খলীফা হারুনুর রশীদের দুই পুত্র আমীন এবং মামুন। দুজনই ইমাম কাসায়ী (রহ.) এর ছাত্র ছিল। একবার তাদের ওস্তাদ মজলিস থেকে উঠলেন। দেখেই দুই ভাই ওস্তাদের জুতা সোজা করার জন্য উদ্যত হলো। দুজনের মধ্যেই তর্ক হয়ে গেল কে জুতো সোজা করবে বলে। শেষে, দুজনেই এই সিদ্ধান্তে একমত হল যে, দুজনেই একটা করে জুতা সোজা করবে।
এই ঘটনা যখন খলিফা হারুনুর রশীদের কানে গেল, তখন তিনি ইমাম কাসায়ী (রহ) –কে ডেকে পাঠালেন। উনি যখন এলেন তখন খলিফা তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘মানুষের মধ্যে কে সর্বাধিক সম্মানীয়?’ ইমাম সাহেব বললেন, ‘আমার মতে খলিফার থেকে বেশি সম্মানীয় ব্যক্তি আর কে হতে পারে!’
খলিফা বললেন, ‘সম্মানীয় ব্যক্তি তো তিনিই যিনি মজলিস থেকে উঠলে খলিফার দুই পুত্র তাদের ওস্তাদের জুতো সোজা করার জন্য পরস্পরের মাঝে তর্ক করে, কে জুতো সোজা করে দেবে বলে’।
ইমাম কাসায়ী (রহ) ভেবেছিলেন, খলিফা হয়ত ঐ ঘটোনায় অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সে জন্য তিনি চিন্তিত হয়ে চুপ থাকলেন।
খলিফা বললেন, ‘শুনুন! আপনি যদি আমার পুত্রদ্বয়কে ঐ রকম আদব ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে নিষেধ করতেন, তাহলে আমি আপনার প্রতি খুব বেশি অসন্তুষ্ট হতাম। আগামীতে এই শিক্ষা অব্যাহত রাখবেন, নয়লে আপনি আমার অসন্তুষ্টি ও ক্ষোভের শিকার হবেন!’ তিনি আরো বলেন, ‘কোন ব্যক্তি বয়সে যতই বড় হোক কিংবা বিদ্যা ও মর্যাদায় যতই বড় হোক, তিন জনের সম্মুখে তারা কেউ বড় হতে পারে না। এক, বিচারক; দুই, ওস্তাদ; তিন, পিতামাতা’। [সুনাহরে আওরাক্ব ১২২ পৃষ্ঠা; স্বর্ণোজ্জ্বল ইতিহাস ৩৯ পৃষ্ঠা]
#KnowYourHeros
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০১৬ দুপুর ১২:৪৯