এই যে নদী এঁকেবেঁকে গেছে বহুদূর - এই গানের সুরটা যথারীতি লিরিক লেখার আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। লিরিক আহবান করে ব্লগে ও ফেইসবুকে পোস্টও দিয়েছিলাম, কিন্তু কোনো উপযুক্ত লিরিক পাওয়া যায় নি। অবশ্য, ডলি আপার কথা অনুযায়ী শেষমেষ আমি নিজেই ওটার লিরিক লিখে ফেলেছিলাম তো, সেই গানটি ফেইসবুকে শেয়ার করার পর ইসিয়াক ভাই সেখানে লিরিক লেখার প্রস্তাব করলে আমি সম্মতি দেই। ইসিয়াক ভাই কিছু পরে ইনবক্সে লিরিক পাঠান।
লিরিকে সুর তুলে খুব আনন্দ পেয়েছি। লিরিকের ভালো দিক হলো, অল্প দু-একটা শব্দ এদিক-ওদিক করা ছাড়া (যা না করলেও খারাপ হতো না) ভাবগত বা ছন্দ ও শব্দগত কোনো চেঞ্জ করতে হয় নি। একেবারে প্রথম অ্যাটেম্পট থেকেই সুর ধরা দিয়েছে লিরিকে। গীতিকার মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান একটা সাক্ষাৎকারে বলছিলেন, কিছু লিরিক থাকে এমন, যেগুলোতে সুর বসার জন্য ছটফট করতে থাকে। ইসিয়াক ভাইয়ের লিরিকটাও আমার কাছে এমন মনে হয়েছে। প্রথম চেষ্টাতেই যে-সুরটা পেয়েছিলাম, স্রেফ ওটাতেও গানটা ফাইনাল করা যায়।
আমার ইনডিজিনাস পদ্ধতিতে সুর তৈরির কাণ্ডকারখানা কেউ দেখতে চাইলে এই লিংকে যেতে পারেন এখানে ১ থেকে ১৩ পর্যন্ত অডিও ক্লিপগুলো শুনে দেখতে পারেন, প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সুর কীভাবে বিবর্তিত হয়েছে। ১০ নাম্বার অডিওটা হলো ফাইনাল টেক এবং গানটা এটার উপর দাঁড় করানো। এরপর গানের বিভিন্ন অংশ, এমনকি ছোটো একটা ওহো বা, ও, কিংবা মনে লাগে সুখ, ইত্যাদি বিভিন্ন অংশ আবার আলাদা আলাদা করে রেকর্ড করতে হয়েছে; সেগুলো অবশ্য লিংকে পাবেন না। খালি গলায় গান গাওয়ার কাজগুলো খুব সহজ। কিন্তু, আসল কাজ হলো অডিও এডিটিং ও মিউজিক কম্পোজ করা, যা করা হয় এফএলস্টুডিয়ো২০ নামক একটা সফটওয়্যারের মাধ্যমে, যেটি অনেক জটিল প্রক্রিয়া।
লেখকরা সময় পেলেই পুরোনো লেখাগুলো এডিট করতে থাকেন। রবীন্দ্রনাথের অনেক এডিটেড কবিতা সম্পূর্ণ আলাদা কবিতা হিসাবে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। আমার গুরু বিশ্ববিখ্যাত কবি খলিল মাহ্মুদ গল্প এডিট করতে করতে শেষ পর্যন্ত দেখতে পান যে, প্রথম ভার্সন আর শেষ এডিটেড ভার্সন সম্পূর্ণ আলাদা বস্তু
তো, আমি গানগুলোর মিউজিকও সময় পেলেই এডিট করি। প্রথম ভার্সনটি বের করার সময় খুব তাড়াহুড়ো থাকে। কয়েকবার শোনার পর বিট মিসম্যাচসহ অন্যান্য ত্রুটিগুলো ধরা পড়ে। এমনকি, প্রচুর ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও অনেক সময় গানটা আপলোড করে ফেলি, কারণ, আমি জানি যে, এটা ভবিষ্যতে এডিট (বা রিমাস্টারিং) করা হবেই।
এ গানটার মিউজিকও এডিট করা হলো। আগের গাওয়া গানই এটা। আর আপনারা জানেন যে, আমি শিল্পী নই, শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য আমার কণ্ঠটাকে ধারক হিসাবে ব্যবহার করি। তবে, আগামী কোনো গানের জন্য কেউ সুরের ধারক অর্থাৎ আমার গানের গায়ক হতে চাইলে দয়া করে জায়গায় দাঁড়িয়ে আওয়াজ দেবেন, আমি আপনার জায়গায় জিনিস পৌঁছিয়ে দেব
এর উপর আগে একটা পোস্ট দেয়া হয়েছিল, বিষয়বস্তু বা পোস্টের মাল-মসলা মূলত এসবই ছিল লিংক নীচে পাবেন
লিরিক
তুমি সখী সোনাপাখি বুকে বাইন্ধাছো বাসা
তুমি আমার প্রাণভোমরা আশা ভরসা
প্রাণও সখী তোমার জন্য প্রাণও আকুলায়
উইড়া আইস্যা জুইড়্যা বসছো মন পিঞ্জিরায়
ছাইড়া গেলে সোনাপাখি বুকেতে ধুকপুক
ফিরা আইলে প্রাণও ঠান্ডা মনে লাগে সুখ
যাইয়ো না যাইয়ো নারে বন্ধু তুমি আমার জান
তুমি ছাড়া এ জীবনের নাইতো কোন দাম
কথা : রফিকুল ইসলাম ইসিয়াক
সুর ও মিউজিক কম্পোজিশন : খলিল মাহ্মুদ
মিউজিক কম্পোজিশন গাইড : বেবি লাবিব
গানের ইউটিউব লিংক : তুমি সখী সোনাপাখি বুকে বাইন্ধাছো বাসা
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
******
এই সেই আগের পোস্টের লিংক : আগের পোস্টের লিংক
ভার্সন-২ (প্রথম ভার্সন ইম্প্রুভ করার পর) : এখানে ক্লিক করুন - তুমি সখী সোনাপাখি - ভার্সন-২
ভার্সন-১ (এটি প্রথম আপলোড ও শেয়ার করা হয়েছিল) : এখানে ক্লিক করুন - তুমি সখী সোনাপাখি - ভার্সন-১
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৪