অনেকদিন গা-ঢাকা দেয়ার পর একটা ঝাড়া দিয়া শরীর থেকে খোলসটা ফেলে দিল জামালুদ্দিন লাগাম। আগের আমলে যে কবীরা গুনাহ করেছিল, বাঁচা থাকতে সেইগুলো কেউ তাকে মাফ করবে না।
সেই জন্মের পাপকার্যের ফিরিস্তি করতে গেলে কয়েকজন দক্ষ দলিল লেখকের কলমের কালি শেষ হয়ে যাবে। শুধু এক-কথায় বলা যায়- সে ছিল সরকারী দলের এক দুর্ধ্বর্ষ খুনি, ধর্ষক ও স্বার্থলোভী ছাত্রনেতা। কতজনকে সে বুড়িগঙ্গার জলে ফেলে দিয়েছিল, ক’টা মেয়ের ভার্জিনিটি নষ্ট করেছিল, এ হিসাব তার নিজের কাছেও নাই।
সরকারের বদল হয়েছে। কিন্তু নিহত ও ধর্ষিতাদের স্বজনেরা কি বুকের ক্ষত ভুলতে পেরেছে? তাদের বুকে প্রতিশোধের আগুন লেলিহান হিংস্রতায় জ্বলছে।
জামালুদ্দিন লাগাম জানে, তার প্রাণ এখন ক্ষমতাসীন ছাত্রনেতাদের হাতে। তাকে বাঁচতে হবে। আর ঐ যে, ক্ষমতার একটা দুর্দান্ত সুখ আছে না- হ্যাঁ, সেই সুখটাও তার চাই।
জামালুদ্দিন লাগামের কুটিল মনে বুদ্ধির অন্ত নাই- শয়তানরা বিপদে পড়লে তার কাছ থেকে বুদ্ধি ধার নেয়। সে এবার সাহায্য নিল ডিজিটাল মিডিয়ার।
২৬ মার্চের রাত ১২০১ মিনিটে সে ফেইসবুকে এক জ্বালাময়ী স্টেটাস লিখলো। মুহূর্তে লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের সুনামি বয়ে গেলো তার স্টেটাসের উপর।
কী লিখেছিল স্টেটাসে? এটাও এক-কথায়ই বলি- নাহ্ থাক, আপনারাই আন্দাজ করুন, আর এই ভোল-পাল্টানো, সুবিধালোভী ধূর্ত শেয়ালদের চিনে রাখুন, যারা সব সরকারের আমলেই ‘সরকারি দল’ করে আর দেশ ও জনগণের হুগা মাইরা জান তেজপাতা কইরা ছাড়ে।
২৭ মার্চ ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৩৭