তার ছোট ছোট ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ আমাকে প্রায়ই আপ্লুত করে তোলে। বিয়ের প্রথম দিন ই তাকে একটি কথা বলেছিলাম - আমাকে পাগলের মতন ভালোবাসতে হবে।এ কথাটি যে এতটা অক্ষরে অক্ষরে পালিত হতে দেখবো তা আমি কল্পনায় ও ভাবিনি।
বিয়ের পর প্রথম যেদিন খেতে বসি , একটু ঝোল লেগে গিয়েছিলো আমার ব্লেজারের হাতে, সঙ্গে সঙ্গে খালি হাত দিয়ে মুছে দিয়েই সে আমাকে অবাক করে দিয়েছিলো। ভাবলাম - কি অবলীলায় হাতে তরকারির ঝোল মাখিয়ে নিলো।
আরেকদিন , গরুর মাংস দিয়ে ভাত খাচ্ছি। একটা হাড় চুষে ফেলে দেয়ার জন্য কাছে বোন-প্লেট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। তার খাওয়া শেষ, তার এই খালি প্লেটে আমি হাড় টা রেখে দিলাম। একটু পর তাকিয়ে দেখি সে প্রানপনে আমার ফেলে দেয়া হাড় টা চুষে খাচ্ছে। সে হয়তো ভেবেছিলো আমিই তাকে হাড় টা খেতে দিয়েছিলাম। ভাবতেই ভেতরে ভেতরে কম্পিত হচ্ছিলাম - আর ভাবছিলাম : এ ভালোবাসা আমি ধারণ করতে পারবো তো !!!
কোনো এক ঘটনার প্রেক্ষিতে তার একটি কথা আমার হৃদয়টাকে এফোঁড়-ওফোঁড় করে দিয়েছিলো। আর তা হলো - " একজন মানুষের নাক ডাকার শব্দ যে কারো কাছে এতটা ভালো লাগতে পারে তা ফোনের ওপাশ থেকে না শুনতে পেলে জানতাম ই না "
সেদিন আমি ই বিকট ভাবে নাক ডাকছিলাম আর ফোনের ওপাশ থেকে সে আপ্লুত হচ্ছিলো। এ ভালোবাসার মূল্য কিভাবে দিতে হয় - তা আমার অজানা।
ভালোবাসার প্রতিযোগিতায় আমি হার মানতে চাই তার কাছে। প্রতি পদে পদে হারতে চাই। কারণ এটি মহান সৃষ্টিকর্তার দেয়া অমূল্য উপহার।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৪