বৈসাম্য বিরোধী ছাত্রদেরকে পনের বছর ধরে লেখাপড়া শিখিয়েছে আওয়ামী সরকার। এখন এরা জাতীয় শোক দিবসে আনন্দ প্রকাশ করছে। এরা আবার লোকদেরকে শোক প্রকাশ করতেও দিচ্ছে না। লজ্জায় জিবে কামড় দিতে গিয়ে আমার জিহবা কেটে যাওয়ার পালা। গেদা বাচ্চা বলছে, এলা কালা? এরা তো আওয়ামী শিক্ষায় শিক্ষিত ছাত্র-ছাত্রী। আওয়ামী লীগ এদেরকে চেতনার ওভার ডোজ দেওয়াতে এরা আওয়ামী লীগের এ হাল করেছে।
আমার একটা ওষধের (নেপিটান) একশন- দীর্ঘস্থায়ী হার্ট ফেইলর (এন ওয়াই এইচ এ শ্রেণী ২-৪ এবং কম ইজেকশন এর কারণে হাসপাতালে ভর্তি এবং হ্রদযন্ত্রের কারণে মৃত্যু ঝুঁকি কমাতে।
আমার সেই ওষধের (নেপিটান) রি একশন- নিম্ন রক্তচাপ, উচ্চ পটাশিয়াম, কাশি, ঝিমুনি এবং কিডনি জনিত সমস্যা। এনজিওইডিমা(যার কারণে শ্বাসকষ্টজনিত মৃত্যু হতে পারে) এবং হাইপারকেলিমিয়া করতে পারে।
তারমানে আমার উক্ত ঔষধ মাত্রা অনুযায়ী সেবন বেঁচে থাকার কারণ। আর মাত্রা বেশী হলে সেই ঔষধই আমার মৃত্যুর কারণ। যাকে বলে ওভার ডোজ। আওয়ামী চেতনা শিক্ষার ওভার ডোজের কারণেই ছাত্রদের দ্বারা আজ তাদের এ বেহাল দশা। প্রশাসনের লোকদেরকেও ওভারডোজ দিয়ে তারা বিষিয়ে তুলেছে। আওয়ামী পুলিশ লীগ কিছু দিন পরে তাদেরকে বেধড়ক পিটালে অবাক হব না।
আমরা ছাত্রদের বদনাম কিভাবে করতে পারি? কোমলমতিদেরকে আওয়ামী সরকার যেমন বিদ্যাশিক্ষা দিয়েছে তারা এখন সেটাই প্রকাশ করছে। অন্যদেরকে আওয়ামী লীগ দৌড়ের উপর রেখেছে। তারা মৃতপ্রায় অবস্থায় বেঁচে ছিলো। যারা একটু নড়া-চড়ার চেষ্টা করেছে তাদের জন্য ছিলো গুম, খুন ও আয়না ঘর। আওয়ামী পতনে সবাই এখন বলছে তারা এখন স্বাধীন। আমার দুই কন্যাকেও দেখলাম তাদের প্রফাইলের লাল পিকচারে স্বাধীন লিখেছে। এখন আমি মেয়েদেরকে কি বলতে পারি? আমিতো তাদেরকে লেখা-পড়া শিখতে পাঠিয়েছি। তাদেরকে তো লেখা-পড়া শিখিয়েছে আওয়ামী লীগ। তো তাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে এরা কি বলছে তা’ আমি কিকরে বলব? শেষমেস একটা প্রবাদ দিয়ে শেষ করছি- যেমন কর্ম তেমন ফল। আজ আর কোন কিছু দিয়েই আওয়ামী বিরোধীতা ঠেঁকানো যাচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই আগস্ট, ২০২৪ রাত ১২:৪৫