জাফর ইকবাল sir বর্তমানে একটা ফালতু লোকে পরিণত হয়ে গেছেন। জাফর ইকবাল sir মনে করেন বাংলাদেশের সকল মুসলমানরাই জামাত শিবির করে। জাফর ইকবাল sir প্রথম আলো পত্রিকায় “তোমরা যারা শিবির করো” এই নিবন্ধ টা লিখে প্রত্যেকটা মুসলমান ছেলে কে উনি Play boy হিসাবে দেখতে চেয়েছেন। হ্যা একটা ছেলে একটা মেয়েকে পছন্দ করতেই পারে কিন্তু তাই বলে পত্র পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে ছেলে মেয়েদের কে প্রেম করতে উৎসাহ দেয়ার মত কিছু নাই। কারন বর্তমানে ছেলেদের প্রেম হচ্ছে মেয়েদের চেহারা নির্ভর। যেই মেয়ের চেহারা দেখতে সুন্দর সেই মেয়ের পিছেই সব ছেলেই ছুটে। বহু জাগতিক কোম্পানি গুলি Lux Chanel i superstar এর মাধ্যমে আমাদের সামনে এমন একটা সংস্কৃতি উপস্থাপন করেছে যে বর্তমান আমাদের সমাজে এখন একটা মেয়ের সম্মান হচ্ছে যদি তার চেহারা দেখতে সুন্দর হয়। ব্যাস আর কিছু না। কেন তথাকথিত ঐসব অসুন্দর মেয়েরা কি ভালবাসার যোগ্য হতে পারে না। সেই সব মেয়েদের কি ভালবাসার মত হৃদয় নেই ? জাফর ইকবাল sir কে তো প্রথম আলো পত্রিকায় কখনই কোন নিবন্ধ লিখতে দেখলাম না Lux Chanel i superstar এই অনুষ্ঠানটির সমালোচনা করে। জাফর ইকবাল sir বলতে চেয়েছেন রামুর ঘটনায় নাকি আমরা মুসলমান ছেলেরা তেমন একটা প্রতিবাদ করি নাই। আমি বলব যথেষ্ট প্রতিবাদ হয়েছে রামুর ঘটনায়। এমনকি বাংলাদেশের সকল ইসলামি রাজনৈতিক দল, ইমাম সমিতির নেতারাও রাস্তায় নেমে রামুর ঘটনায় প্রতিবাদ করেছেন। কিন্তু আজকে যে ৩০ টা বছর ধরে ৪ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে শরনার্থী হিসাবে আছে, প্রতিদিন নাফ নদী পার হয়ে কুকুর প্রজাতি জাতির বংশধর বৌদ্ধদের হাতে নির্যাতিত হয়ে বার্মার মুসলমানরা এক কাপড়ে বাংলাদেশে আসছে কই কখনো কি জাফর ইকবাল sir ও বাংলাদেশের বৌদ্ধ ভিক্ষুদের ও বৌদ্ধ ছাত্রদের কে নেট জগতে বা বাস্তব জগতে আমরা প্রতিবাদ করতে দেখছি এই বার্মারা বৌদ্ধদের বিরুদ্ধে। আপনি হয়ত বলবেন বার্মার ব্যাপারে জাফর ইকবাল sir কেন প্রতিবাদ করবে ? ভাই যেহেতু বার্মার মুসলমানদের সর্বশেষ আশ্রয় স্থল হচ্ছে বাংলাদেশ, আর রোহিঙ্গাদের কারনে কক্সবাজার এলাকায় কক্সবাজারের স্থানীয় অধিবাসীদের অনেক সমস্যা হচ্ছে তাই রোহিঙ্গা সমস্যাটাও এখন বাংলাদেশের জাতীয় সমস্যায় পরিণত হয়ে গেছে। আর তাই জাফর ইকবাল sir থেকে শুরু করে আমাদের সকল বাংলাদেশীর উচিত রোহিঙ্গাদের কাছে এসে দাঁড়ানো। আর তাছাড়া রোহিঙ্গারা আমাদের প্রতিবেশি।
আজ পর্যন্ত একটা বৌদ্ধ ভিক্ষু বা বৌদ্ধ ছাত্র কেও পেলাম না বার্মার রোহিঙ্গা মুসলমানদের প্রতি সমবেদনা দেখাতে। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিশ্ববিদ্যালয়ে রামুর ঘটনার প্রতিবাদে মানব বন্ধন হয়েছে। এমনকি রামুর ঘটনায় বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত রামুতে ছুটে গেছেন। যেইখানে শেখ হাসিনা রামুতে ছুটে যান আর সেইখানে বার্মার সামরিক শাসক ও বৌদ্ধ ভিক্ষুরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের কে লাত্থি মেরে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিচ্ছে। আচ্ছা