
১।ফায়ারফক্স: নামটাই যথেষ্ট। ফায়ারফক্সের বর্ণনা দেয়া শুরু করলে ভিজিটরগণ “মায়ের কাছে মাসীর গল্প” বলে আমাকে একটা গালী দেবেন, পোস্টটা পড়া বাদ দেবেন আর যাওয়ার সময় একটা মাইনাস দিয়ে যাবেন

২। Wammu: এই সফটওয়্যারটা আমার কাছে একটা বিস্ময়! মোবাইল ফোনের ব্যাকাপ ও ম্যানেজমেন্টের এত ভাল সল্যূশন ফ্রী তো নয়ই টাকা দিয়েও পাওয়া যায় না। চাইনিজ ফোন, ম্যাক্সিমাস, আইমোবাইল থেকে শুরু করে সিমেন্স, নোকিয়া, সনি এরিকসন, বেনকিউ-সিমেন্স নিয়ে আমি কাজ করেছি। এখন পর্যন্ত একটা মোবাইল ফোন পাই নি যেটা Wammu সাপোর্ট করে না! ইনফ্রারেড, ব্লুটুথ, ইউএসবি কেবল যেকোনটা দিয়েই কানেক্ট করা যায়। ব্যাকাপ রাখা যায় কন্টাক্টস, ম্যাসেজ, ক্যালেন্ডার, নোটস, কল লিস্ট সহ সবই। এটা নিয়ে আমার একটা পোস্টও আছে সেখানে ডিটেইলস লিখেছি।
৩। Multiget: উবুন্টুর ডাউনলোড ম্যানেজার নিয়ে একটা গোপন হতাশা ছিল

৪। Transmission Bittorrent Client: বিট টরেন্ট প্রোটকলের সর্বোত্তম ব্যবহার আমি দেখেছি ট্রান্সমিশনে। উইন্ডোজে টরেন্ট ক্লায়েন্টগুলো খুব ঝামেলা করে। এই পোর্ট ব্লক করা, ঐ পোর্ট এনাবল করলে এক্সট্রিম স্পিড পাবেন, এই পোর্ট টেস্ট করেন ফায়ারওয়াল ব্লক করছে কিনা.....নানান কেচ্ছা কাহিনী। ট্রান্সমিশন উবুন্টুর ডিফল্ট সফটওয়্যার বলে ওসবের ঝামেলা নেই। পর্যাপ্ত সিড থাকলে অবিশ্বাস্য স্পিড পায়, মাঝে মাঝে আমার মনে হয় নেটওয়ার্ক থেকে স্পিড টেনে আনে!!! এর একটা ব্যতিক্রমধর্মী ফিচার হল আপলোড লিমিট শূন্য করে দিয়েও ডাউনলোড করা যায়, অন্য টরেন্ট ক্লায়েন্টগুলো এটা করতে দেয় না। এটা অনেকের কাজে লাগতে পারে, যদিও আমি ব্যক্তিগত ভাবে সেটা করি না এবং করতে নিষেধ করব। কারণ, পারস্পরিক সহযোগিতাই বিটটরেন্ট প্রোটকলের মূল শক্তি। অন্যরা দিচ্ছে বলেই আপনি পাচ্ছেন। তাই আপনারও উচিত অন্যকে দেয়া।
৫। Mobile Manager: তালিকায় আরেকটা মোবাইল ম্যানেজার! বউ ল্যাপটপ আসার পর গার্লফ্রেন্ড মোবাইলকে মোটেও সময় দিতে পারি না, আবার ছেড়েও দিতে পারি না

৬। Compiz: এটা নিয়েও বলার কিছু নেই! বহুল প্রচলিত ও আলোচিত সফটওয়্যার। কারও গ্রফিক্স কার্ড যদি যথেষ্ট ফাস্ট হয় আর গ্রাফিক্স ম্যোমরী বেশী হলে এটা দিয়ে যে কতকিছু করা সম্ভব আমার কম ম্যোমরীর ল্যাপটপ দেখে ভাবি। মাঝেমাঝে মাথা ঘুরে যায়। এটা চলে কিভাবে!!!
৭। Avant: অ্যাভান্ট হচ্ছে ম্যাক ওএস এর মত ডক যেটা স্ক্রিনের নিচের দিকে থাকে। এটা ব্যবহার শুরুর পর আমি আমার নিচের প্যানেল ডিলিট করে দিয়েছি। আইকনগুলোর লাফালাফি আর নানা রকম ইফেক্ট ভালই লাগে!
৮। APTonCD: এই টুলটার কারণেই আমি উবুন্টু ব্যবহারের সাহস পেয়েছিলাম। যখন উইন্ডেজ ইউজ করতাম তখন মাসে দুইবার করে সেটাপ দিতাম। ড্রাইভার আর সফটওয়্যার সিডিতে ছিল তাই সমস্যা হত না। যখন উবুন্টুতে পুরোপুরি চলে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম প্রথম চিন্তা ছিল ব্যাকাপ নিয়ে। প্রতিবার সেটাপ দিয়ে কোডেক আর সফটওয়্যার ডাউনলোড করা তো সম্ভব না। APTonCD পাওয়ার পর আর চিন্তা করি নি। অবশ্য, উবুন্ট ইউজের পর সেটাপের সংখ্যা আশংকাজনকভাবে কমে গেছে। জ্যাকিলোপ মাত্র ২ বার সেটাপ দিয়েছি তাও জাস্ট JFS ফাইল সিস্টেম চেক করার জন্য!!!
৯। Pencil: এটার খোঁজ পেয়েছি মাত্র কয়েকদিন আগে। শিশুতোষ আঁকা আঁকিতে এর জুড়ি নেই। হাই এন্ড কোন কাজে এটা চলবে না, কিন্তু সাধারণ ড্রয়িং-এ এটা অসাধারণ। সাধারণ টুল, সাধারণ সহজ ইন্টারফেস আর খুবই লো লেভেলের কাজ, এগুলো যদি আপনার চাহিদা হয় তাহলে সফটওয়্যারটা দেখতে পারেন। উবুন্টুতে প্রিয় ১০ টি সফটওয়্যার- এই টাইপ আর্টিকেল অনেক দেখেছি, কেউ সেরা ১০ এ পেন্সিলকে রাখে নি। আমিই সম্ভবত প্রথম!
১০। Empathy: সবার শেষে ইম্পাথি থাকার কারণ এটা আমি সবচেয়ে কম ব্যবহার করি। পিজিন না রেখে এটা রাখার কারণ এটা ভয়েস ও ভিডিও চ্যাট সাপোর্ট করে (পিজিনের সর্বশেষ ভার্সনও অবশ্য সীমিত আকারে করে)। এটা দিয়ে গুগল টক, ইয়াহু ম্যাসেন্জার, এমএসএন। Gadu Gadu, Jabber, AIM, ICQ ইত্যাদি মোটামুটি মেজর ইন্সট্যান্ট ম্যাসেন্জারগুলো চালানো যায়। পিজিন আরও অনেকগুলো সাপোর্ট করলেও ভয়েস-ভিডিও শুধু জিটকে সাপোর্ট করে।তাই আপাতত আরও কিছুদিন প্রিয়তে ইম্পাথিই থাকবে!
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৪৫