জীবনে যে গানটি সবচাইতে বেশি গেয়েছি, সেটি হলো যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই। একা একা, আপন মনে, যখন ইচ্ছে তখনই। বন্ধুদের সাথে আড্ডায়, ক্যাজুয়াল পরিবেশে। এ গানটার একটা বিরাট ইতিহাস আছে, যা নিয়ে এর আগে পোস্ট লিখেছিলাম। পোস্টটা এখন খুঁজে না পেয়ে বিস্মিত হলাম, সম্ভবত ওটি এ ব্লগে শেয়ার করা হয় নি। যাই হোক, কারো যদি বাই চান্স সেটি কোনোভাবে পড়া হয়ে থাকে, তাহলে তো তিনি ইতিহাসটা জানেনই। আর কেউ পড়ে না থাকলেও সমস্যা নেই, ভবিষ্যতে তা শেয়ার করা হবে।
এর পরের অবস্থানে যেটি আছে (সম্ভাব্য, নিশ্চিত নই), সেটিও নজরুলের গানই - তোমারি আঁখির মতো আকাশের দুটি তারা। 'তোমারি আঁখির মতো আকাশের দুটি তারা' গানটির কথা পরজনমে যদি আসি এ ধরায় পোস্টে উল্লেখ করেছিলাম। রেডিও যুগে মোহাম্মদ হান্নান নামক জনৈক শিল্পীর কণ্ঠে 'তোমারি আঁখির মতো' এবং 'পরজনমে' গান দুটি শুনেছিলাম। সেই গায়কী এত মনোমুগ্ধকর ছিল, যা এখনো ভুলতে পারি নি। তবে, 'তোমারি আঁখির মতো' গানটি কখনো পুরোটা গাওয়া হয় নি। গানটা এতবার গেয়েছি, কিন্তু কোনোদিন পুরো লিরিক মুখস্থ করি নি। কেউ যদি হুট করে বলে বসতো, একটা গান গা তো, শতকরা ৮০ভাগ বা তার চাইতেও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমি 'তোমারি আঁখির মতো' গানটি গেয়েছি। এক অন্তরা পর্যন্তই।
গানের শিল্পী নই, মনের আনন্দে গাই। শতভাগ দরদ দিয়েই গাওয়ার চেষ্টা করি। গানের জন্য দরকার হলো দমের, যা আমার অত্যন্ত অপ্রতুল। সুর কেটে গেলে সে গান আমি তুলি না, অন্যদিকে দমের ঘাটতির জন্য গানটা ভালো করে গাইতেও পারি না। এসব লিমিটেশন সত্ত্বেও গান না গেয়ে থাকতেও পারি না। গানের ডামাডালে তো বাসার ভেতরে একজনকে দিনের পর দিন শত অত্যাচার সহ্য করে যেতে হচ্ছে। এ অত্যাচার যে শুধু আমার পক্ষ থেকেই, তা না, দুই ছেলেও এ কাজে বেজায় এক্সপার্ট, তবে, ওদের ঘরের দরজা বন্ধ থাকে, আমার দরজা থাকে খোলা, ফলে, বাসায় যারা আসেন, তারাও মোটামুটি ত্যক্ত বিরক্ত কম হন না। কিন্তু তাতে আমি ড্যাম কেয়ার করি
আজ আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৭তম মৃত্যুবার্ষিকী। তার প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। শ্রদ্ধার অংশ হিসাবে আমার আনাড়ি কণ্ঠে গাওয়া তিনটি নজরুল সঙ্গীত শেয়ার করলাম।
যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই - যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই
পরজনমে যদি আসি এ ধরায়- পরজনমে যদি আসি এ ধরায় - খলিল মাহ্মুদ
তোমারি আঁখির মতো - তোমারি আঁখির মতো
১. ২৮ শে আগস্ট, ২০২৩ দুপুর ২:০১ ০