চুলের ঘ্রাণের সাথে চারদিকে অহংকার ছড়িয়ে
যে-মেয়েটি চলে গিয়েছিল আমাকে পেছনে ফেলে,
পাহাড়ভর্তি কবিতার ফুল ফুটিয়েছিলাম যার নামে,
যার নামে উদাসী দুপুরে একলা ঘুঘুর কান্না থামিয়ে
তাকে গান শিখিয়েছিলাম, সে আর একদিনও
পুরোনো পথে চরণ রাখে নি
মেয়েরা এমনি অহংকারী হয়। কে তাকে ভালোবাসলো
ভালোবেসে নিজেকে করে ফেললো খুন- এসবে কিচ্ছু
যায় বা আসে না তাদের। প্রেমিকের চোখ শুকিয়ে
মরুভূমি; দেহের প্রতিটি ভাঁজে দুরারোগ্য প্রেম
খাবলে খুবলে খায় ঘুণের মতো; দুর্মর আকাঙ্ক্ষারা
কুরে কুরে সর্বস্ব করে ছাই; হায়, অসূয়াময়ীর উৎচোখ
ঠিকরে বেরিয়ে পড়ে লেলিহান হিংস্রতা, পদতলে পিষ্ট
হতে থাকে উপহৃত পুষ্পকবিতা, মৃত্যুগামী অনুৎকর্ষ প্রেম
অথবা পুণ্যপ্রার্থী পাপ।
আমাকে উত্তরের শ্যেনপাখি তার চোখের আগুন নিভিয়ে
বলেছিল, মেয়েটির চোখেও একদিন আগুন নিভে যাবে,
সেদিন সে ফিরবে প্রেমের অন্বেষায়, কোনো এক সন্ধ্যার
বাতাসে আঁচল উড়িয়ে, পাথরবিছানো পুরোনো পথের
পাড় ধরে; হাসনাহেনার গন্ধে সেদিন বিভোর অন্ধকার
যে আর একদিনও পুরোনো পথে ফিরে আসে নি, সেই
মেয়েটিকেই আমি ভালোবেসেছিলাম; মেয়েটির চোখে
এখনো আগুন জ্বলে, আমি জানি; আর আমার চোখে
আজও জ্বলে অনির্বাণ প্রেম, শুধু সেই অসূয়াবতীর জন্য,
অহংকারই ছিল যার সম্পদ, অথবা সৌন্দর্য।
২১ সেপ্টেম্বর ২০১৭
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই নভেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