণে রাণীর সহচারীণী দলের প্রধাণ আর্কেনিক্সা পথ আগলে বললেন-
☞ রাণী আমাকে জানানোর জন্য বলেছেন। মহামান্য কিং কি করছেন?
☞ মহামান্য কিং এখনো ঘুমন্ত।
☞ যাও দরজার ওপাশে দাঁড়িয়ে থাক। আর তোমার সময় শেষ হলে গ্রেগজি আসবে তাই না?
☞ ও তো স্বপ্নের তাবির বলতে পারবে তাই না?
☞ হ্যাঁ মহান আর্কেনি।
☞ ঠিক আছে। তুমি এখন যাও।
♋ গ্রেগজি
লিওডেনাস চলে গেছে। গ্রেগজি এসে পৌছার পরপরই তাঁকে রাণীর সুসজ্জিত অন্তঃ দরবার কক্ষে ডাকার কথা। এই লোকটি একই সাথে একজন সৈন্য, দর্শন বিষয়ক জ্ঞানী ও জ্যৌতির্বিদ।
শাশ্রুমন্ডিত গ্রেগ এই প্রথম রাণীর অন্দরমহলের দরবার কক্ষের অভ্যন্তরের দেয়াল দেখার সূযোগ পাচ্ছেন। তিনি রাণীর সামনে দন্ডায়মান হয়ে খানিকটা উদ্বেগ অনুভব করলেন। অবশ্য পাশের আর যারা পরিচারিকা ও সহচর আছেন সবাইকে বিদায় করে দিতে চাইলেন। রাণী প্রথমে অসম্মত হলেও পরে বিশেষ বিবেচনায় সহমত হলেন।
রাণী তাঁকে বললেন যে, তিনি স্বপ্নে দেখেছেন তাঁর কাছে দুই টুকরো পাথর। একটি স্বর্ণের আর অন্যটি রৌপ্যের। ঠিক মনে পড়ছে না কোন হাতে কোনটি ছিল। দুটোই তাঁর কাছে মনে হয়েছিল লোভনীয় সুন্দর। এখনো কল্পনার চোখে চিকচিক করে ঠিকরে বেরুচ্ছে সৌন্দর্য।
অভিজ্ঞ গ্রেগ'কে অনেকটা চিন্তিত দেখা গেল। তাঁর উজ্ঝল গৌরবর্ণের কপালে ক্ষণিকের ভাঁজ স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে। রাণী তাঁকে হটকারিতামূলক চিকন ধমক দিয়ে বললেন কি এর ব্যাখ্যা? বলছেন না কেন?
গ্রেগ বিনয়ী ও ভারী কন্ঠে রাণীকে জানালেন, কয়েক বছরের মধ্যেই উনার ২টি সন্তান আসবে। এরা হবে যমজ। একটা সন্তান রাজ্যের শাসনের জন্য উপকারী আর অন্য সন্তানটি রাজ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হবে। তাঁরা দুজন যুদ্ধ করবে এবং চুড়ান্ত একটা সময়ে যেকোন একজন অপরজনের হাতে মারা যাবে।
রাণী ভেতরে ভেতরে অনেক খুশি হলেও সমস্যায় পড়ে গেলেন। তিনি দেরি না করে রাজার কাছে খবর পাঠালেন একজন রাজকর্মচারী দিয়ে সাথে গ্রেগকেও পাঠিয়ে দিলেন।
কিং থিওডক্সাস তখন রাজ সিংহাসনে অধিষ্টিত হয়ে সভাষদগণের সাথে একটা বিষয় নিয়ে দরকষাকষিতে ব্যস্ত ছিলেন। রাণীর অন্যতম প্রধান রাজ কর্মচারী ও এক সৈনিক'কে দেখে তিনি খানিকটা গম্ভীর হয়ে গেলেন। সভাসদগণও নিজেরা নিজেরা মৃদু আলোচনায় থেকে অবশেষে নিরব হয়ে গেলেন।
