somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাসূল সা. এলেন মদীনায়

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



[b]প্রারম্ভিকা[/b]
প্রিয়নবী সা. এর জীবনী তথা সীরাত নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় অনেক লেখা হয়েছে, বিভিন্ন আঙ্গিকে মহানবী সা. এর মহান জীবনাদর্শকে তুলে ধরা হয়েছে এখনো হচ্ছে। কিন্তু বাংলা ভাষায় সীরাত বিষয়ে গ্রন্থনা খুব বেশি একটা এগোতে পারে নি। এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক গ্রন্থ খুবই সীমিত। তাই এ ক্ষেত্রে সামান্য কিছু ভূমিকা রাখার চেষ্টা করছি। প্রিয় সকল ব্লগার ভাই-বোনদের আন্তরিক সহযোগিতা পেলে হয়তো সামান্য কিছু কাজ হতেও পারে।

মহানবী সা. এর জন্ম-মৃত্যুর স্মৃতি বিজড়িত গুরুত্বপূর্ণ মাস রবিউল আউয়াল চলছে। এ উপলক্ষ্যে ২০০৪ সালে শুরু করা সীরাত বিষয়ের লেখা গুলোকে আবার রিভাইস করার চেষ্টা করছি। মহানবী সা. এর মাদানী জীবনী তথা মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত এবং হিজরতের পর থেকে নিয়ে রাসূলের ইন্তেকাল পর্যন্ত সময়ের ইতিহাস নিয়ে ‌'সীরাতে মদীনা' নামে একটি সিরীজ প্রকাশনা হাতে নেয়া হয়েছে। অফ লাইনের পাশাপাশি অন লাইনেও বিষয়টি সকলের সাথে শেয়ার করার উদ্দেশ্যেই এটি প্রকাশ করা হলো। সকলের মতামত ও পরামর্শ একান্ত কাম্য।

(মহানবী সা. এর মাদানী জীবনী ভিত্তিক সিরীজ ‘সীরাতে মাদীনা’-১)
রাসূল সা. এলেন মদীনায়

মদীনার পথে:

উচু-নিচু বালিয়ারি আর টিলা টক্কর পেরিয়ে, বালির সমুদ্রের মধ্য দিয়ে একটি ক্ষুদ্র কাফেলা ধীরে ধীরে এগিয়ে চলছে সম্মুখ পানে। একজন রাহবার হিসাবে আগে আগে চলছে। আর তার পিছনে দুটি উটে তিনজন আরোহণ করে এগিয়ে আসছে।
অপ্রাপ্তির বেদনা আর বঞ্চনার দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে, ভবিষ্যত প্রাপ্তি ও সফলতার আশা-নিরাশার দোলায় দুলতে দুলতে এগিয়ে চলছে কাফেলা।
ইতোপূর্বে সম্ভবত: আর কখনও এ আসমান তার নীচ দিয়ে এ ধরনের কোন কাফেলাকে যেতে দেখেনি। এ জমিন তার ওপর দিয়ে সৌভাগ্য ও মর্যাদার অধিকারীকে বিচরণ করতে দেখেনি এমন ভগ্ন হৃদয় নিয়ে। ইতিহাসকেও সম্ভবত: আর এ ধরনের বেদনাবিধূর কোন স্মৃতিচারণের সম্মুখীন হতে হয়নি। কেননা এ কাফেলার মাঝে রয়েছেন শ্রেষ্ঠনবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর প্রধান সহচর সিদ্দিকে আকবর হযরত আবু বকর (রা.)। অপর দুজনের একজন হযরত আবু বকর (রা.)-এর গোলাম আমের বিন ফুহাইরা ও অপরজন ভাড়ার বিনিময়ে পথ দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নির্ধারিত বেদুঈন আব্দুল্লাহ বিন উরাইকিত।

রাসুলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উটের পিঠে করে চলছেন। কিন্ত তার দু’চোখ থেকে অশ্রু প্রবাহিত হচ্ছে। মক্কাবাসী কাফিরদের অবাধ্যতা ও ঈমান গ্রহণ না করে নিজেদের ভ্রান্ত বিশ্বাসে অটল থাকার গোঁড়ামির কারণে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার আশাহত ও মর্মাহত হচ্ছেন। প্রিয় জন্মভূমির মায়ায় বারবার পিছনে ফিরে তাকাচ্ছেন আর দুঃখে কাতর হচ্ছেন অতীতের স্মৃতি স্মরণ করে।
হযরত আবু বকর (রা.) -এর মনের অবস্থা আরো করুণ। একদিকে ঘর-বাড়ী, বাগ-বাগিচা এবং সন্তান-সন্ততি কাফিরদের মাঝে ফেলে আসার কারণে মনে দূর্ভাবনা ও দুশ্চিন্ত, অপরদিকে রাসুলের নিরাপত্তার ব্যাপারে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা তাই বারবার তিনি চতুর্দিকে তাকাচ্ছেন আর মহানবীর নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তিত হচ্ছেন।
কিছুক্ষণ পর সামনের দিক থেকে এক ব্যক্তিকে আসতে দেখা গেলো। হযরত আবু বকর (রা.) এর মনে ভাবনার উদয় হলো, কে এই ব্যক্তি? কিন্ত অল্প সময় পরই তিনি এই ভেবে আশ্বস্ত হলেন যে, লোকটি যেহেতু সিরিয়ার দিক থেকে আসছে, তাই সে হয়তো আমাদের সর্ম্পকে কিছু জানে না। সুতরাং তাকে দিয়ে আমাদের ক্ষতির কোন সম্ভাবনা নেই।

উভয় কাফেলা যখন সামনা সামনি হলো, তখন লোকটি হযরত আবু বকর (রা.) কে চিনতে পেরে বলে উঠল- আরে! এতো দেখছি আবু বকর ইবনে কুহাফা। কী খবর? কেমন আছো?
হযরত আবু বকর (রা.) জবাব দিলেন- আল হামদুলিল্লাহ! ভালো। তুমি কেমন?
লোকটি বলল -ভালো। তোমার সাথে (রাসূলকে দেখিয়ে) ইনি কে? হযরত আবু বকর (রা.) চিন্তায় পড়ে গেলেন কি জবাব দিবেন? সত্য কথা বললে সমস্যা হতে পারে, আবার মিথ্যা বলাও অসম্ভব। খানিকক্ষণ চিন্তা করে সাথে সাথেই তিনি প্রত্যুৎপন্নমতিত্বের সাথে জবাব দিলেন -‘হা-যার রাজুলু ইয়াহ দিয়ানী সাবীল’ -ইনি আমার পথ প্রদর্শক।

লোকটি মনে করলো- রাসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু বকর (রা.) এর গাইড। যে কিনা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে পথ দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায়। আর হযরত আবু বকর (রা.) রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পথ প্রদর্শক বলেছেন এই উদ্দেশ্যে যে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁকে হিদায়াতের প্রতি পথ নির্দেশ করেন। অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যান।
এরপর লোকটি মক্কার দিকে চলে গেলো। হযরত আবু বকর (রা.)ও নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে নিয়ে সমুদ্রতটবর্তী রাস্তা ধরে মদীনার দিকে এগিয়ে যেতে লাগলেন।

*** *** ***
স্তব্ধ মক্কা নগরী। চারিদিকে থমথমে ভাব বিরাজ করছে। কুরাইশ নেতৃবৃন্দের মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে। তাদের সকল গর্ব অহংকার ধুলার সাথে মিশে গেছে। লজ্জায় নত হয়ে আসছে তাদের উদ্ধত মাথাগুলো। ব্যর্থতার গ্লানি তাদেরকে কুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছে।
তাদের প্রানের শত্রু মুহাম্মদ নিরাপদে মক্কা ছেড়ে চলে গেছেন। অথচ তাঁর কেশটি পর্যন্ত স্পর্শ করতে পারেনি। গায়ে একটি আঁচড় ও কাটতে পারেনি। আজ তিন দিন হয়ে গেল, সারা মরুভূমি তন্ন তন্ন করে খুঁজেও মুহাম্মাদকে ধরতে পারেনি। মুহাম্মাদকে ধরে আনা তো দূরের কথা তাঁর কোন সন্ধান ও তারা পায়নি। একশো উট পুরষ্কার ঘোষনা করেও করতে পারেনি কোন সুবিধা। তাদের সকলের মুখে চুনকালি মেখে দিয়ে মুহাম্মাদ যেন হাওয়ায় মিশে গেছেন।

