somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আরোরা

২০ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১২:৩৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


একটি Aurora (বহুবচন: aurorae বা auroras; ল্যাটিন শব্দ Aurora থেকে, “সূর্যোদয়” অথবা ভোর রোমান দেবী)

উইকিপিডিয়া তথ্য মতে:

অরোরা (লাতিন: [awˈroːra]) লাতিন শব্দে হল ভোর, যা রোমান পুরাণ এবং লাতিন কবিতায় ভোরের দেবী। গ্রিক পুরাণে অরোরাকে এয়স এবং হিন্দু পুরাণে ঊষা ইন্দো-ইউরোপীয় ভোরের দেবী।

রোমান পুরাণ

রোমাণ পুরাণে অরোরা হল ভোরের দেবী। সে ভোরের আকাশে অপরূপ সুন্দর একজন নারীর প্রতিমূর্তি হয়ে উড়ে বেড়ান আর সূর্যের আগমন ঘোষণা করেন। তার বংশপরিচয় ছিল নমনীয়: ওভিদ এর জন্য, সে সমান হবে পাল্যানটিস, পাল্যাসের কন্যা বাচক, অথবা হুপেরিয়ন কন্যা।

অরোরার এক ভাই সূর্য ও এক বোন চাঁদ। তার বেশ কজন পুত্রের মাঝে উল্লেখযোগ্য চারজন হল চারদিকের বাতাস (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম). একটি পুরাণ অনুসারে তিনি তার মৃত এক পুত্রের জন্য কাঁদে আর আকাশে উড়ে বেড়ায়। সে যখন কাঁদেন তখন তার চোখের পানি শিশির হয়ে ঝরে পরে। গ্রিক পুরাণে অরোরার আর এক রূপ হল ইয়স।


আরোরা আসলে কি?

আমরা আজ যে অরোরার কথা জানবো তা হল ল্যাটিন শব্দ Aurora (অরোরা) যা বাংলায় মেরুপ্রভা নামে এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক আলোকছটা যা উত্তর ও দক্ষিন গোলার্ধের Auroral জোন নামে পরিচিত সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকীয় দুটি মেরুর অক্ষ হতে চৌম্বক মেরু থেকে 10 ° থেকে 20 ° হয় বিস্তৃতি হয়। উত্তর গোলার্ধে এটি অরোরা বোরিয়ালিস এবং দক্ষিণ গোলার্ধে অরোরা অস্ট্রালিস নামে পরিচিত।

কিভাবে এর উৎপত্তি?

সুর্য্য থেকে আসা একপ্রকার সৌর বায়ূ বা ঝড় যা বায়ুমন্ডলের থার্মোস্ফিয়ারে থাকা অক্সিজেন ও নাইট্রোজেন পরমাণুর সাথে ম্যাগনেটোস্ফিয়ার থেকে আসা চার্জিত কণিকাসমূহের (প্রধা্নত ইলেক্ট্রন, কিছু ক্ষেত্রে প্রোটন) সংঘর্ষের ফলেই অরোরা তৈরী হয়। সংঘর্ষের কারণে পরমাণু বা অণুসমূহ কিছু শক্তি লাভ করে চার্জিত কণিকাসমূহের কাছ থেকে যা অভ্যন্তরীণ শক্তি হিসেবে সঞ্চিত হয়। এসব অভ্যন্তরীণ শক্তি যখন আলোকশক্তি হিসেবে বিকরিত হয়, তখনই মেরুজ্যোতি দেখা যায়। এসব ইলেক্ট্রন সাধারণত পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্র বরাবর পরিভ্রমন করায় শুধুমাত্র মেরু অঞ্চলেই অরোরা দৃশ্যমান হয়। এই অরোরাকে দুইভাগে ভাগ করা যায়- বিকীর্ণ(ডিফিউজ) এবং বিযুক্ত(ডিজক্রিট)।
বিকীর্ণ(ডিফিউজ) আকাশে অবয়বহীন প্রভা, যা খালি চোখে ঘন অন্ধকার রাতেও দেখা সম্ভব নয়,বিযুক্ত(ডিজক্রিট) রাতের আকাশে দৃশ্যমান। এটি সূর্যকরোজ্জ্বল আকাশ মত অতটা উজ্জল নয়। তবে পত্রিকা পড়ার মত যথেষ্ট আলো হয়।

অরোরার আলোর রঙ:

