RAB এর গুলিতে পঙ্গু দরিদ্র পরিবারের হতভাগ্য কিশোর লিমন হোসেনের ঘটনায় র্যাবের হরেক রকম ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে। লিমনকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী দাবির পর সর্বশেষ র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান সোমবার বলেছেন, ঝালকাঠিতে র্যাবের গুলিতে আহত এইচএসসি পরীক্ষাথর্ী লিমন ঘটনার শিকার। সন্ত্রাসী ও র্যাবের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের সময় সে আহত হয়েছে। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করা হয়নি। র্যাবের ডিজি একই সাথে বলেন, লিমনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অথচ গত ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে আহত লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রাজাপুর থানায় দুটি এজাহার দায়ের করেছেন, একটি অস্ত্র আইনে অপরটি সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। দুটি মামলায় লিমনকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে দাবি করা হয়েছেঃ "র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে লিমন ও তার সহযোগী র্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ করে। র্যাব আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। সংঘর্ষের পর একটি পিস্তলসহ আহত অবস্থায় লিমনকে উদ্ধার করা হয়।"
অনুরূপভাবে র্যাবের সদর দপ্তর থেকে লিখিত এক পত্রে দাবি করা হয়, গত ২৩ মার্চ দিনের বেলায় র্যাবের দুটি বিশেষ অভিযান দল ১৮টি মামলার আসামি এবং ৯০ বছরের কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোরশেদ জমাদ্দারকে গ্রেফতারের জন্য তার গোপন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। চারদিকে ধানক্ষেতঘেরা একটি কলাবাগানে ওই আস্তানা। বাঁশের বেড়া টপকে সেখানে যেতে হয়। সাদা পোশাকধারী র্যাবের দু'জন সদস্য মোরশেদের আস্তানায় ঢুকলে লিমনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এগিয়ে এসে র্যাব সদস্যদের প্রতিরোধ করে। তাদের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয় দেন। পিছনে পোশাক পরিহিত অপর সদস্যরা এগিয়ে আসেন। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা র্যাবের ওপর গুলি চালায়। র্যাব সদস্যরা কিছু দূরে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিনিময় থেমে গেলে আহত অবস্থায় লিমনকে আটক এবং ঘটনাস্থলে থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র প্রকাশ্যে দিবালোকে উদ্ধার করা হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদপত্রে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু সংবাদপত্রের নিজস্ব অনুসন্ধানে র্যাবের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, তারা কোন গুলিবিনিময়ের শব্দ শোনেনি। কেউ কেউ বলেছেন, তারা মাত্র একটি গুলির শব্দ শুনেছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে সংবাদপত্রে এ ধরনের সংবাদ ছাপা হলে র্যাব এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লিমনকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার একের পর এক চেষ্টার পর বিষয়টি যখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, হাইকোর্ট এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে আসে তখন র্যাব তার বক্তব্য পাল্টে ফেলে। এ নিয়ে র্যাবের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছেঃ "লিমন ঘটনার শিকার।"
এ নিয়ে ৫টি তদন্তের ব্যবস্থা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু দাবি করেছেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও লিমনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। ররবের গুলিতে পঙ্গু দরিদ্র পরিবারের হতভাগ্য কিশোর লিমন হোসেনের ঘটনায় র্যাবের হরেক রকম ভাষ্য পাওয়া যাচ্ছে। লিমনকে সন্ত্রাসী ও অস্ত্রধারী দাবির পর সর্বশেষ র্যাবের মহাপরিচালক মোখলেছুর রহমান সোমবার বলেছেন, ঝালকাঠিতে র্যাবের গুলিতে আহত এইচএসসি পরীক্ষাথর্ী লিমন ঘটনার শিকার। সন্ত্রাসী ও র্যাবের মধ্যে বন্দুক যুদ্ধের সময় সে আহত হয়েছে। তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে গুলি করা হয়নি। র্যাবের ডিজি একই সাথে বলেন, লিমনের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও পাওয়া যায়নি। অথচ গত ২৩ মার্চ র্যাবের গুলিতে আহত লিমনের বিরুদ্ধে র্যাবের ডিএডি মোহাম্মদ লুৎফর রহমান রাজাপুর থানায় দুটি এজাহার দায়ের করেছেন, একটি অস্ত্র আইনে অপরটি সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে। দুটি মামলায় লিমনকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এজাহারে দাবি করা হয়েছেঃ "র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে লিমন ও তার সহযোগী র্যাবের ওপর গুলিবর্ষণ করে। র্যাব আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়। সংঘর্ষের পর একটি পিস্তলসহ আহত অবস্থায় লিমনকে উদ্ধার করা হয়।"
অনুরূপভাবে র্যাবের সদর দপ্তর থেকে লিখিত এক পত্রে দাবি করা হয়, গত ২৩ মার্চ দিনের বেলায় র্যাবের দুটি বিশেষ অভিযান দল ১৮টি মামলার আসামি এবং ৯০ বছরের কারাদন্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক শীর্ষ সন্ত্রাসী মোরশেদ জমাদ্দারকে গ্রেফতারের জন্য তার গোপন আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। চারদিকে ধানক্ষেতঘেরা একটি কলাবাগানে ওই আস্তানা। বাঁশের বেড়া টপকে সেখানে যেতে হয়। সাদা পোশাকধারী র্যাবের দু'জন সদস্য মোরশেদের আস্তানায় ঢুকলে লিমনসহ কয়েকজন সন্ত্রাসী এগিয়ে এসে র্যাব সদস্যদের প্রতিরোধ করে। তাদের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় র্যাব সদস্যরা তাদের পরিচয় দেন। পিছনে পোশাক পরিহিত অপর সদস্যরা এগিয়ে আসেন। এ সময় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা র্যাবের ওপর গুলি চালায়। র্যাব সদস্যরা কিছু দূরে অবস্থান নিয়ে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য এবং আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গুলিবিনিময় থেমে গেলে আহত অবস্থায় লিমনকে আটক এবং ঘটনাস্থলে থেকে গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র, রাম দাসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র প্রকাশ্যে দিবালোকে উদ্ধার করা হয়। র্যাবের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সংবাদপত্রে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
কিন্তু সংবাদপত্রের নিজস্ব অনুসন্ধানে র্যাবের এই দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসী জানান, তারা কোন গুলিবিনিময়ের শব্দ শোনেনি। কেউ কেউ বলেছেন, তারা মাত্র একটি গুলির শব্দ শুনেছে। এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে সংবাদপত্রে এ ধরনের সংবাদ ছাপা হলে র্যাব এলাকায় গিয়ে গ্রামবাসীকে ভয় দেখিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। লিমনকে সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করার একের পর এক চেষ্টার পর বিষয়টি যখন জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, হাইকোর্ট এবং বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলোর নজরে আসে তখন র্যাব তার বক্তব্য পাল্টে ফেলে। এ নিয়ে র্যাবের সর্বশেষ বক্তব্য হচ্ছেঃ "লিমন ঘটনার শিকার।"
এ নিয়ে ৫টি তদন্তের ব্যবস্থা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট শামসুল হক টুকু দাবি করেছেন, সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ ও প্রভাবমুক্ত তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা ও লিমনকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
সুত্র