কাবা শরীফের আশপাশে, এখানে সেখানে ছোট ছোট অনেক মজলিশ বসেছে। সব মজলিশের আলচ্যে বিষয় একটিই, তা হল মুহাম্মাদের নিরাপদে মক্কা ত্যাগ এবং কুরাইশ নেতৃবৃন্দের ব্যার্থতা। এমনই এক মজলিশে বসা সুরাকা বিন জিশাম। তাঁর পাশে আছে উতবা, শাইবা, উমাইয়া ইবনে খলফ্ প্রমুখ ব্যাক্তিবর্গ। এখানের আলোচ্য বিষয় ও ঐ একই।
কথার মাঝে উতবা বলে উঠল-কি আশ্চর্য! আজ তিন দিন হয়ে গেলো, অথচ এখন ও পর্যন্ত কুরাইশরা মুহাম্মাদকে ধরে আনতে পারলোনা।
উমাইয়া ইবনে খলফ্ বললঃ শুনেছি আবুল হিকাম (আবু জাহেল) মুহাম্মাদকে ধরে দিতে পারলে নাকি একশো উট পুরষ্কার দেয়ার ঘোষণা করেছেন। এবার মুহাম্মাদ কারো না কারো হাতে ধরা পড়বেই। আর সে বাঁচতে পারবেনা।
শাইবা বললঃ আরে মুহাম্মাদ গেলো তো বুঝলাম, কিন্তু আবু বকরকে ও সে কি রকম জাদু করল সে বোকা লোকটি তার পিছনে পিছনে বাড়ী-ঘর, বাগ-বাগিছা সব ফেলে রেখে রওনা হলো। এমন সময় তাদের সামনে এক আগন্তুক এস উপন্থিত। দীর্ঘ সফরের কারণে যার চুল-দাড়ি এলোমেলো হয়ে গেছে। পরিধেয় পোষাকে ধুলা-বালির আস্তর পড়েছে। সে পুরো কথা শুনতে পায়নি, শুধু আবু বকর নামটি শুনেছে এতেই সে কৌতুহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করলঃ এ্যা! আবু বকর কি করেছে?
উতবা তার এই কথায় ক্ষিপ্ত হয়ে বলল- আরে! এতো দেখছি মহা বোকা, আশে পাশে কি ঘটছে কিছুই খবর রাখে না।
লোকটি বললঃ হ্যাঁ ভাই, আমি বেশ কিছু দিন যাবৎ মক্কার বাইরে ছিলাম। এ সময় মক্কায় কি ঘটেছে তার কিছুই আমি জানি না। এইমাত্র আমি মক্কায় প্রবেম করেছি।
তার কথা শুনে শাইবা তার প্রতি একটু দরদী হলো, সে তাকে জিজ্ঞাসা করলো: তাহলে এতদিন তুমি কোথায় ছিলে?
সে বললঃ গত আড়াই মাস পূর্বে আমাদের কাফেলা ব্যবসার উদ্দেশ্যে সিরিয়া যাত্রা করে। প্রায় পনের দিন সেখানে থাকার পর আমরা মক্কার দিকে যাত্রা করি। তখন আমাদেও সাথে ছিল ব্যবসার মূল পুঁজি এবং তার লভ্যাংশ দ্বারা কিনে আনা সিরিয় মাল-সামানা, মক্কায় যার চাহিদা অত্যাধিক। কিন্তু কাফেলা প্রতিমধ্যে মরু ডাকাতদের কবলে পতিত হয় ডাকাতরা আমাদের কাফেলার সকলকে হত্যা করে আমাদের আসবাবপত্র সমূহ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ভাগ্যক্রমে আমি সকলের পিছনে এবং ডাকাতরা হামলা করার সময় আমি পাথরের একটি গর্তের ভেতর আত্ম গোপন করেছিলাম। যার ফলে আমি তাদেও হামলা থেকে বেঁচে যাই। এরপর রাত্র হয়ে গেলে আমি গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে পথচলা আরম্ভ করি এবং বহু কষ্টে এ পর্যন্ত এসে পৌছি।
তার এই কাহিনী শুনে সকলে কিছুটা নরম হলো। কিছুক্ষণ পর সে আবার হযরত আবুবকর (রাঃ) কি করেছে তা জনাতে চাইলে উমাইয়া বিন খলফ্ বললঃ আরে আর বলোনা। আব্দুল্লার ছেলে মুহাম্মাদ আমাদের দেবাতাদের মুখে চুন-কালি ছিটিয়েছে, আর আবু বকর তাঁকে সাহায্যে করেছে। আমার এখন যখন তাকে সায়েস্তা করার মনস্থ করেছি তখন সে রাতের আধাঁরে আবু বকরকে সাথে নিয়ে মক্কা ছেড়ে পালিয়েছে।

