শুধু মাত্র রাজধানী ঢাকাতেই দুই কোটি লোকের বাস। প্রতিদিন কমপক্ষে দেড় কোটি লোক রাস্তায় বের হন। অল্প কিছু মানুষ প্রতিদিন কয়েকশ লোকের জীবনের হুমকি হয়ে আছে। তারা ছিনতাই করছে। মানুষ মারছে। যাদের সংখ্যা খুবই কম। মাত্র গুটি কতক লোক প্রতিদিন রাস্তার পাশে দাড়িয়ে হিসু করেই চলেছে। তাদের হিসুর দুগর্ন্ধ আর জীবানুতে ভরে উঠছে আকাশ। দেশে ষোল কোটি মানুষ। তার মধ্যে প্রায় পাচ কোটি নারী। হাতে গোনা কতক ধর্ষকের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সুযোগ পেলেই বসিয়ে দিচ্ছে তাদের বিষাক্ত থাবা। এই পর্যন্ত কারো বিকার নেই। দুর্ঘটনা ঘটে গেলে দুচার কথা বলেই শেষ করে দিচ্ছে। তাদের কাছে এই গুলো খুবই স্বাভাবিক ঘটনা।
অথচ এই অতিস্ট মেয়েরা নিজেদের রক্ষা আপ্রান চেস্টা করে যাচ্ছে। রাস্তায় বের হলে মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকা মানুষের চোখের অভাব হয়না। যার কাপড় যত ছোট তা দিকে চোখ তত বেশী। এইটা অতি স্বাভাবিক একটা ঘটনা। কিন্তু এই তাকিয়ে থাকাটা অনেক মেয়ের কাছেই অস্বস্তিকর। এই থেকে মুক্তি পেতে কেউ প্রতিবাদ করে। কিন্তু যারা জানে প্রতিদিন হাজারো চোখের সাথে যুদ্ধ করা সম্ভব নয়। তখন তারা তাদের পোশাক পরিবর্তন করে। তারা তাদের ইচ্ছে মত নিজেদের পরিপাটি পোশাকে আবদ্ধ করে। এতে কারো কোন অসুবিধা হয়না। তাদের নিজেদেরও স্বাভাবিক কাজ কর্মে অসুবিধা হয় না। উপরন্তু অনাকাংখিত বিব্রতকর দৃষ্টি থেকে রক্ষা পায়। কিন্তু তাতে অসুবিধা হয় সেই উৎসুখ চোখ গুলোর। যারা এদের দেখে বিকৃত আনন্দে ব্যস্ত থাকে। আর অসুবিধা হয় এক শ্রেনীর শুশীলদের। শুরু হয় পরামর্শ দেয়া,কাপড় খোল। ছোট কাপড় পড়ো। সৌর্ন্দয দেখানোর জিনিস। সুতরাং দেখাও। কেউ কিছু বললে প্রতিবাদ করো। প্রয়োজনে যুদ্ধ করো। কিন্তু বাস্তবতা হলো এই যুদ্ধে মেয়েদের একাই লড়তে হয়। যখন হেরে যায় সুশীলদের একজনকেও পাশে পাওয়া যায়না। বিচারতো দুরের কথা বরং মিনমিন করে বলবে, যা হবার তা হয়ে গেছে আসো আন্দোলন করি।
অধিকাংশ পুরুষের মধ্যেই বহুগামীতা বাস করে কিন্তু সবাই সাধারনত সাহসী হয়না। তবে প্রথম শ্রেনীর পুরুষরা বহুগামীতার জন্যে একাধিক বিয়ে করে তারা সাহসী এবং দায়িত্ববান। অর্থ এবং সময় দিতে তারা প্রস্তুত। দ্বিতীয় শ্রেণীর পুরুষরা অর্থ আর সময় দিতে চায় কিন্তু দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষমতা নেই এবং সাহসও নেই তারা প্রেম করে অথবা পরকিয়া প্রেম করে। তৃতীয় শ্রেনীর পুরুষরা অর্থ দিতে চাইলেও সময় দিতে পারেনা বা চায়না তারা পতিতালয়ে যায়। একটা শ্রেনী আছে যারা বহুগামীতা চায় সম্পুর্ন বিনা মুল্যে। এর জন্য তারা কোন কিছুই ব্যয় করতে রাজী নয়। এদের চতুর্থ শ্রেনীতে ফেলা যায়। এরা হলো ধর্ষক। এরা আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এদের একদল সরাসরি ধর্ষন কাজে অংশ নেয়। এদেরকে সবাই ঘৃনা করে। সবাই দেখতেও পায়। কিন্তু এদেরই জমজ ভাইদের সহজে কেউ দেখেনা। কারন এরা মুখোশ পরে থাকে। তবে সমাজে তারা নারীবাদী বা সুশীল বা প্রগতিশীল নামে পরিচিত। এরা প্রগতির নাম করে মেয়েদের কাপড় খুলতে শুরু করে। এদের হাতে প্রতারিত হয়ে ধর্ষিত হয় সহজ সরল মেয়েরা। বিভিন্ন অযুহাতে বিভিন্ন কায়দায় বিভিন্ন প্রলোভনে নারী সঙ্গ উপভোগ করে। নারীবাদী পুরুষরা আবার তার সহযোগী হিসেবে নারীদেরকেও পায়। যারা কিনা তার মতই বহুগামী। লক্ষ্য করলে দেখা যায় কেবল মাত্র এই চতুর্থ শ্রেনীর নিকৃষ্ট বহুগামীরাই প্রথম শ্রেনীর বহুগামীদের সমালোচনা করে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