১। ডাক্তারঃ মানুষকে সেবা দেয়ার ব্রত নিয়ে যে পেশার শুরু তা আজ কতটা বাণিজ্যিক তা আমরা সবাই মোটামোটি জানি।এর শুরু সেই প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের ব্যবসা থেকে। দেশে প্রাইভেট কলেজে এমবিবিএস কোর্স করতে খরচ হয়২৫ থেকে ৩০ লক্ষ টাকা। যার মাসুল পরে সাধারন জনগনের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়।একজন ডাক্তার ঔষধ কোম্পানি থেকে কমিশন নেয়, যার প্রভাবে ঔষধের আকাশচুম্বি দাম। এছাড়া রয়েছে টেস্টের কমিশন বানিজ্য।সব মিলিয়ে বলতে গেলে একজন ডাক্তারের সকাল থেকে ঘুমানো পর্যন্ত পর্যন্ত যত কিছুর দরকার সব যেন ঔ কোম্পানি চুক্তি করে নিয়েছে।বিনিময়ে তাদের প্রডাক্ট লেখতে হবে। অন্যদিকে চলছে ঔষুধ কোম্পানিগুলির ঔষুধ লেখানোর অসুস্থ প্রতিযোগীতা। টাকার অপচয় হচ্ছে ভুক্তভোগী অসহায় রোগীদের। এগুলি যেন নিয়মেই পরিনত হয়েছে, তাই দেখারও কেউ নেই,বলার ওকিছু নেই।
২। পুলিশ: আকাশের যত তারা পুলিশের তত ধারা,কথাটি আমি শুনেছি সাকার মুখে, কিন্তু বাস্তবতায় কথাটির অনেক মিল রয়েছে। বর্তমানে দেশে এসআই পদে চাকুরি নিতে ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা ঘুষ যেন নিয়মে পরিনত হয়েছে,যা প্রকাশ্যভাবে প্রশাসনের নিয়মে পরিণত হয়েছে। যেহেতু টাকা ছাড়া চাকুরি মিলছে না, তাই ধারার সংখ্যা দিন দিন যেন বেড়েই চলছে।বর্তমানে মাছের রাজা ইলিস, আর দেশের রাজা পুলিস। আর আমরা পাবলিগ হলাম রাস্তার ঔ ধুলাবালি ছাই, যাদের কোন মূল্য নেই, শুধু পিষ্ট হয়ার জন্যই থাকা এ বঙ্গ দেশে।
৩। রাজনৈতিক নেতাকর্মি: এরা এক একজন যেন দেশের মালিক,তারা যাই করুক না কেন, তা সব বৈধ, এরা একমাত্র স্বাধীনতা পক্ষের শক্তি, আর বাদবাকি সবগুলি, রোহিঙ্গা বা রাজাকার যাদের এ দেশে থাকার অধিকার নেই। আর হ্যা, আপনি যাই করুন না কেন তাদেরকে কমিশন দিতে হবে, কারন তারা বর্তমান দেশের ইজারাদার।
৪।মন্ত্রি মহোদয়গন: এদের কথা কি আর বলব। এরা এতটাই সৎ যে দেশের কোটিকোটি টাকা পাচার করে বিদেশে ইনভেষ্ট করে, আর আমরা আমাদের সহায় সম্বল বিক্রি করে সেই বিদেশি কোম্পানিতে চাকুরির জন্য যাই!গনতন্ত্রের কথায় নেতাদের কোন আপোষ নেই,ভোট না দিলেও সে গনতন্ত্র বহাল থাকবে ভিশন ২০৪১ নামে।
৫। সরকারি উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তাঃ আমাদের তো কোন টেনসন নেই। বেতন হয়েছে দ্বিগুন, পেনশন ও ডাবল। এছাড়া প্রতিদিনের ফাইল চালাচালির বিল তো আছেই। সুতরাং নো টেনশন,চলছে চলুক, মগের মুল্লুক।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:২৫