লোকটি তখন বলল, আমি আসার সময় সমুদ্রতটবর্তী রাস্তা ধরে আবু বকর কে যেতে দেখেছি তাঁর সাথে আরো দু তিনজন লোক ছিল। সম্ভবত: মুহাম্মদও তাদের মধ্যে আছে।
সুরাকা বিন জিশাম এতক্ষণ চুপ-চাপ বসেছিল। সে ছিল অত্যন্ত চতুর ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। লোকটির কথা শুনে সে বুঝতে পারলো যে, তার কথা পুরো পুরি সত্য এবং সে মুহাম্মাদের কাফেলাই যেতে দেখেছে। কিন্তু সে চাচ্ছিল যে, মুহাম্মাদকে ধরার সকল কৃতিত্ব সে একাই অর্জন করবে, একশো উটের একচ্ছত্র অধিপতি সেই হবে।তাই সে লোকদেরকে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে বললঃ
না, না । তা কখনোই হতে পারে না। আমি একটু আগেও সেদিকে তাদেরকে খুঁজে এসেছি। তুমি হয়তো অন্য কাউকে দেখেছো ।
সুরাকার কথাই সবার কাছে বিশ্বসযোগ্য মনে হলো। ফলে লোকটির কথায় আর কেউ ভ্রুক্ষেপ করলো না।
কিছুক্ষণ পর সুরাকা সেখান থেকে উঠে বাড়ী চলে গেল। বাড়ী পৌঁছেই সুরাকা অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হলো। তারপর সে তার গোলামের মাধ্যমে দ্রুতগামী একটি ঘোড়ার উপর জিন চাপিয়ে সেটিকে শহরের বাইরে পাঠিয়ে দিল। কিছুক্ষণ পর সে নিজেও সেখানে পৌঁছে গেল। সে চাচ্ছিল মক্কার বাইরে যাওয়ার পূর্বে তাকে যেন কেউ না দেখে। এরপর সে ঘোড়ার উপর সওয়ার হয়ে ঘোড়াকে দ্রুত সমুদ্রতটাভিমুখে হাকালো। মনিবের নির্দেশ পেয়ে ঘোড়া ধুলি উড়িয়ে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে চলল আপন গন্তব্যের দিকে।

*** *** ***
কাফেলা একদিন এক রাতের পথ অতিক্রম ধরে এগিয়ে চলছে। পরদিন দুপুর বেলা। সূর্য যেন আগুন ঝরাচ্ছে। এক তো মরুভূমি, তার উপর আবার সূর্যেও প্রচন্ড তাপ। কাফেলার সকলে ঘেমে-নেয়ে একাকার।
হযরত আবুব্কর (রাঃ) চাচ্ছিলেন রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম একটু বিশ্রাম নিন। তিনি চারদিকে দেখে নিয়ে কিছুদুরে পাহাড়ের পাদদেশে একটু ছায়ার সন্ধান পেলেন। তাই সেখানে গিয়ে তিনি নেমে পড়লেন এবং স্থানটি পরিষ্কার করে তাকে বিশ্রামের উপযোগী করে তুললেন। অতঃপর ভেড়ার চামড়া বিছিয়ে তাতে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অবতরণ করলে হযরত আবুবকর (রাঃ) ইহার পরিবেশন করলেন। অতঃপর আহার করলেন সকলকে নিয়ে। কিছুক্ষণ পর প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চোখ বন্ধ করলেন এবং ঘুমিয়ে পড়লেন। হযরত আবু বকর (রাঃ)ও খানিক বিশ্রাম নেওয়ার ইচ্ছায় শুয়ে পড়লেন।
শেষ বিকেল সূর্য যেন পশ্চিম আকাশে পালাবার পথ খুঁজছে। কাফেলার সকলে প্রস্তুত হতে লাগলেন। রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত আবু বকর (রাঃ) কে জিজ্ঞাসা করলেন একন ও কি রওয়ানা হওয়ার সময় হয়নি?
এমন সময় দক্ষিণ দিগন্তে উড়ন্ত বালুর সরু চিহ্ন দেখা গেল। সাথে সাথে হযরত আবু বকর(রাঃ) এর অন্তরে অমঙ্গল চিন্তার উদয় হলো।
ধীরে ধীরে উড়ন্ত বালুর চিহ্ন স্পষ্ট হতে লাগলো এবং এক সময় তা এক আশ্বরোহীর রূপ পরিগ্রহ করলো। এবার হযরত আবু বকর (রাঃ)এর সন্দেহ পোক্ত ও দৃঢ় হতে লাগলো। এরপর এক সময় আশ্বারোহী ও রাসূলে আরাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মধ্যকার দূরত্ব কমতে লাগলো, আর হযরত আবু বকর (রাঃ) অন্তরের কম্পন ও বাড়তে লাগলো। তিনি নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নিরপত্তার ব্যাপারে পেরেশান ছিলেন যে, এই বুঝি কাফিরার রাসূলকে ধরে ফেলে। প্রাণপ্রিয় শ্রেষ্ঠনবীকে বুঝি এবার সত্যিই হারালাম। এই সকল দূর্ভাবনায় হযরত আবুবকর (রাঃ) আরও কিছু সময় সেখানে থাকতে চাচ্ছিলেন এবং সূর্যাস্তের পূর্বে সফর করতে চাচ্ছিলেন না। তাই তিনি সবিনয়ে নিবেদন করলেন-ইয়া রাসূলাল্লাহ! এখনও তো আমরা শত্রু পরিবেষ্টিত।

