হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনি এত দান শীল ছিলেন যে আমাদের নিকট তা উত্তম আদর্শ রুপে রয়ে জাবে। আর আমরা উম্মতি মুহম্মাদী(সল্লাল্লাহু আলাইহি ও সাল্লাম) গন তা আলোচনা করে অনুসরণ অনুকরণ করে হব মহিয়ান। নিম্নের একটি ঘটনায় এই বিষয়টি অত্যন্ত সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে।
একদা হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার শাদী মুবারক ঠিক হল হযরত আলী কার্রামাল্লাহু ওয়াজহাহু রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার সাথে। ঐ শাদী মুবারকে নূরে মুজাসসাম নবী গনেন নবী রসূল গনেন রসুল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত যাহারা আলাইহিস সালাম উনাকে একটি সুন্দর পোশাক হাদিয়া করলেন বিবাহের দিন পরার জন্য। এইদিকে যখন বিবাহের দিন ঘনিয়ে এলো তখন একজন দরিদ্র মহিলা উনার কাছে আসলেন তখন হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম উনার পরা একটি সুন্দর পোশাক হাদিয়া করবেন বলে ঠিক করলেন। কিন্তু তিনি যখন হাদিয়া করতে গেলেন তখন উনার কুরআন শরীফের এই আয়াত শরীফ খানি ফিকিরে আনলেন।
لَن تَنَالُواْ الْبِرَّ حَتَّى تُنفِقُواْ مِمَّا تُحِبُّونَ وَمَا تُنفِقُواْ مِن شَيْءٍ فَإِنَّ اللّهَ بِهِ عَلِيمٌ
কস্মিণকালেও কল্যাণ লাভ করতে পারবে না, যদি তোমাদের প্রিয় বস্তু থেকে তোমরা ব্যয় না কর। আর তোমরা যদি কিছু ব্যয় করবে আল্লাহ তা জানেন। (সুরা আল ইমরান ৯২ নং আয়াত শরীফ)
তিনি চিন্তা করলেন শাদী মুবারকের জন্য যে পোশাক নূরে মুজাসসাম নবী গনেন নবী রসূল গনেন রসুল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হাদিয়া করেছেন সে পোশাক মুবারক উনার কাছে সবচেয়ে বেশী পছন্দের। তাই তিনি দরিদ্র মহিলাকে উনার শাদী মুবারকের পোশাক মুবারক দান করে ছিলেন।
এরপর যখন উনার শাদী মুবারক এর সময় এল তখান তিনি সেই ব্যবহৃত পুরানো পোশাক মুবারক পরে আসলেন তখন নূরে মুজাসসাম নবী গনেন নবী রসূল গনেন রসুল হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হযরত যাহরা আলাইহিস সালাম উনাকে নতুন পোশাক এর কথা বলতে হযরত যাহরা আলাইহাস সালাম সম্পূর্ণ বিষয়টি বলেন।
এখানে মূল বিষয় হল তিনি আল্লাহ্ পাক উনার নির্দেশের জন্য বা আল্লাহ্ পাক উনার সন্তুষ্টির জন্য একজন মেয়ের কাছে সবচেয়ে গুরত্বরাখে এমন একটি বিষয় তরখ করতে বিন্দু মাত্র চিন্তা, আফসোস করলেন না - সুবহান আল্লাহ্।