বাংলাদেশ ভারতের কৃষি বাজার এবং চীনের প্রযুক্তি বাজার। ভারতের মত চীন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেজন্য দেশের প্রয়োজনে শেখ হাসিনা চীন সফরে গেলেন।কিন্তু চীন ভারতের শত্রু। দাদার বন্ধু ইসরায়েল বিষয়টা দাদার নজরে আনলো।তারপর দাদার লোকেরা ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনার উপকার করতে গেলে তাঁর ক্ষতি হয়ে গেল। তারপর দাদায় ইউক্রেন শফরে গিয়ে শেখ হাসিনাকে বুঝালেন, তুমি আমার শত্রুদেশ চীন যেতে পারলে আমিও তোমার শত্রু ইসরায়েলের বন্ধুদেশ ইউক্রেন যেতে পারি।আর ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার পারফরমেন্সে দাদায় বুঝলো মিত্র হিসাবে রাশিয়ান পক্ষ থেকে ইউক্রেন পক্ষ ভালো। কারণ সেই পক্ষে আমেরিকা আছে। সুতরাং র, মোসাদ ও সিআইএ সব এক পক্ষে চলে গেলে শেখ হাসিনা আর ক্ষমতায় থাকেন কেমন করে? ঘটনা ঘটার পর সকল পক্ষ এসে ড. ইউনুসকে বলছে আমরা এখন আপনার পক্ষে। সেজন্যই ড. ইউনুস বলছেন, বন্যা বিষয়ে ভারত ইচ্ছা করে কিছু করে নাই।
আমার অনুমান সঠিক হলে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর কোন আশা নাই।দাদায় শেখ হাসিনাকে ড. ইউনুসের হাতে তুলে দিলেও অবাক হব না। পাকিস্তানের ইমরান রাশিয়ার পক্ষে কথা বলে এখন বনে বনে ঘুরে। সিআইএ মো্দীর জোট ভাংলে তাকেও বনে বনে ঘুরতে হবে। সেজন্য দাদায় ইউক্রেন গিয়ে তাদেরকে বুঝালো আমি এখন তোমাদের সাথে আছি। রাশিয়ার সঙ্গ ছাড়তে আমাকে একটু সময় দাও। হাসিনা আবার রাশিয়ারও বন্ধু। এতদোষ নিয়ে কি ক্ষমতায় থাকা যায়? সকল পক্ষ ড. ইউনুসের সাথে থাকলে বিএনপি দোয়া ইউনুস পড়েও ক্ষমতা পাবে না। সেজন্যই তারা এখন নির্বাচনের রোড ম্যাপ জানতে চায়। ওয়াকার বিষয়টা বুঝে থাকলে তিনি ড. ইউনুসের সাথেই থাকবেন। মিডিয়ার কথা আর কি বলব? একাত্তর টিভি এখন একাত্তরের গানে চব্বিশের ছবি দেখায়। শম্পা রেজা বললেন, ওরা আমাদের সাথে পারবে না। সবাই যদি ওদের সাথে থাকে এবং কেউ যদি আপনাদের সাথে না থাকে তবে ওরা পারবে না কেন? শেষ তক আপনাদের জন্য দোয়া ইউনুসও রইলো না।
এক ছাত্র লীগ বলছে তারা নাকি মাহদী (আ.) বাহিনী- আসতাগফিরুল্লাহ। মাহদী (আ.) হলেন ইসলামী দলের নেতা। আওয়ামী লীগ কি ইসলামী দল? তোমাদের এখন অবস্থা হলো- কোন দিকে পথ নেই সব দিকে বন্ধ দুয়ার। কোন দিকে আলো নেই সক দিক ঘিরেছে আঁধার। যেসব আওয়ামী লীগ অবস্থা বুঝে তারা আর রাস্তায় নেমে বিপদে পড়তে চাইবে না। সুতরাং যে সব আওয়ামী লীগ এখন বিপদে আছে তাদের পক্ষে কোন পক্ষ দেখা যাচ্ছে না। সামান্য কিছু আবেগ প্রবন লোকের আবেগ দিয়ে তাদের কিছু উদ্ধার হবে বলে মনে হয় না।এ দিকে ফিলিস্তিনকে বেকে গিয়ে খেলতে হবে। কারণ তাদের ফ্রন্টে স্পেস নাই।তাদের বন্ধুরা সব দূর্বল প্রতিপক্ষ। ফিলিস্তিন শক্তি অর্জন করে যুদ্ধ করুক। শক্তি অর্জনের আগে যুদ্ধ করে তারা বিপদে আছে।
চীনে গিয়েই শেখ হাসিনা এখন অচিন পাখি হয়ে হারিয়ে যওয়ার অস্থায় পড়ে গেছেন। বিপদকালে সার্থপর বন্ধুরা সাথে থাকে না এটাই নিয়ম।এমন অবস্থায় বিএনপি এত বছর কাটিয়েছে। আওয়ামী লীগের অবস্থা এখন তারচেয়ে খারাপ। কারণ তাদের বিরুদ্ধে সব হচ্ছে হত্যা মামলা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে আগস্ট, ২০২৪ সকাল ১০:২১