উল্লেখ্য যে বিভিন্ন রঙের অরোরা সৃষ্টি হতে পারে। মেরুজ্যোতির রঙ নির্ভর করে কোন গ্যাসীয় পরমাণু ইলেক্ট্রন দ্বারা উদ্দীপ্ত হচ্ছে, এবং এই প্রক্রিয়ায় কত শক্তি বিনিময় হচ্ছে তার উপর।
অরোরার সবচেয়ে পরিচিত রঙ যা অধিকাংশ সময় দেখা যায় তা হলো সবুজাভ-হলুদ, তার জন্য দায়ী অক্সিজেন পরমাণু। অক্সিজেন থেকে অনেকক্ষেত্রে লাল রঙ এর অরোরাও তৈরী হয়। নাইট্রোজেন সাধারণত একটি নীল রঙের আলো দেয়। এছাড়াও অক্সিজেন এবং নাইট্রজেন পরমাণু অতি-বেগুনী রশ্মি নির্গত করে, যা শুধুমাত্র স্যাটালাইটের বিশেষ ক্যামেরা দ্বারা শনাক্ত করা যায়, খালি চোখে দেখা যায় না।

অরোরা দর্শনের স্থান:

অরোরা দর্শনের সবচেয়ে ভালো স্থান হলো আলাস্কা, কানাডা, এবং স্ক্যান্ডিনেভিয়ার কিছু অঞ্চল। এসব স্থানে প্রায় নিয়মিতই মেরুজ্যোতি চোখে পড়ে। তবে মেরূপ্রভা সূর্যালোক থেকে অনেক ম্লান হওয়ায়, তা পৃথিবী থেকে দিনের বেলায় দেখা যায় না।এছাড়াও কানাডিয়ান সীমান্তের কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্রের উত্তরসীমায় সাধারণত বছরে কয়েক বার অরোরা দেখা যায়।
কিছু দুর্লভ মুহূর্তে, হয়তো প্রতি দশকে একবার, ফ্লোরিডাতে কিংবা সুদূর দক্ষিণে জাপানেও অরোরা দৃশ্যময়ান হয়।
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ

লিখেছেন ডাঃ আকন্দ, ২২ শে মে, ২০২৫ রাত ২:৩৮

বাংলাদেশ নিয়ে আমি বড়ো স্বপ্ন দেখি না , দেখা উচিতও না । প্রিয় এনসিপি তোমরাও বড়ো স্বপ্ন দেখতে যেয়ো না । কারণ যে দেশে অধিকাংশ মানুষ পরিবারতন্ত্র মেনে চলে ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

চিলিং আউট ইন মরোক্কোঃ ওস্তাদের সাথে বহু-প্রত্যাশিত মোলাকাত!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:০৫



পূর্বকথাঃ আপনাদের অনেকেরই হয়তো মনে আছে সেই ২০২২ এর সেপ্টেম্বর মাসে একটা পোষ্ট করেছিলাম মরোক্কোর তান্জিয়ারে যাওয়া নিয়ে.........বদ লোকের জন্য দোয়া করলে বদ-দোয়া হয়ে যায়!!! শিরোনামে। সেই ভ্রমনের আসল সচিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী দল

লিখেছেন ধূসর সন্ধ্যা, ২২ শে মে, ২০২৫ দুপুর ১২:২৭


বিগত ১৫ বছর ধরে আমরা এই এক প্রশ্ন দিয়েই তাদের সকল অন্যায় অবিচারকে জাস্টিফাই করে আসছে। আমরা দেশের মানুষের মাঝে এই ন্যারেটিভ সৃষ্টি করেছি আমরা যেহেতু মুক্তিযুদ্ধের সময় নেতৃত্ব... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে মেয়র হবে না হবে, তাতে আমার কী আসে যায়!

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৩৮


একটা কথায় কতটা ক্ষোভ, হতাশা আর বাস্তবতার প্রতিফলন হতে পারে—এই একটুকু বাক্যই তার প্রমাণ। এটা নিছক কোনো ফেসবুক স্ট্যাটাস না, এটা আজ হাজারো সাধারণ নাগরিকের কণ্ঠস্বর, যারা প্রতিদিন বাঁচার সংগ্রামে... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ভুল করি, বিপদে পড়ি= (প্রার্থনা)

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে মে, ২০২৫ বিকাল ৪:১৫



যখন তোমার বান্দা অহঙ্কারী হয়, তুমি তো তা দেখ,
কী শাস্তি আমার পাওনা হিসাবের খাতায় লেখ;
আমি হারাই পথের দিশা,
জীবনে নেমে আসে সহসা অমানিশা।

কখনো দাও রোগ বালাই,
কষ্টে ভোগে প্রার্থনায় তোমারেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×