কিন্তু রাসূলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন একবোরে নিশ্চিত-নির্বিকার। আপন মনে তিনি কোরআন তেলাওয়াত করছিলেন। নিজ নিরাপত্তা নিয়ে তিনি মোটেও চিন্তিত নন। বরং তার বদ্ধমূল ধারনা, যে প্রভু আমাকে মক্কার কাফিরদের শত্রু বেষ্টনি হতে নিরাপদে মুক্ত করে এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। তিনি আমাকে আমার অভিষ্ট লক্ষ্যে, মনযিলে মাকছাদে নিয়ে পৌছাতেও সক্ষম। তাই তিনি প্রশান্ত চিত্তে জবাব দিলেন-আবু বকর! ভয় পেয়ো না। আল্লাহ আমাদের সাথে আছেন ।
কিন্তু ইতিমধ্যে পিছনের আশ্বরোহী এগিয়ে আসায় হযরত আবু বকর (রাঃ) এর অন্তরের দুশ্চিন্তা আরো বেড়ে গেলো । হযরত আবু বকর (রাঃ) এর অন্তরের বম্পর যখন বিস্ফোন্মুখ এমন সময় সকলে পিছনে সবাই আত্মচিৎকার শুনতে পেলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) পিছনে ফিরে দেখলেন, অশ্বারোহী ঘোড়া হোচট খেয়েছে, এবং অশ্বারোহী ঘোড়া থেকে চিটকে পড়েছে।
কিছুক্ষন পর আবারো ঘোড়ায় সওয়ার হলো এবং রাসূলের পশ্চাৎদ্ধাবন করতে অগ্রসর হলো। কিন্তু কিছু দূর যেতে না যেতেই আবারো তার সে একই দশা হলো, ঘোড়া হোচট খেলো এবং সে ভূতলে আছড়ে পড়লো। কিন্তু তা সত্বেও অশ্বারোহী নিজেকে সামলে নিলো এবং ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে ঘোড়া আবারো সামনে হাঁকালো। কিন্তু কি আশ্চর্য! ঘোড়া এবার সামনের দিকে অগ্রসর না হয়ে বরং উল্টোদিকে ছুটতে লাগলো।
এবার অশ্বারোহী ঘাবড়ে গেলো। তার মনে দুশ্চিন্তার উদয় হলো, সে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে গেলো। সে ভেবে পাচ্ছিলো না যে, বালির সমুদ্রে ঘোড়া কিভাবে হোচট খায়। সে খানে কোন টিলা-টক্কর, উঁচু-নিচু পাথর খন্ড নেই সেখানে বারাবার কি করে ঘোড়া বাধাপ্রাপ্ত হয়। কিন্তু অন্য একটি লোভ তার এ ভাবনাকে বেশিদূর অগ্রসর হতে দিল না।
একশো উট পুরষ্কার হিসাবে পাওয়ার বাসনা তাঁর দূর্ভাবনা ও দুশ্চিন্তার স্থান দখল করে নিলো। সে আবারো উদ্যোমী হলো এবং ঘোড়াকে সম্মুখে পরিচালিত করলো। ঘোড়া ও এবার আর দ্বিমত না করে এগিয়ে চললো।
যখন সে মহানবীর একেবারে নিকটে এসে পড়লো যে, সে প্রিয়নবীর কুরআন তিলাওয়াত আর রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও হযরত আবুবকর (রাঃ) তার ঘোড়ার খুরের খটখট ধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলেন, তখন তার ঘোড়া আবারো প্রচন্ডভাবে ঝাঁকি খেলো। ঘোড়ার সামনের পা দু’ টো মরুভূমির সুকনো মাটিতে প্রায় অর্ধেক গেড়ে গেলো। আরোহী টাল সামলাতে না পেরে উল্টে পড়ে খুব জোরে আছাড় খেলো। অল্পের জন্য তার ঘাড় ও হাত পা ভাঙ্গার থেকে রক্ষা পেলো। তার চেহারা বালু মেখে একেবারে ভূতের আকার ধারণ করলো। এরপর অশ্বারোহী যখন মাথা তুলল তখন সে দেখতে পেলো যে, বালিতে তার ঘোড়ার পা গেড়ে যাওয়ার স্থান দিয়ে ঘুর্ণি আকারে ধোয়া ইঠছে।
এবার তার সকল আশা-আকাঙ্খা রূপ নিল হতাশায়। মনোবল ভেঙ্গে পড়লো, কামনা-বাসনার স্বাপ্নের সৌধধুলোয় মিশে গেল। উদ্যম নিভে গেল। আগ্রহ-উদ্দীপনা রূপ নিল ভয় আর হতাশায়। সে বুঝতে পারলো, যে কাজ সে করতে এসেছে, তা কোন দিনই হবার নয়। বিধাতা তার একাজে সন্তুষ্ট নন।

