প্রমীলা! সে এখন যে-কোনো নারী! তার বুকে অচেনা গন্ধ। কে তার সত্যিকারের প্রেমিক, জানি না।
প্রমীলা! ঝিনুক খুঁড়ে ছিনিয়ে আনা আশ্চর্য বেদনা।
পাগলা ষাঁড়ের মতো বেদনারা তীব্র তেড়ে আসে।
যাকে পাই নি, তাকে কেবল জীবন দিয়েই ভুলে যাওয়া যায়।
সে থাকে আকাশ জুড়ে; আকাশ ছোঁয়া যায় না।
পাতাল ফুঁড়ে হৃৎপিণ্ডে ঢুকে যাওয়া যায়।
বাতাসের অণু-পরমাণুতে সে মিশে আছে। আমি তার ঘ্রাণ পাই।
প্রমীলা- সব আলো ম্লান করে দেয়।
প্রমীলা- জমাট আঁধারে তীব্র একখণ্ড আলো।
প্রমীলা- আলেয়া, এবং মরীচিকা।
মাঝে মাঝে মনে হয় প্রমীলাকে চিনি, এ গ্রহেই তার নিবিড় আনাগোনা। প্রমীলাকে এরপর দেখি না, তাকে
ছোঁয়া যায় না, তার ফেলে যাওয়া পথে কখনো সোনাবীজ, কখনো-বা দুঃখ রয়েছে বোনা।
পৃথিবীতে প্রেম ছিল। অমোঘ রত্নের মতো আলোডানাপ্রেম আমার চোখের ভেতর মেখে দিয়ে ভোরের কুয়াশায়
মিলিয়ে গিয়েছিল যে নারী- রাতের পাখিরা তার নাম রেখেছিল ‘অহনা’। অহনা, কিংবা প্রমীলা, অথবা রাহিমা-
হতে পারে অন্য কোনো নারী কিংবা অপ্সরা- অথবা কোনোদিনই কেউ ছিল না- যা ছিল, তার একখণ্ড-সুখ, অন্যখণ্ড-দুঃখ।
আমার কোনো দুঃখ নাই। দুঃখের সাথে সখ্য আছে, সে হয় আমার আপন ভাই।
ঋণ : বরুণা এবং নীল লোহিত
৪ ডিসেম্বর ২০১২
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০২১ দুপুর ১:০০