প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিছুদিন থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে যাচ্ছেন এবং বিভিন্ন সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের উদ্বোধন করছেন এবং সাথে সাথে ভোট প্রার্থনা করছেন। নির্বাচনী আইনে এটা আচরন বিধি ভঙ্গ হয়না ঠিকই কিন্তু সরকারী কাজে যেয়ে সরকারী সুযোগ সুবিধা,নিরাপত্তা গ্রহন করে ভোটের ক্যাম্পেইন করা কতটা নৈতিক? যেখানে জাতীয় নির্বাচন অতি নিকটে। তিনি কিছুদিন আগেও শশুরবাড়ী পীরগঞ্জে গিয়েছিলেন এবং প্রথম হেলিকপ্টারে তার ছেলে জয় এবং দ্বিতীয় হেলিকপ্টারে তিনি ও তার বউমা,মেয়ে,মেয়ে জামাই,নাতনি। সেখানেও কিছু উন্নয়নমূলক কাজ উদ্বোধন করেন এবং তিনি ও জয় আগামী নির্বাচনে ভোট চান। জানিনা এটা কতটা নৈতিক, সরকারি সুযোগ সুবিধা এবং নিরাপত্তা নিয়ে বউমা,নাতি,জামাই নিয়ে শশুরবাড়ী ভ্রমন করা এবং সরকারী উন্নয়নমূলক কাজ করে দলীয় ভোট চাওয়া।গত পরশুও তিনি সাভারে গারমেন্টস কর্মীদের একটা হোস্টেল উদ্বোধন করে আবারোও ভোট চেয়েছেন।আগামীকাল রাজশাহী যাবেন।জানিনা,হয়তো ওখানেও তিনি ভোট চাইবেন। প্রধানমন্ত্রী দলীয় ফোরামে বা দলীয় সমাবেশে ভোট চান ক্ষতি নাই কিন্তু যখন সরকারী কাজে যান তখন তিনি সবার এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী কোন দলের নন।সরকারী উন্নয়ন কাজ করে ভোট চাইলে স্বাভাবিক ভাবেই তিনি আলাদা সুবিধান পান যেটা কিনা ভোটের ক্ষেত্রে বিরোধী দলীয় নেত্রির তুলনায় প্লাস পয়েন্ট।এরকম একটা সময় যখন জাতীয় নির্বাচন কাছে চলে আসছে তখন লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড হওয়া উচিত নয় কি?
গতকাল কক্সবাজারের উখিয়ায় গিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণকে নৌকায় ভোট দিতে বললেন। এবং অনেকটা জোড় করে ভোট দেয়ার ওয়াদা করতে বললেন উপস্থিত জনতাকে। ভাষণের এক পর্যায়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘হেফাজতের এক হুজুর তেঁতুল তত্ত্ব দিলেন, মেয়েরা কাজ করতে পারবে না, মেয়েরা পড়তে পারবে না, চাকরি করতে পারবে না। ঘরে থাকতে হবে।' তিনি ব্যঙ্গ করে বলেন, ‘ওনার তেঁতুলতত্ত্বের তেঁতুল বিরোধী দলের নেত্রী কি না, আমি জানি না। তিনি তো সাজগোজ করে থাকেন। দেখলে এমনি লোভ লাগতে পারে।
ছি: ছি: ছি: একজন প্রধানমন্ত্রী এভাবে বলতে পারেন? তিনি আবার ভোট চেয়েছেন জনগনের কাছে!!!!!!! আমার সন্তান কি শিখবে এরকম নীচু মন মানষিকতার রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে।এ লজ্জা রাখি কোথায়। কি উত্তর দিব আমি আমার সন্তান কে যদি সে এর মানে জানতে চায়?
তাহলে ওনার সাথে খালেদা জিয়ার পার্থক্য থাকলো কোথায়? আমরা যেমন ঘৃণা করি ১৫ই আগষ্ট বঙ্গ বন্ধুর মৃত্যুর দিনে খালেদা জিয়ার কেক কাটা এবং জন্মদিন পালন করাকে।এটা কেমন রাজনৈতিক পরিপক্কতা? একজন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে আরো দ্বায়িত্বশীল ও রুচিশীল বক্তব্য আশা করেছিলাম। যিনি এরকম অশালীন ভাষা ব্যবহার করে বিশাল জন সমাবেশে ভোট প্রার্থনা করেন,তাকে কি সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ ভোট দিবে? আমরাই বা কি শিখবো।