এবার তার সামনে মুহাম্মাদকে গ্রেফতার বা হত্যা করতে কুরাইশদের ব্যর্থ হওয়ার রহস্য দিবালোকের ন্যায় সুস্পষ্ট হয়ে গেলো। তার মনে এ ব্যপারে দৃঢ় বিশ্বাস জন্ম নিলো এবং সে খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলো যে, এ পর্যন্ত তিন বার সতর্ক করা হয়েছে। যদি সে তার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে আর এক পা ও অগ্রসর হয়, তাহলে তার পরিণতি হবে অত্যন্ত শোচনীয়। তাই সে সেখানেই থেমে গেল এবং জান বঁচিয়ে বাড়ী ফেরার কথা ভাবতে লাগলো। এবং এ উদ্দেশ্যে নিজ ঘোড়ার পা জমিন থেকে টেনে তুলতে সচেষ্ট হলো। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সবীজীর সাহয্যে কামনা করলো, প্রিয়নবীর উদ্দেশ্যে উচ্ছ কন্ঠে চিৎকার করে বলতে লাগলোঃ হে সৌভাগ্যবান কাফেলার যাত্রীরা ! তোমরা থামো। আমার প্রতি একটু অনুগ্রহ করো।
হযরত আবু বকর (রাঃ) তার কন্ঠ শুনেই চিনতে পারলেন যে, সুরাকা বিন জিশাম তাই তিনি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বললেনঃ সে সুরাক বিন জিশাম। মক্কার শ্রেষ্ঠ যোদ্ধা। এবার দয়ার নবী, রাসূলে আরামী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেমে গেলেন, তার জন্য দোয়া করলেন। ফলে ঘোড়ার পা মাটির ভিতর থেকে বের হয়ে এলো। এবার সুরাকা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামকে লক্ষ্য করে বললঃ আমি জিমামের পুত্র সুরাকা বলছি, আপনারা একটু থামুন। আপনাদের সাথে আমি কিছু কথা বলতে চাই। আল্লাহর কসম! আমি আপনাদেও কোন ক্ষতি করব না। প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন: আবু বকর জিজ্ঞাসা কর সে কি চায়?
আবু বকর (রাঃ) বললেনঃ বলো কি চাও?
সুরাকা বললঃ নিরাপত্তার আশ্বাস। সাথে একটি নিদর্শন যা আমার ও আপনার মাঝে স্মৃতি হিসাবে সংরক্ষিত থাকবে। দয়া ও ক্ষমার মূর্ত প্রতীক প্রিয়নবী রাসুলে আরাবী হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তার আবেদন কবুল ও মঞ্জুর করলেন এবং হযরত আবু বকর (রাঃ) কে নিরাপত্তার আশ্বাসবানী লিখে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। হযরত আবু বকর (রাঃ) একটি চামড়ার টুকরায় প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম নির্দেশিত বাক্যগুলো লিকে সুরাকাকে দিয়ে দিলেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লাম তখন ক্ষাণিক সময়ের জন্যকেমন যেন অন্য মনষ্ক হয়ে গেলেন। তাঁর দৃষ্টি যেন সীমা ছাড়িয়ে, দৃষ্টি পথের সকল প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে চলে গেছে সূদূর ভবিষ্যাতের অনাগত দিনগুলোতে। মন্থন করে ফিরেছেন তিনি মুসলমানদের উত্থানের সেই সোনালী মুহুর্তগুলো। যেদিন প্রবল শক্তিধর জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে মুসলমানরা। বিজয়ীর বেশে তাঁরা প্রবেশ করবে রোম-পারস্যে। যেদিন মুসলমানদের পদতলে মথিত হবে কায়সার ওকিসরার অহংকারী সিংহাসন, লুটিয়ে পড়বে ভূপৃষ্ঠের সকল ধানভান্ডার।
তিনি তখন সুরাকা বিন জিশামকে লক্ষ্য করে বললেনঃ সুরাকা! সে সময় তোমার অবস্থা কেমন হবে। যখন পারস্য সম্রাটের কঙ্কন তুমি তোমার হাতে পড়বে।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়া সাল্লামের এই ভবিষ্যতবাণী অক্ষরে অক্ষরে পরিণত হয়েছে। হযরত উমর (রাঃ) এর শাসনামলে পারস্য বিজয় হয়। পারস্যের রাজধানী “মাদায়েন” মুসলমানরা দখল করার পর সেখানকার সম্রাট কিসরার যাবতীয় ব্যবহার্য জিনিসপত্র ও অর্থ সম্পদ গনীমত স্বরূপ আমীরুল মুমিনিন হযরত উমর (রাঃ) এর কাছে প্রেরণ করেন। পারস্য সম্রাট ‘ইয়াজদর্গিদ’ এর কোমর বন্ধনী, কঙ্কন, মেখলা ও শাহী মুকুট যখন হযরত উমর (রাঃ) এর সামেন উপস্থিত করা হয় তখন তিনি সুরাকা বিন জিশামকে ডেকে পাঠান এবং তাকে এসব পরিধান করিয়ে রাসূলের সেই ভবিষ্যাতবাণীর বাস্তবতা দান করেন।
প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম যখন সুরাকার আবেদন পূরন করেন, তখন সুরাকা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সামনে তার যাবতীয় অস্ত্র-শস্ত্র, টাকা-পয়সা হাদিয়া স্বরুপ পেশ করে। কিন্তু মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তা গ্রহন না করে ফিরিয়ে দেন এবং তাকে শুধু এতটুকু বলেন যে, ‍‍"আমাদের জন্য এতটুকু যথেষ্ঠ যে, তুমি আমাদেও খবর গোপন রাখবে, কারো নিকট প্রকাশ করবে না।

