somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইন্দ্রিয়

৩০ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ইন্দ্রিয়
.................
"বুঝলে হে! এলোপ্যাথি চিকিৎসা আসলেই সেই ঘোর অন্ধকারেই থেকে গেলো। কোন কাজের নয়।"
হোমিওপ্যাথি ডাক্তার সোলাইমান মিয়া বেশ আত্মপ্রসাদের সূরেই বলছিলেন কথাগুলি।
"তা বটে, তা বটে"- বুড়ো খন্দকারও তার তালে তালে মাথা নাড়লেন।
আর তাল দিবেন ই বা না কেন? ভাবছিল সুবিদ আলি; গত দুই দশক ধরে তার হোমিওপ্যাথির জোরেই তো বুড়ো দিব্যি ঘুরছেন ফিরছেন। তা না হলে রিটায়ার্ডের পর ঘন ঘন জন্ডিসে - তিনি তো প্রায় মরতেই বসেছিলেন। এলোপ্যাথির ডাক্তাররা সব জবাব দিয়ে দেয়ার পরই শেষ ভরসা হিসাবে সোলাইমানের কাছে ধর্না দিয়ে পড়েছিলেন। তা হোমিও ডাক্তার সোলাইমানের যে খুব বেশী হাতযশ আছে সেটাও নয়। কেন যেন খন্দকার সে যাত্রা বেঁচে ফিরেছিলেন আর এখন পর্যন্ত প্রায় দিব্যিই আছে।
সুবিদ আলির মাথায় 'প্রায়' কথাটা এইজন্যেই আসলো, কারণ সোলাইমান সাহেবের হোমিওপ্যাথিও ফেল মেরেছে একটা জায়গায়। খন্দকারের ক্রনিক সর্দি সারাতে।
বেচারার সারা বছর নাকের জল চোখের জল এক হয়ে থাকে। একটু পেটুক স্বভাবের বলে তার আফসোসেরও সীমা নেই।
"বুঝলে সুবিদ, কতকাল যে সুখাদ্যের ঘ্রাণ পাইনা! খালি জিভের ছোঁয়ায় কি মন ভরে বলো?" মন না ভরলেও, পেট ভরাতে তিনি মোটেই কৃপণতা করেন না অবশ্য। সেটা কি আর- তার মুখের উপর বলা যায়? তাই সুবিদও মাঝে মাঝে অনুযোগ করে।
"ডাক্তার চাচা, খন্দকার চাচাকে আরও কিছু এক্সপেরিমেন্টাল ওষুধ দিয়ে দেখেন না, না হয়? সাইড এফেক্ট না থাকলে, চেষ্টা করতে ক্ষতি কি?"
সে আবার নিয়মিত সোলাইমান সাহেবের এপ্রেন্টিস করছে। তিন তিন বার বি এ ফেল করে, আর কোন কিছুতেই মন বসাতে পারলো না সে। এখন যদি হোমিওপ্যাথিতে কিছু হয়! টুক টুক করে সে এখন একা একা রোগী দেখাও শুরু করে দিয়েছে। অবশ্য সোলাইমান ডাক্তারের কড়া নিষেধ আছে- তাকে না দেখিয়ে কোন ওষুধ লিখে দেয়া যাবে না।
সুবিদের আবার 'আবিষ্কারের' খুব নেশা! ছোটবেলা থেকেই এটা খুলে, সেটা ভেঙ্গে, ওটা মিশিয়ে- সে নানা কিছু করার চেষ্টা চালিয়ে গেছে। বোধকরি হ্যাট্রিক বিএ ফেলের রহস্যও সেটাই। নিজেকে এখনো 'আবিষ্কারক' ভাবতে তার বেশ আত্মপ্রসাদ লাগে।
তাই আড্ডা থেকে বেরিয়ে বুড়ো খন্দকার যখন - প্রকট গলা খ্যাঁকানি নিয়ে, নাক ঝেরে- ঠিক তার নয়া চটিটা মাখামাখি করে দিলো; সুবিদ ভাবলো নাহ- এভাবে চলে না! এর একটা বিহিত করতেই হবে।
ইদানীং ইন্টারনেটের বদৌলতে সুবিদ নানা ওয়েব সাইট ঘেঁটে, বেশ 'নলেজ' সংগ্রহ করে ফেলেছে। তার ধারণা, হোমিওপ্যাথি আসলে জৈব মাইক্রো-রোবট বা ভাইরাস টাইপের কিছু না হয়েই যায় না। তা না হলে, এতো পানি মেশানোর পরও কাজ হয় কীভাবে? সেই রাতে সুবিদ ভোর পর্যন্ত জেগে আরও কিছু সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট ঘেঁটে- বেশ কিছু নোট করে নিলো। সবই ভাইরাস বিষয়ক।
