মানুষ জন্মগত ভাবে যতোটা মানবিক ঠিক ততোটাই হিংস, যুগে-যুগে মানুষে-মানুষে যুদ্ধ চলে আসতেছে- ভাইয়ে-ভাইয়ে, গোত্রে-গোত্রে, গ্রামে-গ্রামে, থানায়-থানায়, জেলায়-জেলায়, দেশে-দেশে যা ধর্মেরও আগে থেকেই শুরু । পৃথিবীতে প্রথম হত্যা বা (যুদ্ধ) দুই ভাই থেকে শুরু হয়ে আজ তা ধর্মে-বর্ণে ছড়িয়ে পড়ছে, ধর্মের কিছু বিধি-নিষেধের কারণে অনেক মানুষ এই থেকে একটু দূরেই আছে, অর্ধামিকরা বলবেই “ধর্মের ফলেই যুদ্ধ লেগে আছে” অথচ যখন মানুষ ধর্মের আলো থেকে দূরে ছিলো তখন কি এই যুদ্ধ সংঘাত বন্ধ ছিলো ? আইয়ামে জাহেলিয়াতের যুগে ডুবে ছিলো মানুষ, কন্যা সন্তানকে জীবন্ত পুতে ফেলা হতো সেই যুগে আপনি (অধার্মিক বা নাস্তিক) কাকে( ধর্ম ) দোষ দেবেন তখন তো ইসলাম ধর্ম ছিলোই না ।ধর্ম মানুষকে কিছুটা শৃঙ্খলায় নিয়ে আসে অন্যায় কাজ থেকে দূরে রাখে মানুষ মানুষকে ভালোবাসতে শেখায়, ধর্মের আলোয় মানুষ সোনার মানুষে রূপ নেয়, সত্যিকারের ধর্মিকরা কোন অন্যায় কাজ করতে পারে না, নিরীহ মানুষ হত্যা তো অনেক দূরের কথা।
মানুষ তার হিংসতায় মানবতা হত্যার উল্লাসে ধর্মের নাম দিয়ে নিজকে (ভালো) মুক্ত রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্বে একমাত্র ইসলাম ধর্মের শত্রুরা সবাই এক হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে, আমরা যা দেখছি তাই ঠিক নয় এর আড়ালে অনেক সত্য লুকিয়ে পড়ে, আসলে যা দেখানো হচ্ছে তা দেখেই আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি, পৃথিবীর কোথাও হামলা হলেই মুসলমান জড়িত (যদিও কিছু ক্ষেত্রে তা ঠিক) বাস্তবতা কিন্তু ভিন্ন । আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যতো গুলো বড় যুদ্ধ বা মানুষ হত্যা হয়েছে তার একটাতেও মুসলমান জড়িত নয় তবু আজকে সব চেয়ে বড় সন্ত্রাসী মুসলমানকেই বলা হয়ে থাকে । এই যে মুসলমান, যুদ্ধবাজ খেলা হচ্ছে এর পিছনে অনেক দেশের গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত, তারা তাদের লাভের উদ্দেশেই যুদ্ধ বাঁধিয়ে দূর থেকে ফল খাচ্ছে আর তার মাসুল দিচ্ছে হাজার-হাজার নিরীহ মানুষ। এখানেই মানবতার পরাজয় আর অর্ধামিকদের! জয় ।
২৩ এপ্রিল ২০১৯
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে মে, ২০১৯ বিকাল ৫:৩৬