স্যোশাল মিডিয়ায় অনেকে বলে চলছেন সরকার সব দাবী মেনে নিয়েছে। তাই ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিৎ আসলে আমিও তাই মনে করি, কিশোররা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনিয়মকে কীভাবে নিয়মে নিয়ে আসা যায় তা শিখিয়ে দিয়েছেন। এখন ওদের শিখার সময় অথচ বুড়োদের শিখাতে “আঠারো বছর” বয়সের নীচের শিশু-কিশোররা রাস্তায় নেমে আসতে হয়েছে।
গত ৪৭ বছরের অবক্ষয়; আমরা কতোটা নীচে নেমেছি এই কিশোররা রাস্তায় না আসলে হয়তো জানতেই পারতাম না। মন্ত্রী, এমপি, বিচারপতি, সচিব, রাজনীতিবিদ, পুলিশ এবং সাধারণ জনগণ প্রায় সবাই অনিয়মকেই নিয়মে মেনে নিয়ে চলতেছে। এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব শিশু-কিশোরদের দেখানো পথে দেশকে নিয়ে যাওয়া । মোট কথা শিশু-কিশোররা যা করেছেন তা শিক্ষণীয় হয়ে থাকবে তাই এখনই ওদের ঘরে ফিরে যাওয়া উচিৎ ।
কিন্তু কোটা আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রীর নিজের দেয়া কথা তিনি নিজেই রাখেন নি, তাই ছাত্ররা এই দাবী মেনে নেয়ার কথা বিশ্বাস করতে পারছেনা । তাদের দাবী গুলো পূরণে সময়ের প্রয়োজন তা জেনেও তাঁরা রাস্তায় অবস্থান করছে, এটা সরকারে চরম ব্যর্থতা মানুষের মনের বিশ্বাসটুকু হারিয়ে ফেলেছে।
বিশ্বের অন্য কোন দেশে এমন হলে সাথে-সাথে মন্ত্রী পদ ত্যাগ করতেন অথচ লজ্জাহীন মন্ত্রী মহোদয় এখনো স্ব-গৌরবে চেয়ারে বসে আড়াল থেকে পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিচ্ছেন।
বাংলাদেশকে গণপরিবহনে নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্য বলা চলে, সরকার তথা গোটা দেশ পরিবহন সন্ত্রাসীদের হাতে জিম্মি । কোন কিছু হলে বা বললেই গণপরিবহন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি এবং বন্ধ করে দেয়, তখন জনগনই ভোগান্তিতে পরে। “বাংলাদেশের সর্বময় একক ক্ষমতার অধিকারী” (এই শব্দটা ব্যবহার করতে চাইনি কিন্তু তবু বাধ্য হলাম আওয়ামী লীগের নেতাদের র্দৌবল্যতার কারণে ছোট থেকে বড় সব কিছুই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে হয়) বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাছিনা কেন তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু কবর থেকে উঠে আসলেও এর সমাধান হবে না, যতো দিন পর্যন্ত রাজনীতিবিদের চরিত্রের পরিবর্তন না আসবে ।
• পরিবহন খাতকে ঢেলে সাজাতে হবে, কিছু পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতা, যারা সন্ত্রাসের রাজ্য কায়েক করেছেন তাদের সনাক্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
• বাংলাদেশে ৩৬ লাখ গাড়ীর বিপরীতে মাত্র ১৬ লাখ বৈধ ড্রাইভার, আর এই যে ১৬ লাখ ড্রাইভারের ঘাটতি এই বড় চিন্তার বিষয়!
যে কোন আন্দোলন থেমে গেলে তাঁর কার্যকারীতা কমে যায় তাই এই আন্দোলন চলতে থাকা উচিৎ কিন্তু এই ছোট-ছোট স্কুল-কলেজের ছাত্রদের শিক্ষার অনেক ক্ষতি হচ্ছে এটা মানা
খুবই কষ্টকর আর এই আন্দোলনের ফাঁকে সরকারী দল এবং বিরোধী দল নিজেদের রাজনীতি উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করতেছে এটা খুবই দুঃখজনক ।
এখন বাংলাদেশের সকল জনগণের একটাই দাবী “নিরাপদ সড়ক চাই” গত ২৫ বছর ধরে একজন ইলিয়াস কাঞ্চন এই কথাটি বলে আসছিলো অনেকেই কর্ণপাত করেননি যখন ছাত্র সমাজ রাস্তায় নামে তখন সবার শুভ বুদ্ধির উদয় হয়, এই ভাবে যেন সর্ব সাধারণের মনে সে সু-বাতাস বয়ে যায়, নাগরিক হিসেবে আমাদের সবাইকে ট্র্যাফিক আইন মেনে চলা জরুরি এই বিষয়ে সরকারকে সচেতনতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
"নিরাপদ সড়ক" কি শুধুই যাত্রীদের জন্য!
পরিবহন মালিক শ্রমিকদের জন্য নয় কি?”
এই ভাবনাটুকু ছড়িয়ে পড়ুক এই প্রত্যাশায় ।
-ফয়েজ উল্লাহ রবি
০৫ আগস্ট ২০১৮
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