সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু অন্য দুর্ঘটনার মতো হারিয়ে যেতো, কিন্তু মন্ত্রীর অট্ট হাসিই আন্দোলনের মাত্র বেড়ে যায়।
ছাত্রদের এই ন্যায্য দাবীর উপর পুলিশ হামলা করে, তাই ছাত্রদের আন্দোলন কিছুটা পুলিশ বিরোধীও হয়ে গেল, এখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগ হামলা করলো; এখন আন্দোলনে নতুন করে যোগ হবে সরকারী দল মানে আওয়ামী লীগ ।
এমন সুন্দর জনগুরুত্বপূর্ণ একটি আন্দোলনে রাজনীতির ছোঁয়া লাগিয়ে দিলেন সরকারী দল যা কাম্য ছিলনা।
অনেক গুলো খুব ভালো-ভালো শ্লোগানের মাঝে দুই/একটা খারাপ শব্দ আসায় কেউ-কেউ খুব রেগেছেন, আপনাদের রাগে যুক্তি আছে। তবে একবার ভেবে দেখুন তো এই ছাত্রদের বয়স আঠারোর নীচ, গত ১০/১২ বছরের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকেই তো ওরা এই সব শিখছে, তাহলে ভালো সব কিছুই ফল নিজের করবেন আর মন্দ গুলোর দায়ভার সরকার তথা আওয়ামী লীগ নেবে না তা তো হতে পারে না?
আজকের মিরপুরে সাধারণ ছাত্রদের উপর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের হামলার পর যদি আগামীকাল থেকে সরকার তথা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শ্লোগান আসে, তখন সরকার কি করবে?
সর্বশক্তি প্রয়োগ করে কিছু ছাত্রকে বিভিন্ন মামলায় আটক করবে, হয়তো কিছু ছাত্রকে হত্যা করে আন্দোলন রুখার চেষ্টা করবে, যা এই সরকার অতীতের সব আন্দোলন এই ভাবের শেষ করেছে।
এই থেকে আমরা কিছু সুন্দর জনগুরুত্বপূর্ণ দাবী হারাতে যাচ্ছি! আর হারাতে যাচ্ছি কিছু সোনার সন্তান!
এই কয়েক দিনে কিশোররা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে চরম অব্যবস্থাপনা গুলো, এই থেকে যদি আমরা না শিখতে পারি তবে ক'বে শিখবো?
এই ছাত্রগুলো আগামী দিনের ভোটার তারা যতোটা ক্ষোভ বুকে ধারণ করতেছে এই থেকে কোন রাজনীতিক দলই রেহায় পাবেন না, ওরাই আগামী দিনের দেশ পরিচালনা করবেন, ওদের ইচ্ছে শক্তি দেখে আমি বড় আশাবাদী হচ্ছি।
আল্লাহ না করুক, আমাদের রাজনীতিক দলের কালো ছায়াটা যেন ওদের উপর না পরে।
হে তরুণ, হে যুবক -
"এগিয়ে যাও তোমার সবাই আগামীর পথে,
ফিরিয়ে আনো সোনার বাংলা আলোর রথে"।
- ফয়েজ উল্লাহ রবি
০২ আগষ্ট ২০১৮ ইং
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই আগস্ট, ২০১৮ দুপুর ২:০০