অনেকেই বলেছে শেখ হাসিনার পায়ের তলে মাটি নাই, শেখ হাসিনা সেটা বিশ্বাস করেন নাই।তাঁর পায়ের তলায় মাটি না থাকার বিষয়টি সেনা প্রধান যখন তাঁকে বিশ্বাস করাতে সক্ষম হলেন তখন তিনি ভারতে চলে গেলেন। সেখান থেকেই তিনি রিমোটকন্ট্রলের মাধ্যমে তাঁর পায়ের তলার মাটি ভরাটের কাজ করছেন। পায়ের তলার মাটি ভরাটের কাজ হয়ে গেলে তিনি দেশে ফিরবেন। তখন রাষ্ট্রপতি বলবেন তিনি যে পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন তাতে আসলে তাঁর স্বাক্ষর নাই। বিষয়টি তিনি খেয়াল করেননি। সংগত কারণে তিনি এখনো রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী। তারপর রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙ্গে দেওয়া সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বাতিল করবেন। আর তখন আবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ চলতে থাকবে। যারা চায় না শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় ফিরুক, তাদের কাজ হলো শেখ হাসিনার পায়ের তলার মাটি ভরাটের কাজ বাধাগ্রস্থ্য করা।নতুবা শেখ হাসিনা আবার ক্ষমতায় ফিরতে পারলে তাদের জন্য আয়না ঘর আছে।
শেখ হাসিনাকে বিদায় করে বাচ্চারা মনে করেছে তারা স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনা তাদেরকে তাঁর অধীন করে রাখার জন্য যে ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন সে ব্যবস্থা এখনো প্রায় পুরোটাই বহাল রয়েছে। এমতাবস্থায় তারা কেমন কি স্বাধীন হলো সেটা ঠিক বোধগম্য নয়। আবার যদি শেখ হাসিনা স্বরূপে ফিরতে পারেন তাহলে বাচ্চাদের খবর আছে। বাচ্চারা তাদের লড়াইয়ে ড. ইউনুছকে সাথে নিয়েছে এটা ভালো দিক। ড. ইউনুছের সাথে আমেরিকা ও জাতি সংঘ আছে এটাও ভালো দিক। তবে এ অঞ্চলে আমেরিকা ও জাতি সংঘের সাফল্য চোখে পড়ার মত নয়। এ অঞ্চলে ভারতের সাফল্য আমেরিকা ও জাতি সংঘের সাফল্যের চেয়ে বেশী। সেই ভারত শেখ হাসিনার সাথে থাকলে তাঁর শক্তিকে হেয় করা যাবে না। আর আমাদের দেশে ভারতের বহু সমর্থক রয়েছে এটা অস্বীকারের উপায় নাই। সুতরাং বাচ্চাদের স্বাধীনতা এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ ক্ষেত্রে আমার সাজেশন হলো তাদেরকে অতি ভারত বিরোধীতা ছাড়তে হবে।
বাচ্চারা ভারতকে তাদের সাথে রাখতে পারলে তাদের স্বাধীনতা টেকসই হতে পারে। নতুবা শেখ হাসিনা আবার জয়ী হতে পারলে তাদের নেতাদের জন্য আয়না ঘর বরাদ্ধ হতে পারে।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২১