ডলার সংকট নিয়ে তাৎক্ষণিক আলাপ করলাম।
১। প্রভাবশালীদের ডলার মজুদের আশংকা।
২। পরিস্থিতি কাজে লাগিয়ে ফরেক্স ব্যবসায়ীদের ডলার ব্যবসায় নামার শংকা।
৩। প্রয়োজনীয় আমদানীতে বাঁধা না দেয়া। গড়পড়তা এলসি/আমদানি নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে, রবং প্রয়োজনীয় শিল্প উৎপাদন এবং রপ্তানির সাথে সামঞ্জস্য রেখে এইচএস কোড ম্যাপিং ভিত্তক আমদানি নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা করা।
৪। আমদানি নিষেধাজ্ঞা না দিয়ে বরং টাকার যৌক্তিক অবমূল্যায়ন করা।
৫। ডলারের বিপরীতে টাকার মান কার্ব মার্কেট থেকে বেশি না রাখা, এতে রেমিটেন্স কমে হুন্ডি বেড়ে যাবার শংকা।
৬। ডলার রেট এডজাস্ট করার দ্রুত এবং ডায়নামিক পদক্ষেপ নেয়া।
৭। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেয়া, প্রয়োজনীয় প্রকল্প যাতে বন্ধ না হয়, প্রয়োজনীয় আমদানী যাতে বন্ধ না হয়ে।
৮। তাৎক্ষণিক ভাবে বিদ্যু খাতে ভর্তুকি বন্ধ, চুক্তি রি-নেগশিয়েট, অপ্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ প্রকল্প দ্রুত বন্ধের উদ্যোগ নেয়া।
এছাড়া সরকারের নতুন লাইসেন্স দেয়া হায় হায় ব্যাংকের ডলার সংকটের কারণ হিসেবে বলতে চাই যে, এসব ব্যাংক ব্যাংকিং সেবা, রেমিটেন্স সেবার চেয়ে কালো টাকার আমনত ভিত্তিক সাদাকরণ, নিজেদের মধ্যে ব্যাংক ঋণ নয়ছয়ে সময় নষ্ট করেছে বলে তাদের নিজস্ব ডলার আয়ের উৎস কম, এরাই এখন চরম সংকটে আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে রেমিট্যান্স সংগ্রহে সবচেয়ে এগিয়ে ইসলামী ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ও সাউথইস্ট ব্যাংক। অন্যদিকে রেমিট্যান্স সংগ্রহে সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে ইউনিয়ন, পদ্মা, এনআরবি, মিডল্যান্ড, মধুমতি, মেঘনা, গ্লোবাল ইসলামী, এনআরবি কমার্শিয়াল ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স। পিছিয়ে থাকা প্রত্যেকটা ব্যাংক রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হায় হায় ব্যাংক।
এর বাইরে আরেকটা বিষয় বলছি, প্রভাবশালীরা ব্যাংকের প্রতিষ্ঠানিক অক্ষমতা ব্যবহার করে এলসি খুলছে, ছোট ব্যবসায়ীরা পারছে না, এতে বৈষম্য বাড়বে। সবমিলে মূল্যস্ফীতিও আবারও বাড়বে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৮