চাইর বছরের জোড়া প্রেম তিল তিল কইরা শ্যাষ হইয়া গেল রঞ্জু মিয়ার।
ইউনিভার্সীটির পয়লা থাইকাই সেইরাম প্রেমে নাকানিচুবানি চলে। ক্লাস বাদ দিয়া কার্জনে পুকুর পাড়ে, এক ফুনে দুই জনের গান শুনা, সিড়িতে বইসা পানিতে পা চুবাইয়া হাতে হাত ধরে বসে থাকা, সন্ধ্যাকাশে মেঘলাকাশে তারা খোজার ব্যার্থ চেষ্টা, ঝড়ো হাওয়ায় টিএসসীতে দেয়ালে পা ঝুলাইয়া বইসা থাকা, রিকশায় কড়া ঠান্ডায় ঘুরে গলা বাধানো, কখোনো বা চটপটির স্বাদে ডুবে যাওয়া, কখনো বা ক্লাসে পিছনে বসে অংকের বদলে জীবনের হিসাব করা নিত্যনিমিত্তিক বেপার হইয়া দাড়ায়,
রঞ্জু মিয়া এখনো বিড়ি ফুকে , মেঘলাকাশে তারা খুজে, শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পা ডুবিয়ে বসে থাকে, এক ফুনে একাই গান শুনে।
রঞ্জু মিয়া চিন্তা কইরা কুল পায় না, কেম্নে কি হইলো, দুষ টা রঞ্জু মিয়ার ই মনে হয়। রঞ্জু মিয়া শিখে নাই, জীবন শুধু চটপটির থালায় আবদ্ধ থাকে না, জীবন পরিণত হয় পুলাও কুরমার প্লেটে। রঞ্জু মিয়া হারাডা জীবন ভুলের মইদ্দে আছিলো। জীবন তারে কিছু শিখাইতে পারে নাই।
রঞ্জু মিয়া এখনো বিড়ি ফুকে , মেঘলাকাশে তারা খুজে, শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পা ডুবিয়ে বসে থাকে, এক ফুনে একাই গান শুনে।
রঞ্জু মিয়া এডাও বুজে নাই, সোনার কলস কেম্নে পালতে হয়। সোনার কলস যে চুরি হইয়া যাইবার পারে, হেইডা হে কুনু দিনো চিন্তা করবার পারে নাই, কুনু দিন এই অসত চিন্তা মনে আশ্রয় নেয় নাই। সোনার কলস সোনার ঘরে থাকতে চায়, এডাই নিয়ম, রঞ্জুমিয়া বুজে নাই। রঞ্জু মিয়া সোনার ঘর বানাইতে পারে নাই বা বানাইতে চায় ও নাই।
রঞ্জু মিয়া এখনো বিড়ি ফুকে , মেঘলাকাশে তারা খুজে, শুকিয়ে যাওয়া পুকুরে পা ডুবিয়ে বসে থাকে, এক ফুনে একাই গান শুনে।