☞ মহান কিং থিওডক্সাস। রাণী এই জ্ঞানী লোকের সাথে আপনার কথোপকথন চান। তিনি একটি গোপন চিঠিও দিয়েছেন আপনার সৌজন্যে।
☞ সম্মানিত সভাসদগণ!! আপনারা আমার দিকে মনোযোগ দিন। ইনি হলেন গ্রেগজি। আজ থেকে উনি নতুন রাজ জৌতিষী হিসেবে আমাদের প্যালেস এ থাকবেন। সম্মানিত গ্রেগজি, দয়া করে বিষয়টা খুলে বলুন।
গ্রেগজি, আনন্দের অতিশয্যে খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলেন। তিনি কোনমতে অবশ্য নিজেকে সামলে নিতেও সক্ষম হলেন এবং কয়েক মুহুর্ত দম নিয়ে বিনয়ের সহিত সবকিছু খুলে বললেন।
রাজা ততক্ষণে মনে মনে হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন। কারণ আগের বুড়ো জৌতিষী উনাকে বলেছিল থিওডক্সাস বাবা হবার সম্ভাবনা অনেক কম। আশা করা উচিত নয়। অবশ্য ঐ জৌতিষীর ঘাড়ে মষ্তকটা তিনি আর থাকতে দেন নি। ঐ মুহুর্তে পুরো রাজসভায় তিমির নেমে এসেছিল। আর তিনি সবাইকে নিয়ে অপবিত্রতার মাদক উল্লাসে সবকিছু ছাপিয়ে যেতেও পেরেছিলেন। রাজা অনেক আশাপ্রদ হলেন যে, উনার বন্ধ্যাত্ব ঘুচবেই এবার।
♋ দ্বীপরাজ্যের বালিকারা
স্কিইরোস দ্বীপরাজ্যের চতুর্দিকে সলিলে ঘিরে রাখা অ্যাজিয়েনের নীল স্রোত বয়ে চলে। সে কারো ধার ধারে না। সাগরের শেষ প্রান্তে প্রান্তে পানির স্রোত ভেদ করে মাথা উঁচু করে থাকা পাথুরে শীলাময় ধুসর ও কালো পাহাড়গুলো যেন স্কিরোস এর মধ্য দিয়ে ঘটে যাওয়া সব ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইল।
ঐ সময়ে রাজজৌতিষী পদে নিয়োগ পাওয়া বিজ্ঞ গ্রেগজির কথামত আড়াই বছর পরে ঠিকঠিকই রাণীর কোলে ফুটফুটে দুটি সন্তান আসলো। রাণীর আনন্দ কে দেখে। তিনি যারপরনাই উৎফুল্ল। সন্তানের মুখ দেখামাত্রই তাঁর শিশু প্রস্রবকালীন ক্ষণসমুহের যাবতীয় দুঃখ ও নিদারুণ যন্ত্রণাগুলো ভুলে গেলেন।
ভারী খুশি হলেও রাজরাণী মহাচিন্তিত হলেন যখন গ্রেগ জানালেন এর একটাকে মেরে ফেলতে হবে। একটি সন্তান এ রাজ্যের জনগণ ও রাজ্যের জন্য বিপদ ও ক্ষতিকর হবে। অপর সন্তান রাজ্যের জন্য ভাল হবে। এখন কল্যাণের সন্তান ও অকল্যাণের সন্তান নির্ধারণ করতে হবে। এই কাজটি করা কিভাবে?
কোনভাবেই তিনি সনাক্ত করতে পারলেন না কোনটি সু আর কোনটি অসুর।
পদারোহণ করা রাজজৌতিষীকে কিং থিওডক্সাস জিজ্ঞেস করলেন-
☞ কি জৌতিষী? তুমি কিছু বলছো না কেন?
