তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো তবে
মিছেমিছি আফসোস কেন
তোমাকে রাখি নি বেঁধে, মুক্ত পাখির মতো
যেখানে খুশি যেতে পারো
আমি তো এমনি ছিলাম,
আমাকে করেছি উপভোগ
ছিল না প্রেমের প্রতি
কোনো মোহ, কোনো মনোযোগ
শিখেছি তোমায় দেখে
ভালোবাসা হলো এক মানসিক রোগ
কখনো টলি না আমি, আমাকে টলাতে কেন
অযথাই এতকিছু করো
কে এলো, কে চলে গেল,
কার দায়, সে খবর কে রাখে!
আমি শুধু ভালোবাসি
একরোখা এই আমিটাকে
ডিজিটাল ভালোবাসা
আজকাল পথেঘাটে মরে পড়ে থাকে
বোকাপাখি, তুমি শুধু বার বার ভুল করে
বার বার ভুল পথই ধরো।
৩০ নভেম্বর ২০২২
কথা, সুর, মিউজিক ও কণ্ঠ : খলিল মাহ্মুদ
ইউটিউব লিংক : এখানে ক্লিক করুন - তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো
এ গানটার একটা শর্ট ভার্সন বা প্রোমো এর আগে আপলোড করেছিলাম - প্লিজ ক্লিক করুন - তুমি যদি ভালোবেসে ভুল করে থাকো - প্রোমো
আগের পোস্টে এ গানটা কীভাবে সুর করা শুরু করলাম, সে ব্যাপারে একটা হাইলাইট করেছিলাম। রাত জেগে ফুটবল বিশ্বকাপ দেখার পর যথারীতি অনেক বেলা করে ঘুম থেকে উঠেছি সেদিন। টিভি ছেড়ে দিয়ে পিসিতে বসেছি। জিটিভিতে যেহেতু খেলা দেখি, জিটিভিই অন থাকে সারাদিন। জিটিভিতে তখন শুরু হচ্ছে এক বাংলা ছায়াছবি। ছবির আবহ সঙ্গীত কেবল শুরু - ৫ সেকেন্ডও হয় নি - অমনি একটা সুর ঢুকে গেল মগজে। ছবির মিউজিকের সাথে কোনো মিল বা সম্পর্ক নেই, কিন্তু আমার সুর চলে এসেছে মাথায়। টিভি মিউট করে আমি সাথে সাথে ওটা নিয়ে লেগে পড়লাম। প্রথম অংশের সুর মোবাইলে রেকর্ড করে পুরো লিরিক লিখতে শুরু করলাম। লিরিক লেখা শেষে গানের প্রথম অংশ তাড়াহুড়ো করে গেয়ে ঐ পোস্টের সাথে জুড়ে দিয়েছিলাম।
এটা একটা দ্রুত লয়ের গান। অনেক উঁচু স্কেলে গাওয়ার দরকার। আমি গাইতে যেয়ে গলার ১২টা বেজে গেছে। যতটুকু পেরেছি, গেয়েছি। কোনো সুরকার, গীতিকারের নিজের গান গেয়ে আমার মতো গলা ফাটানোর ইতিহাস আছে কিনা জানি না; আমার এটাই গর্ব যে আমি গলা ফাটিয়ে গলার তার ছিঁড়ে ফেলছি
লিরিকটা লিখে তৃপ্তি পেয়েছি। 'আমাকে করেছি উপভোগ' - নিজে লিখে নিজেই চমকে গেছি - এ লাইন আমি কীভাবে পেলাম? ব্যক্তি-জীবনে আমি খুব নিরীহ, নির্জ্ঝঞ্ঝাট, কারো সাতেও নাই, সতেরতেও নাই; উচ্চাভিলাষী নই, এবং অনেকে খুব হাইফাই লাইফ লিড করে, উচ্চাঙ্গীয় জীবন যাপন করছে, সেটা দেখে আমি পরশ্রীকাতরতায় ভুগি না, এবং ঐ লাইফের জন্য লালায়িতও না, খুবই সাধারণ লাইফ স্টাইল। আমি নিজের মতো করেই জীবন যাপন করতে অভ্যস্ত; তবে আমার এই অতি সাধারণ জীবনযাত্রায় কেউ বাগড়া দিতে এলে তা আমাকে খুব বিরক্ত ও ক্ষীপ্ত করে। আমি আমার পরিকল্পনায় অটল, বলতে পারেন একগুঁয়ে, নাছোড়বান্দা (অন্যের জন্য ক্ষতিকারক না)। এই যে আমার নিজস্ব একটা বৈশিষ্ট্য আছে, যা অনেকের সাথেই মিলে যেতে পারে - আমি আমার এই বৈশিষ্ট্যটাকেই খুব উপভোগ করেছি। আমি এমনই থেকে যেতে চাই। যাই হোক, যারা লিরিকটা পড়ার সময় মনোযোগী ছিলেন না, রিকোয়েস্ট করছি, আবার উপরে গিয়ে লিরিকটা পড়ে আসুন। আপনার বৈশিষ্ট্য যদি আমার সাথে পুরোপুরি মিলে যায়, লিরিকটা আপনার ভালো লাগবে।
আপনারা জানেন, আমি কণ্ঠশিল্পী নই, আমাকে বলতে পারেন সুরকার ও গীতিকার। শুধু সুরটাকে ধরে রাখার জন্য একটা কণ্ঠের দরকার, আমি সেই কণ্ঠটাই দিচ্ছি। রবীন্দ্র-নজরুল বা জসীমউদ্দীন গান গাওয়ার জন্য বা কণ্ঠশিল্পী হিসাবে গানের জগতে খ্যাতি লাভ করেন নি, তারা খ্যাতি লাভ করেছিলেন গীতিকার ও সুরকার হিসাবে, যদিও নজরুলের কণ্ঠ ভালো ছিল। ঠিকই ধরেছেন, বড়োদের তুলনা দিলাম নিজেকে ঐ সারিতে নেয়ার জন্যই
এটা একটা কঠিন গান হয়ে গেছে। সুরটাও কঠিন। লম্বা দম না নিতে পারলে গাওয়া সম্ভব হবে না। গতরাতে আমার পরিচিত এক অর্কেস্ট্রাকে গানটা দিলাম, কাউকে দিয়ে গাইয়ে দেয়ার জন্য। যদি অন্যের কণ্ঠে পাই, আপনারাও পাবেন এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ১:২৬