সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের বাবা নাকি রাজাকার ছিলো,তাই তার স্বামীকে অপহরণের বৈধতা দিচ্ছে আওয়ামী একটিভিস্টরা। এটা কোন ধরনের মেন্টালিটি। আমরা যে এখনো মানুষ হই নাই এটাই স্পস্ট প্রমান। তার বাবা রাজাকার কিনা , বা ৭১ এ কোনো অপরাধ করেছে কিনা তা আইন দ্বারা প্রমাণিত নয়।
যখন সোনার বাংলাদেশ ব্লগ বন্ধ করে দেওয়া হলো তখন শাহবাগীরা হাতে তালি দিলো। আবার যখন আমার ব্লগ সহ কয়েকটি ব্লগ ব্লক করে দেওয়া হলো তখন তারা বললো #MuzzleMeNot .. একটি ব্লগ বন্ধ হলে খুশি আবার আরেকটি ব্লগ ব্লক করলে মাজল মি নট কেন ?? এটা তো স্পস্ট ভন্ডামি।
যখন মাহমুদুর রহমানকে ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করা হলো তখন শাহবাগীরা হাতে তালি দিলো। কিন্তু যখন কয়েকদিন আগে ৫৭ ধারায় ২ জন শাহবাগী নাস্তিককে গ্রেপ্তার করা হলো তখন সব আওয়ামী ও শাহবাগীরা এটি কালো আইন বলে বাতিলের আহবান জানায়। মোট কথা হলে দেশে যে ফ্যাসিজম শুরু হয়েছে তার থেকে কেউ রক্ষা পাবে না।
তাই আজকে যেই সব শাহবাগী ও আওয়ামী একটিভিস্টরা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীকে অপহরণের বৈধতা দিচ্ছে , তাদেরই কোনো স্বজন হয়তো নিকট ভবিষ্যতে গুম হতে পারে। খোজ নিয়ে জানা যাবে সেই গুম হওয়া লোকটি হলো ৭১ সালে পাকিদের সহযোগী আওয়ামীলীগের নেতার ছেলে অথবা কোনো ভূমিদস্যুর নাতি। তখন আরেক গ্রুপ পাকি সহযোগীর ছেলে বা ভূমিদস্যুর নাতি হিসেবে গুমের বৈধতা দিবে।
তখন কি শাহবাগীরা ওই গুমের বৈধতা দিবেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামীর মত ? নাকি সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের মত ২ রাত ঘুমাতে পারবে না। নারায়নগঞ্জ থেকে ঢাকায় দৌড়াদৌড়ি করবেন ?
শহরে যখন আগুন লাগে তখন দেবালয় এড়ায় না। কোনো মার্কেটে বোম ফুটলে সেই বোম বিএনপি আওয়ামীলীগ চিনবে না। বোমটি সবাইকে আঘাত করবে। তাই দেশে যখন ফ্যাসিজম শুরু হয়ে গেছে, বিএনপি আওয়ামীলীগ সবাই আক্রান্ত হবে। কেউ রক্ষা পাবে না। তাই এখন সবার নৈতিক দ্বায়িত্ব হলো এই ফ্যাসিজমের মোকাবেলা করা। নাহলে কেউ রক্ষা পাবে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৫২