ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি -এর সাধারণ সম্পাদিকা ভীনা আহমেদআমরা তৃণমূল নারীদের নিয়ে সাধারণত কাজ করি। তাদেরকে সহযোগিতা করাই আমাদের লক্ষ্য। কম্পিউটার, হস্তশিল্প, রান্না, সেলাই -এসবের ওপর মেয়েদেরকে ট্রেনিং দিয়ে আত্মনির্ভরশীল করার চেষ্টা করছি। ট্রেনিং শেষে ব্যাংক ঋণ ুএর প্রয়োজন হলে আমরা সেটারও সহযোগিতা করে থাকি। যে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠী নারী এবং দরিদ্র এসব নারীদের সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দেশ অনেক সমৃদ্ধ হবে। দেশ এগিয়ে যাবে। কথাগুলো বললেন, ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি -এর সাধারণ সম্পাদিকা ভীনা আহমেদ। গত শুক্রবার ভীনা আহমেদ-এর কাছ থেকে নেয়া সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে জানা গেছে এই প্রতিষ্ঠান নারী দের নিয়ে বর্তমানে কী ভাবছে। তিনি জানান, দেশীয় পণ্যকে উন্নত মানের করার জন্য নারী উদ্যোক্তাদের সরকারীভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত জরুরি। এব্যাপারে ঢাকা উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি (ডি ডাবিস্নউ সি সি আই) বিভিন্ন পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে। বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে আমরা নারীদের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি করছি। কোন মেয়ে যেন ঘরে বসে না থাকে , ট্রেনিংয়ের অভাবে যেন মুখ থুবড়ে না পড়ে তাই কোন ফি ছাড়াই আমরা ট্রেনিং দিয়ে থাকি। আমাদের দেশের মেয়েরা খুবই কর্মঠ। নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করার জন্য যা প্রযোজন আমরা চেষ্টা করবো সে পরিবেশ সৃষ্টি করতে। নতুন উদ্যোক্তাদের মধ্যে শিক্ষিত হলে আরও ভালো হয়। আমরা েট্রনিংপ্রাপ্ত মেয়েদের কাছ থেকে বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে স্যাম্পল কিনে রাখি এবং সেটা বিভিন্ন বাইয়ারদেরকে দেখাই তারা যদি অর্ডার দেয় তখন সে অর্ডারটি ওই মেয়েকে দেই। এভাবে আমরা েদশের বাইরে থেকে অর্ডার আনি। আমাদের বর্তমান সমস্যা হচ্ছে বিভিন্ন ট্রেনিংয়ের জন্য জায়গা দিতে পারছি না। নির্দিষ্ট জায়গা হলে আমাদের কাজের গতি বেড়ে যেত। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত সমর্থ হতে পারতাম। ইতিমধ্যে দেশীয় পণ্য নিয়ে আমরা পরপর দুটো মেলা করেছি দেশের বাইরে। একটি চীনে আরেকটি নেপালে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আমাদের নতুন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। মেলা কমিটি শুধু স্টল চিনিয়ে দেয়। তারপর আর কোন দায় নেই। দেখা গেছে ব্যানার টানানোর জন্য টুল ধার করে আনতে হয়েছে। এছাড়া কোন সহযোগিতাই পাইনি। আমেরিকাতে আমাদের দেশীয় হস্তশিল্পের কোন পণ্যই ঢুকতে পারেনা। যদি বা েকান মেলায় ঢুকে তাহলে দেখা যায় ভারতের শাড়ী বা কাপড়। আমাদের তাঁতের বা জামদানী বা হস্তশিল্পের কোন পণ্য নেই। এব্যাপারে এক্সপোর্ট ব্যুরো খুবই উদাসীন। দেশ থেকে মেলায় কী যাচ্ছে সেটার ব্যাপারে খুবই উদাসীন। আমাদের এ প্রতিষ্ঠান চলে সদস্যদের টাকায়। আমাদের কোন ডোনার নেই। বিজ্ঞাপন এবং মেলা থেকে যা আয় হয় তা দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান চলে। এই প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য কী এরকম প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান,বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নারী উদ্যেক্তাদের ব্যবসায়িক উন্নয়ন করা,তাদের সাবলম্বী করে তোলা, দেশ ও দেশের বাহিরে তাদের পণ্য বিশেষ করে বাংলাদেশের ঐতিহ্য রক্ষার্থে নারীদেরকে ব্যবসা সংক্রান্ত-পরামর্শ ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এবং সেমিনার ওয়ার্কশপের মাধ্যমে তাদের ব্যবসার উন্নতির জন্য সহযোগিতা করা হয়। এ প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হলো- শিল্প ও বাণিজ্য এবং ইন্ডাষ্ট্রিতে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সারা েদশের মহিলাদেরকে আইনের সহায়তা প্রদান করা,ব্যাংকে এস.এম.ই লোন পাওয়ার ব্যাপারে সংগঠনের পক্ষ থেকে সাহায্য ও উপদেশ দেয়া,সংগঠনের মাধ্যমে বিভিন্ন মেলায় অংশগ্রহন করে তাদের পন্যকে বাজারজাত করে দেশে এবং বিদেশে পরিচিত করা,সার্কভূক্ত আটটি দেশে সংগঠনের উদ্যোক্তাদের নিয়মিত মেলা করে তাদের উন্নত মানের পণ্য বিক্রি করা। এছাড়া বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে মহিলা উদ্যোক্তাদের পূর্ণ সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করাও এর লক্ষ্য।