পরের এক সপ্তাহ সে বেশ খাটা-খাটুনি করলো। মিটফোর্ড, আর ঢাকা মেডিক্যালের গারবেজ ডিসপোজালের ওখানেও তাকে বেশ ঘুরাঘুরি করতে দেখা গেল। সোলাইমান ডাক্তার গেছে সিলেটে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে, হপ্তা দুই পার না করে- আসবে বলে মনে হয় না। রোগীদেরও তেমন আনাগোনা ছিলনা। সুবিদ টানা কদিন তার 'এক্সপেরিমেন্ট' আর 'ইনভেনশন' চালিয়ে যেতে পারলো।
অবশ্য এর আরও একটা কারণ ছিল। সামনেই গেন্ডারিয়া অবসরপ্রাপ্ত পেশাজীবী ক্লাবের বাৎসরিক পিকনিক। এবারে- ভারতের আজমির থেকে উড়িয়ে আনা হচ্ছে আগা সাইদ বাবুর্চিকে। তার পূর্ব পুরুষ নাকি কেবল মোগল বাদশাদের হেঁশেলেই রান্না করতো; খুব ডাঁট। তার ভিজিটিং কার্ডে সস্কৃতে লেখা 'ঘ্রাণ পূর্ণ ভোজনং'! অর্থাৎ তার রান্নার সুবাস শুকলেই উদর পূর্তি হয়ে যায়। তিন বছর আগে থেকে অনেক কষ্টে এপয়েন্টমেন্ট নিয়ে রাখা হয়েছে। তা ও, আজমিরের এক গোদা মুরিদের সূত্র ধরে। তা না হলে, তার- এই বাঙাল মুলুকে আসার কোন কারণই ছিল না। এই রান্নার সুঘ্রাণ থেকে, বুড়ো খন্দকার প্রাণ গেলেও বঞ্চিত হতে চান না; তাই বেশ আগে থেকেই চারদিকে বলে বেড়াচ্ছেন- এই ফিস্টির আগে যদি কেউ তার ঘ্রাণের সমস্যার সমাধান করে দিতে পারে, তবে তিনি নগদে একটি লক্ষ টাকা দিতে রাজি আছেন। বুড়ো কিপটে হলেও হাতে টাকা পয়সা আছে; তাই সুবিদ এবার মরিয়া হয়ে উঠে পরে লেগেছে এর বিহিত করতে।
নিজেকে যতোই 'আবিষ্কারক' ভাবুক না কেন- তার সীমিত জ্ঞান আর সোশ্যাল মিডিয়ার টোটকা দিয়ে সে কতোই বা আগাবে। চারদিনের মাথায় সুবিদ বেমালুম খেই হারিয়ে ফেললো। কি থেকে কি করেছে, কোনটার সাথে কী মিলিয়েছে! বড় এক কাঁচের জার ভর্তি 'মেডিসিন' তৈরি সে ঠিকই করলো বটে; কিন্তু তাতে কী আছে- এ নিয়ে তার একবিন্দু ধারণা নাই! সে যাগগে- সে ভাবলো- এক্সপেরিমেন্টে যদি কিছু রহস্যই না থাকে- তাহলে সেটা সফল হবেই বা কী করে? এইটুকু বিশ্বাস তার নিজের উপর ছিল- যে বিষাক্ত কিছু বানানো হয়নি। তার উপর হোমিওপ্যাথির থিওরি মেনে সে প্রায় হাজার পাওয়ার করে নিয়েছে। ৯৯% তরলই পানি!
পরদিন সন্ধ্যা নাগাদ সে খন্দকার সাহেবের বাড়ি চলে এলো একটি ছোট শিশিতে তার কবি-এলো-হোমি (কবিরাজি/এলোপ্যাথি/হোমিওপ্যাথি) অর্গানিক ওষুধ নিয়ে। তরলের স্বাদ, গন্ধ, বর্ণ কিছুই নেই। কেবল একটু ঘন- এই যা।
তাই খন্দকার বিনা বাক্য ব্যায়ে খেয়ে নিলেন চোখ বুজে।
কি যে মরার ঘুম দিলেন তিনি। তবে, সারা রাত ঘুমের ভেতরে কি একটা স্বপ্ন দেখলেন; তার মাথা বন বন করে ঘুরেছে! শোন কথা! ঘুমের ভেতর কারো মাথা ঘুরে?! যাই হোক, তিনি সন্ধ্যার দিকে জেগে উঠলেন। তা ও নাকি ঘুম ভাঙতো না; কিন্তু এমন মন মাতানো বিরিয়ানির ঘ্রাণে ঘুমায় কার সাধ্যি?!
