শৈশব থেকে কৈশোর, কৈশোর থেকে যৌবন এরপর যৌবন থেকে ধীরে ধীরে বার্ধোক্যে উপনীত হওয়া।এইতো জীবন। শৈশব থেকে বুদ্ধি বয়সপর্যন্ত আমাদের হেসেখেলে কাটে। এরপর শুরু হয় চাওয়া পাওয়ার সমীকরণ। যা সবাই মিলাতে পারে না। মানুষের জীবন গনিতের পরীক্ষার মত। কেউ ১০০ তে ৯০, কেউবা ৫০, অনেকে কোন মতে ৩৩ পেয়ে পার হয়ে যায়। অনেকে এর কম পেয়ে জীবনে হতাশায় নিমজ্জিত হয়। বাস্তবতা বলতে এটাই জীবন। তবে এর মাঝেও কিছু কথা থেকে যায়।পরীক্ষায় পাশ করলেই যেমন ভাল মানুষ, সুশিক্ষায় শিক্ষীত বলা যায় না,তেমনি জীবনের অনেক সমীকরণ না মিলাতে পারলে হতাশায় নিমজ্জিত হওয়ার কিছু নেই। অনেক ফেল করা ছাত্ররা অনেক সময় ভাল মানুষ হয়, ভাল কিছু করে তেমনি জীবনের
সমীকরণ না মিলাতে পারলে থমকে যাওয়ার কিছু নেই। সমস্যার যেমন শুরু আছে, এর শেষও আছে। কোন সমস্যা চিরস্বায়ী নয়,শুধু অপেক্ষার পালা। ধৈর্য আর সহনশীলতা থাকলে সব সমস্যার শেষমেষ সমাধান সম্ভব। গতিশীলতাই জীবন।
তাই আমাদের উচিত জীবনকে পজীটিভলি চিন্তা চেতনায় রাখা।
পাই বা না পাই
তাতে কি আসে যায়
জীবন তো অমূল্য
উপভোগ করি তাই।
দেখি যদি আধার কখনও
হবনা দিকভ্রান্ত
আধারের পরেই রবি
চিরদিনই উদিত।
সুখ,দুখ যাই আসুক
নিয়তির অংশে
এইতো মানুষের জীবন
চলছে আবহমান থেকে।
অনেকে দেখি হতাশায় আত্মহত্যা করে, অনেকে ভুল পথে পা বাড়ায়, তাদেরকথা চিন্তা করে লেখলাম। তাদের কথা ভাবলে আমার অনেক কষ্ট লাগে। কারন আমার এক মামাতো ভাই ২ দিন আগে বিষাক্ত কিছু ট্যাবলেট খেয়ে মারা যায়। তার কথা চিন্তা করে এই লেখা। আল্লাহ তাকে মাফ করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০১৭ রাত ১১:৫৭