সব সংকেতের মানে বোঝো তুমি
বোঝো তুমি সব কবিতার ভাষা;
পাহাড়ের বুক খুঁড়ে বের করো
পাথরের বুকে কোন্ জিজ্ঞাসা।
যদি তুমি সত্যিই একদা ভালোবেসেছিলে- ঝাঁকে ঝাঁকে কবিতারা উড়ে এসে সে প্রেমের সাক্ষ্য দেয় যদি, যদি তোমার অপ্রতিভ ঠোঁটজোড়া কেঁপে ওঠে সমূলক বিস্রুতির দাহে, সে লজ্জা আমার। অনসূয়া মেয়ে, প্রেমের শর্তে হৃদয় বিকিয়েছিলে।
মন এক দুর্বোধ্যতম কবিতা, প্রেম তার নিভৃত পথচারী।
যে-কথার আজও ধরতে পারি নি মানে,
তুমি তা পড়ো স্বচ্ছ জলের মতো;
যা কিছু লিখেছি তোমার প্রেমের নামে
একটিও যদি সত্যি-কবিতা হতো!
যেদিন তুমি কবিতা পড়ো না, আমি পিপাসায় মরে যাই। ক্ষুধার্ত অক্ষরগুলো তোমার স্পর্শের অপেক্ষায় থেকে থেকে শুকিয়ে কাঠ হয়। আমি মরে যাই।
তুমি ভয় পেয়ো না, মেয়ে; যে কবিতার অর্থ মুহূর্তেই ধরে ফেলা যায়, তা ছিঁড়ে ফেলেছি। আর জানো তো, যে-কবিতার কোনো মানে থাকে না, কিংবা যা তুমি বোঝো না- তাকেই বলে শ্রেষ্ঠ কবিতা। ভূরি ভূরি শ্রেষ্ঠ কবিতা লিখেছেন আমাদের হিরন্ময় প্রেমিকেরা, একজন অ-কবি প্রেমহীন চলে গেলে কী ক্ষতি পৃথিবীর?
তুমি বোঝো না এমন কোনো কবিতা নেই। আমি আজও কোনো কবিতা লিখি নি।
২১ অক্টোবর ২০১৩