এরপর সুরাকা ঘোড়ায় সওয়ার হয়ে চলে যায় এবং যতদিন পর্যন্ত রাসূলের বিপদের আশংকা ছিলো, ততদিন পর্যন্ত সে এ ঘটনা সম্পূর্ণ ভাবে গোপন রাখে । এ ঘটনার পর তার অন্তরে রাসূলের প্রতি ভালবাসা ও শ্রদ্ধা এত বেড়ে গিয়েছিল যে, এরপর থেকেই যারাই প্রিয়নবীকে খুঁজতে বের হতো, সুরাকা তাদের সকলকেই নিরাশ করে দিতো এবং যে কোন মূল্যে হলেও তাদেরকে সেকাজ হতে নিবৃত করার চেষ্টা করতো।
এরপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও হযরত আবুবকর (রাঃ) তাঁদের সফরকালে হযরত উম্মে মা’বাদ নামক এক মহিলার বাড়ীর নিকট দিয়ে যাচ্ছিলেন। দীর্ঘ সময় একাধারে পথ চলার কারনে তাঁরা তখন ক্ষুদার্ত ওতৃষ্ণার্ত হয়ে পড়েছিলেন। অপরদিকে সাথে করে নিয়ে আসা স্বল্প আহার্য সামগ্রীও ফুরিয়ে আসছিলো, তাই তাঁরা হযরত উম্মে মা’বাদের ঘরে খানিক সময়ের জন্য মেহমান হওয়ার কথা চিন্তা করলেন। কিন্তু হযরত উম্মে মা’বাদের কাছে এই কতা ব্যক্ত করা হলে
তিনি তাদের কাছে এই বলে অপারগতা প্রকাশ করলেন যে, আমার কাছে তো মেহমানদারী করার মতো কিছু নেই। দুধের যে সমস্ত বকরী ছিলো, তাও আবু মা,বাদ চারনভূমিতে নিয়ে গেছে।
প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন উঠানের খুঁটিতে বাঁধা ছোট একাটি বকরীর বাচ্চার দিকে ইশারা করে বললেন ‘এটি?’
উম্মে মা’বাদ বললেন: এটি তো ছোট বাচ্চা। এখনও সে বাচ্চা প্রসব করে নি। আর দানা-পানি ও ঘাসের স্বল্পতার দরুণ তার শরীরও একেবারে শুকনো।
রাসূলে আরাবী সা. বললেন, আমি চেষ্টা করে দেখি। এবার উম্মে মা’বাদ আর দ্বিমত না করায় রহমতের আঁধার রাসূলে কারীম সা. বকরীর কাছে গিয়ে বিসমিল্লাহ বলে তার স্তনে হাত বুলালেন। সুবহানাল্লাহ! কী আশ্চর্য! মুহূর্তেই ছোট বকরীটির স্তন দুধে ভরে গেলো। অত:পর দুধ দোহন করা হলে মহানবী সা. , তাঁর সাথীবর্গ এবং উম্মে মা’বাদসহ সকলে পেটভরে ও তৃপ্তি সহকারে পান করলেন। এরপর পুনরায় দুধ দোহন করা হলে পাত্র ভর্তি হয়ে গেলো। এবার নবীজী সা. তা হযরত উম্মে মা’বাদের কাছে দিয়ে কাফেলা নিয়ে পথ চলতে শুরু করলেন।