☞ আমার সব জ্ঞানার্জন আপনার পদতলে অর্পিত। মহামান্য থিওডোর। আমি সঠিক ও বাস্তবিক কোন পরিক্ষণের উপায় পাচ্ছি না। তবে দেবতা অ্যাপলো'র সম্মানে ৭ কুমারী বলি দিতে হবে। তাঁদেরকে অ্যাজিয়েন সাগরের তীরে নীল পানিতে বলি দিতে হবে। এরপর ইশ্বর কর্তৃক কোন নির্দেশিকা আসার সম্ভাবনা আছে।
মহামান্য কিং থিওডক্সাস অনেকক্ষণ থ হয়ে বসে রইলেন। এরপর রাণীর অন্দরমহলে চলে গেলেন। রাণীর সাথে পরামর্শ করে আসলেন। তিনি নির্দেশ দিলেন রাজ্যের যত সুন্দর কুমারী আছে সবাইকে যেন রাজপ্রসাদে আনা হয়।
রাজ্যের প্রশাসনিক যত নিরাপত্তা কর্মী রয়েছেন তারা রাজার হুকুম পালন করতে সাথে সাথে লেগে গেলেন। ২ দিনের মাথায় তারা বেছে বেছে ১০০০ এরও অধিক তরুণী জোগাড় করে ফেললেন। এখন অপেক্ষার পালা পূর্ণিমার।
যথারীতি পূর্ণিমাও এলো। কিন্তু সিলেক্টেড কোন কন্যাই রাজী হলেন না। রাজা ও রাণী দেখে দেখে কিছুক্ষণ পর উভয়েই মেজাজ খারাপ করে ফেললেন।
সাত বলিষ্টদেহী সৈনিক সাত মেয়েকে পিছমোরা করে বেঁধে ফেললো। পরিচর্যাকারীনী ১৪ জন প্রৌড় ও রুঢ় মহিলাগণ জোর করে তাদের বলির পোশাক পড়িয়ে দিলেন। হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রতীরে দাঁড়িয়ে আছে। তারা সবাই একটি ঘটনার সাক্ষী হতে চলেছে। একটি ইতিহাসের সাক্ষী হতে চলেছে। বেশ কয়েক যুবককে অপ্রস্তুত, বিষন্নও দেখা যাচ্ছে। তারা মেনে নিতে পারছে না এই বলিদানকে। কিছুক্ষণ আগেও অনেক মা ও বাবাকে মাথা কুটতে দেখা গিয়েছিল তারা এখন নিথর পাথরের মতো দাঁড়িয়ে স্বর্গগামী অপ্সরাদের দেখছে।
লাল জামায় তাদের লালপরী'র মতো লাগছিলো। অ্যাজিয়েন সমুদ্র তীরের বাতাসে তাদের জামার পেছন দিকটি এমনভাবে উড়ছিল। তাঁরা সবাই এখন মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত। অনন্ত অসীম একটি জগতে ঢুকতে চলেছে তাঁরা।
☆ পাদটিকাঃ
☉ স্কিইরোস
অ্যাজিয়েন সাগরের দ্বারা পরিবেষ্টিত একটি দ্বীপ। এটি একটি গ্রিস দ্বীপ। এর সমুদ্রতীরের জন্য এটি বিঃখ্যাত। তট অনেক এবড়োথেবড়ো এবং অনেক বনাঞ্চলও দেখা যায়।
☉ হপলাইট
প্রাচীন গ্রিসের সৈন্যবিশেষ। নগর রাজ্যের বিশেষ সৈন্য যারা হেলমেট ও বর্শা অধিকতর উন্নত ছিল।
☉ মেসিডোনিয়া
গ্রিসের সবচেয়ে বৃহৎ ও ২য় জনবহুল রাজ্য। এটি এখনো আছে।
☉ চিলতন
প্রাচীন রোমান ও গ্রীসের রাজরাজরাদের পোষাক। অবশ্য অভিজাত অনেকেই ব্যবহার করতে পারতেন।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১