somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কবিতার শিরোনাম

২৩ শে নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কবিতারা এমন যাদের কোনও শিরোনাম হয় না। যাঁরা শিরোনাম লিখেন, ভুল করেন আমার মতোই। বস্তুত কবিতাদের এমনই হবার কথা; কবিতারা স্মরণীয় বাণী। যে কোনও ভাবে যে কোনও জায়গায় এরা শুরু হতে পারে; শেষও হতে পারে যে কোনও জায়গায়; এমনকি অকস্মাৎ। কবিতারা একটা ট্রেনের মতো; কবিতার একেকটা পঙ্ক্তি ট্রেনের একেকটা বগির মতো; একটা বগিকে যেমন ইচ্ছেমতো, যখন-তখন, যেখানে-সেখানে জুড়ে দেয়া যায় সুদীর্ঘ ট্রেনের- সামনে-পেছনে, মাঝখানে, কবিতার পঙ্ক্তিগুলোকেও তেমনি বসাতে পারো- তোমার শেষ লাইনটা শুরুতে বসাও, শুরুরটা কিছু পরে, বাকিদেরও ভীষণ উল্টে-পাল্টে ফেলো- দেখবে কবিতারা একটুও বদলায়নি, অর্থে ও অবয়বে। তাই কবিতার শুরু কিংবা শেষ খোঁজো না; তেমনি তার অর্থ : যেসব অর্থহীনতা অহরহ অনর্থ মনে করো, তারও জেনো গভীর গূঢ়ার্থ কবির গাঁথুনিতে।

কবিতারা এমন যাদের কোনও রং থাকে না, অথচ কবিতার মতো বাঙময় রং আর কোথাও পাবে না তুমি। কোনও সুগন্ধিজাত নয় কবিতারা, অথচ কবিতার সুঘ্রাণ প্রেমিকার শরীরের চেয়েও তুমুল সুরভিমুখর। কবিতারা কদাচিৎ কথা বলে। যেমতি ভূগর্ভে অতিশয় নিভৃতে ঘুমোয় বীজলাভা, কবিতার কন্দরে বিদ্রোহবারুদ সেমতে মূকময়।

বিষমাখা ঠোকর মারে যে, তাকে বলা হয় কাঁকড়া। তেমনি যে গাছ বড্ড ঝাঁকড়া হয় তাকে আমরা মানুষ বলি; আর যে মানুষের মন নেই তাকে বলি পাখি। তুলনাগুলো মোটামুটি এমনই যদি হয়, দেখবে খুলে গেছে জগতের সকল বিস্ময়। এবং এমতে এসবের অর্থ খোঁজো না সতীর্থ কমরেড। কবিতারা এমনই চিরকাল ধরে। এককোষ কমলা কিংবা কাঁঠালে ভিন্নতর সুমিষ্ট স্বাদ, তেমনি আম্র এবং আনারে। তেঁতুল কিংবা কুলে; বাতাবি কিংবা নেবুতে; বিচিত্র অম্লস্বাদ।

তোমার সবগুলো কবিতার ছেঁটে ফেলো শিরোনাম। ট্রেনের বগির মতো পরস্পর বসাও। চরণগুলোও আরেকবার এলোমেলো সাজিয়ে নাও। কী অবাক দেখো, তোমার সমগ্র কবিতা এক অখণ্ড সত্তায় দাঁড়িয়ে, অভিন্ন অর্থের ভেতর।

একজন কবি একজনমে একটি কবিতাই লিখে থাকেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই নভেম্বর, ২০১২ দুপুর ২:৫৮
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

টরন্টোর চিঠি - "অতএব জাগ, জাগ গো ভগিনী!"

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই মে, ২০২৫ ভোর ৬:৩৭


গত বছর গ্রীষ্মের শুরুতে টরন্টোয় বসবাসরত আমার জন্মস্থান জেলা-শহর থেকে আগত অভিবাসীদের একটি পিকনিকে গিয়েছিলাম। ৫০–৬০ জন নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে আয়োজিত সেই অনুষ্ঠানের আয়োজকদের সকলে ছিলেন নারী। তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্টারের কাচ্চি বিরিয়ানী

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৭ ই মে, ২০২৫ সকাল ১১:৩১



শেষ কবে স্টারের কাচ্চি খেয়েছিলাম আমার মনে নেই। আগে একটা সময় ছিল যখন কাচ্চির নাম নিলে যে নামগুলো সবার প্রথমে সামনে আসতো তার ভেতরে এই স্টারের নাম থাকতো। এখনকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

পিনিক চা

লিখেছেন রাজীব নুর, ১৭ ই মে, ২০২৫ দুপুর ২:২৯



একটা গান আছে- পিনিক পিনিক লাগে।
ফালতু গান। পচা গান। পিনিক নামে একটা বাংলা সিনেমাও হয়েছে। আসলে 'পিনিক' শব্দটির আভিধানিক কোনো অর্থ নেই। সাধারণত নেশাদ্রব্য সেবন করার ফলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নটীদের আড্ডাখানা ছিল সংসদ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৪


বাজারে যত নটী আছে হাসিনা সবগুলোকে একছাদের নিচে দক্ষতার সংগে জমায়েত করতে পেরেছিল। সেই নটীদের ছিলনা কোন যোগ্যতা কিংবা না ছিল কোন রাজনৈতিক ব্যকগ্রাউন্ড; তারপরও নটীরা সংসদে যেতে পেরেছিল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবি ব্লগঃ প্রকৃতি

লিখেছেন সামিয়া, ১৭ ই মে, ২০২৫ বিকাল ৪:৫১



কিছুক্ষণ আগে পাতায় পাতায় গড়িয়ে পড়েছে বৃষ্টির ধারা; তার চিহ্ন রয়েছে জমে থাকা পাতার ফোঁটাগুলায়, মাঝে মাঝে নিচে পড়ে গিয়ে ছোট্ট শব্দ তুলছে, বাতাসে ভেজা মাটির গন্ধ, আর দূর... ...বাকিটুকু পড়ুন

×