রামুতে কি কোন বৌদ্ধ মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে ? এর উত্তর না। আচ্ছা রামুতে কি কোন বৌদ্ধ কে হত্যা করা হয়েছে ? এর উত্তর না। আচ্ছা রামুর ঘটনায় কি কোন বৌদ্ধ বাংলাদেশ ত্যাগ করে বার্মায় গিয়ে শরনার্থী হয়েছে ? এর উত্তর না। কিন্তু আজকে ৪০ টা বছর ধরে আরাকানে প্রায়ই যেটা হয় সেটা হল সুন্দর সুন্দর রোহিঙ্গা মুসলিম মেয়েদের কে বার্মার সেনাবাহিনী এসে ধরে নিয়ে যায়। ১ মাস ২ মাস এই এই সুন্দর সুন্দর রোহিঙ্গা মুসলিম মেয়েদের কে তারা ভোগ দখল করে তারপর ইচ্ছা হলে তাদের কে হত্যা করে ফেলে বা অনেকে দয়া পরবশ হয়ে এই রোহিঙ্গা মেয়েদের কে নিজ গ্রামে দিয়ে যায়। সারা জীবন এই রোহিঙ্গা মেয়েরা একটা কলঙ্ক বয়ে নিয়ে বেড়ায়। এই যে আজকে ৪০ বছর ধরে বার্মার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মেয়েদের কে ধর্ষন করছে তাদের কে ঘর থেকে প্রকাশ্যে উঠিয়ে নিয়ে সেনা বাহিনীর ক্যাম্পে নিয়ে এসে ভোগ দখল করছে এর কোন বিচার নাই। আর দাঙ্গার সময় রোহিঙ্গা মুসলমানদের কে বৌদ্ধ কর্তৃক হত্যা করা খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার। রোহিঙ্গারা কার কাছে বিচার দিতে যাবে। বার্মায় কোন আইন আদালত কোর্ট কাচারী আছে নাকি ? মগের মুল্লুক এই শব্দ টা তো বার্মা থেকেই এসেছে। আজকে ৪০ বছর রোহিঙ্গারা কোন সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সুবিধা পায় না, রোহিঙ্গা ছেলে মেয়েরা কোন সরকারী স্কুল কলেজে ভর্তি হতে পারে না। এর চেয়ে বেদনাদায়ক আর কি হতে পারে ? আমার কথা বিশ্বাস না হলে আপনি আল জাজিরা চ্যানেলে প্রচারিত “Hidden genocide” এই অনুষ্ঠান টা দেখতে পারেন। তাইলেই বুঝবেন বৌদ্ধ ধর্ম কত বড় মানবতার ধর্ম। আসলে আমি এই সব কাজের জন্য বৌদ্ধদের দোষদেই না। কারন যেই ধর্মের ধর্ম গুরু গৌতম বুদ্ধ গভীর রাতে তার স্ত্রী ও পুত্রকে ফেলে গৃহত্যাগ করেছিল, তথাকথিত সিদ্ধি লাভ করার পরও আর কখনোই গৌতম বুদ্ধ নিজ ঘরে ফিরে আসে নি, নিজ স্ত্রী আর পুত্র কন্যাদের কোন খোজ খবর রাখে নি, সারাজীবিন নিজ স্ত্রীকে গৌতম বুদ্ধ অসম্মান করেছে, তো সেই ধর্মের অনুসারীরা তো নিরীহ মুসলিম মেয়েদের কে ধর্ষন করবেই, তাদের কে তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিবে। এতে আর অবাক হওয়ার কি আছে ? খুব কষ্ট পাই যখন দেখি বার্মার এত বড় বড় প্যাগোডার বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও রোহিঙ্গা নির্যাতনে অংশ নেয়।
ইসলামী আক্বীদা সংশোধনের জন্য আরো পড়তে পারেন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বহু বিবাহ প্রসঙ্গে ইসলাম বিদ্বেষীদের সমালোচনার জবাব
আল্লাহ সুবহানাতায়ালার অস্তিত্ত্বের একটি বুদ্ধিবৃত্তিক প্রমান
পুরুষ জাতির বহু বিবাহ প্রথাকে ইসলামী শরীয়াহ আসলে কতটুকু সমর্থন করে
বনী কুরায়জা গোত্রের সকল পুরুষ ইহুদি হত্যা করা প্রসঙ্গে একটি পর্যালোচনা
ইসলামি শরীয়াহ কি কখনই দাস দাসী প্রথাকে সমর্থন করেছিল
স্টালিনের নৃশংসতার স্বীকার এক বাঙ্গালী বিপ্লবী
মাওসেতুং এর সময় চীনা মুসলমানদের দূর্দশতার কথা শুনুন