বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হতে পারে। মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের হয়েছে। এসব মামলার রায়ে তাদের সাজা হওয়ার পর দলটি নিষিদ্ধ হতে পারে। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে তাদের বিরোধীদের নির্বাচনে জয়ী হওয়া সহজ হবে।
আওয়ামী লীগ নির্বাচন মুখী দল। সেই হিসাবে আগামী নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করতে না পারলে সেটা হবে এক নতুন হিসাব। এতদিন তারা কৌশল করে তাদের প্রতিপক্ষকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখতো, এখন তাদের প্রতিপক্ষ কৌশল করে তাদেরকে নির্বাচন থেকে সরিয়ে রাখবে।
সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আওয়ামী লীগকে দল গোছাতে বলেছেন। দলটি নিষিদ্ধ হলে উহা গুছিয়ে কোন লাভ নাই। অলাভ জনক কথা বলায় সম্ভবত প্রধান উপদেষ্ঠা সদ্য সাবেক স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ এখন জন রোষের মধ্যে পড়ে আছে। ভারতের দাসত্ব করে তারা টিকে থাকতে চেয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ভারতের দাসত্ব কামনা করে না। একটা স্বাধীন দেশ অন্যদেশের বন্ধু হতে পারে, দাস হতে পারে না। আওয়ামী লীগ এ সহজ কথাটা বুঝতে পারেনি।
আওয়ামী লীগের প্রশ্ন ছিলো তারা ক্ষমতা থেকে গেলে প্রধানমন্ত্রী কে হবে? এ প্রশ্নের উত্তর এখনো স্পষ্ট নয়। আপাতত প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস। আওয়ামী লীগ ছিলো তাঁর প্রধান শত্রু। বিপদকালে তারা যে দোয়া ইউনুস পড়বে সেই উপায়টাও এখন রইলো না।
আয়না ঘরের আয়নায় আওয়ামী লীগের বেডক চেহারা দেখা যাচ্ছে। তাতে অনেকে শেখ হাসিনার ডাইনী বা ড্রাকুলা চেহারা দেখতে পাচ্ছে। অন্যের বিপদ ঘটানো আওয়ামী লীগ, তারাই এখন আছে মহাবিপদে। এ বিপদে তারা দোয়া ইউনুস পড়বে সে কায়দাও নেই। কারণ ইউনুস বসে আছে তাদের প্রতিপক্ষ আসনে। এদিকে সোনাগাজি পড়ে আছে সেনা নিয়ে। এদেশে সেনা শাসন হলো নতুন করে পূরান ঘটনা। স্বৈরাচার-সেনা এদেশে শাসনে আসে পালা করে। জনগণ এক পক্ষকে বিদায় দিয়ে অন্য পক্ষকে স্বাগত জানায়। কারণ নতুন পক্ষের মাধ্যমে তারা পুরাতন পক্ষের অপরাধের শাস্তি কামনা করে। দূর্বল প্রবলের লাত্থি-উষ্ঠা অনেক খেয়ে প্রবলকে একটা চড় দিতে পারলেও শান্তি পায়। হামাস চল্লিশ হাজার খতম হয়ে এক হাজার ইহুদী খতম করেছে তাতেও তাদের শান্তি। কুরুস্কে প্রবেশ করে শান্তি পাচ্ছে ইউক্রেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হলে শান্তি পাবে জামায়াত। কারণ আওয়ামী লীগ জামায়াতকে নিষিদ্ধ করেছিলো। একদল ৭১ এর মানবতা বিরোধী অপরাধী, অপর দল ২৪ এর মানবতা বিরোধী অপরাধী। কবে আবার শাবাবাগে রব উঠে হ তে হাসিনার ফাঁসি চাই। একদা ক তে কাদের মোল্লার ফাাঁসি চাই বলা হয়েছে। এখন পট পরিবর্তন হয়েছে। পুরাতন পটের জায়গায় নতুন পট এসেছে। নতুন পটে ভালো আছে কি মন্দ আছে তা’ পট খুলতে খুলতে বুঝা যাবে। সাপ-খোঁপ থাকলে তাও পরে টের পাওয়া যাবে। তবু ভালো কিছু পাওয়ার আশায় জনগণ পট পরিবর্তনের পক্ষে ছিলো।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