উম্মে মা’বাদের স্বামী আবূ মা’বাদ ঘরে ফিরে পাত্র ভর্তি দুধ দেখে ব্যাপার কি, তা জানতে চাইলে হযরত উম্মে মা’বাদ বললেন:
আল্লাহর কসম! আজ একজন অত্যন্ত নম্র ও ভদ্র লোক আমাদের এখানে কিছু সময়ের জন্য মেহমান হয়েছিলেন। এ সমস্ত তাঁর হাতেরই বরকত। এই বলে উম্মে মা’বাদ রা. রাসূল সা. এর আরো অনেক প্রশংসা করলেন।

এসব কথা শুনে আবূ মা’বাদ বললেন: আল্লাহর কসম! এতো সেই মক্কাবাসী বুযুর্গ বলে মনে হচ্ছে, কুরাইশরা সমগ্র মরুভূমিতে যাঁর সন্ধান করে ফিরছে।
এক রিওয়ায়েতে উল্লেখ আছে যে, এরপর তাঁররা উভয়ে মদীনায় হিজরত করেন এবং মুসলমান হয়ে যান। হযরত উম্মে মা’বাদ এর বাড়ী থেকে বেরিয়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাথীদেরকে নিয়ে সোজা চলতে লাগলেন মদীনার দিকে । এখন তার মনে কেবল মদীনা, শুধুই মদীনা। এদিকে মদীনার লোকেরাও তাঁরই জন্য অধীর অপেক্ষা করছেন।

চলবে...

পরের পর্ব: রহস্যে ঘেরা মদীনা
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১২:২৬
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শীঘ্রই হাসিনার ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৩৮


পেক্ষার প্রহর শেষ। আর দুই থেকে তিন মাস বাকি। বিশ্ব মানবতার কন্যা, বিশ্ব নেত্রী, মমতাময়ী জননী, শেখ মুজিবের সুয়োগ্য কন্যা, আপোসহীন নেত্রী হযরত শেখ হাসিনা শীগ্রই ক্ষমতার নরম তুলতুলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাছে থেকে আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ১০:৪৬

আমির হোসেন আমুকে দেখা একদিন....

২০০১ সালের কথা। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটা আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ গ্রহণ করে আমার কোম্পানি টেকনিক্যাল অফারে উত্তীর্ণ হয়ে কমার্শিয়াল অফারেও লোয়েস্ট হয়েছে। সেকেন্ড লোয়েস্টের সাথে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সংস্কারের জন্য টাকার অভাব হবে না, ড. ইউনূসকে ইইউ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:২৪



বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার এবং সফররত এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের এশিয়া ও প্যাসিফিক বিভাগের পরিচালক পাওলা... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নারী বুকের খাতায় লিখে রাখে তার জয়ী হওয়ার গল্প (জীবন গদ্য)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৩২



বুকে উচ্ছাস নিয়ে বাঁচতে গিয়ে দেখি! চারদিকে কাঁটায় ঘেরা পথ, হাঁটতে গেলেই বাঁধা, চলতে গেলেই হোঁচট, নারীদের ইচ্ছেগুলো ডিমের ভিতর কুসুম যেমন! কেউ ভেঙ্গে দিয়ে স্বপ্ন, মন ঢেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিশ্রী ও কুশ্রী পদাবলির ব্লগারদের টার্গেট আমি

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৭ ই নভেম্বর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৫



আমাকে জেনারেল করা হয়েছে ১টি কমেন্টের জন্য; আমার ষ্টেটাস অনুযায়ী, আমি কমেন্ট করতে পারার কথা; সেটাও বন্ধ করে রাখা হয়েছে; এখন বসে বসে ব্লগের গার্বেজ পড়ছি।

সম্প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×