এতো বছর পর তার ঘ্রাণ শক্তি ফিরে এসেছে। সর্দি একদম নেই। খুব খুশী। এমন ঘুম নাকি তার অনেক দিন পর হয়েছে। সুবিদের কাছে খবর পাঠালেন দু-চারদিন দেখে নিয়ে তিনি তাকে পুরষ্কারের টাকাটা দিয়ে দিবেন। লোকেরা তাকে- কিপ্টে কি আর এমনিতে বলে; হাতের ফাঁক গলে টাকা বের হতেই চায় না।
কিন্তু, আজকে যে বিরিয়ানি রান্না হচ্ছে ঘরে সেটা ত জানা ছিল না।
রান্না ঘরে উঁকি মারলেন গিন্নির খোঁজে।
" বাহ; বেশ মৌ মৌ গন্ধ; খাশির কাচ্চি না গরুর তেহারী হচ্ছে?" গদগদ কন্ঠে জানতে চাইলেন।
" আরে ধ্যাৎ; তোমার নাক তো পুরাই গেছে মনে হয়; বিরিয়ানীর গন্ধ পেলে কই?" গিন্নীর কন্ঠে বিরক্তির চাইতে শংকাই বেশী।
আসলেই তো - কোথাও কোন রান্নার চিহ্নই নেই। চুলা পর্যন্ত বন্ধ!
খনদকার বিভ্রান্ত হয়ে বাহির ঘরে আসলেন।
ঠিক ধরেছেন; গন্ধ আসলে ঘরের বাইরেই। দরজা খুলে সদর রাস্তাই উঁকি মারতেই বুঝতে পারলেন সুবাসের রহস্য! সামনের মোড়ের সালাম বাবুর্চীর নতুন দোকান থেকেই ভেসে আসছে এই মৌ মৌ সুবাস। আহা,! প্রাণ জুড়ানো; কত বছর এই সুঘ্রাণ থেকে তিনি বঞ্চিত ছিলেন। বেচে থাক বাবা সুবিদ।
কিন্তু একটু সামনে এগুতে না এগুতেই ভক করে তীব্র ঘেমো গন্ধে প্রায় বিবমিষা এসে যাচ্ছিলো তার।
উফফ; এ কি রে বাবা! বুড়ো খানিকটা বিভ্রান্তই হয়ে গেলেন। সামনের রিকশাটা কাছে আসতেই গন্ধের উৎসটা বুঝতে পারলেন তিনি। ঘামে ভিজে জবজবে অবস্থা আরোহী আর চালক দুই এর। বোটকা গন্ধটা সেখান থেকেই। দুহাতে নাক চেপে ধরলেন তিনি।
উঁহু, গন্ধ তো মোটেই কমছে না। তিন লাফে ঘরের ভেতরে ফিরে এলেন তিনি।
সারা রাত নানা রকম গন্ধ তার চারপাশে ঘোরাফেরা করতে লাগলো।
নাইট গার্ডের বিড়ি; চা ওয়ালার ধোয়া উঠা চা, কুকুরের পেচ্ছাপ, সস্তা পাঊডার (এদিকে রাত বারলে কিছু এড়ে লোকজনএর আনাগোনা বেড়ে যায় কিনা।)
খন্দকার সাহেব যতোই নাক চেপে বসে থাকেন না কেন, গন্ধ কমে না! শেষমেষ কম্বল মুড়ি দিয়ে মাথা ঢেকে শুয়ে পড়লেন আবার।
কিছুটা রক্ষে; গন্ধের তীব্রতা কমে আসলো।

পরদিন সকালেই তিনি সোলাইমান ডাক্তারের চেম্বারে সুবিদের কাছে এসে হাজির।
"বাবারে, তুমি কি চিকিৎসা করলা, আমার তো মহা বিপদ!"
সুবিদ মনে মনে প্রমাদ গুনলো, বুড়ো টাকা না দেয়ার ফন্দি করছে না তো।
সে চেঁচিয়ে বলে " কেন চাচা, কী হয়েছে? ঘ্রাণ শক্তি কি আবার হারিয়ে গেছে?"
খন্দকার কানে বেশ খাটো; কাছ থেকেও চিৎকার করে কথা বলতে হয়।
" আরে চিৎকার করতে হবে না আমি সব শুনতে পাচ্ছি!"
বাহ! সুবিদ বেশ চমকে গেলো- তাহলে কি তার এক্সপেরিমেন্ট ঘ্রাণ আর শ্রবন দুই এর উপরঈ কাজ করেছে? কিন্তু এটাতে বিপদের কী হল?! সে বুড়োর ভয়ের কারন্টা বুঝে উঠতে পারেনা।
" শুনো বাবা; তোমার অষুধে কি ছিল জানিনা; রাতে বেশ ভালোই লাগছিলো। হিয়ারিং এইড ছাড়াই দিব্যি সব শুনতে পাচ্ছিলাম। কিন্তু এখন ঘ্রাণের গন্ধে আমার পাগল হবার দশা। আশেপাশের হোটেল, রান্নাঘর সুঘ্রানে মৌ মৌ! তা ও আপত্তি ছিলনা। কিন্তু আশেপাশের নর্দমা আর রাস্তায় হেটে যাওয়া লোকেদের ঘেমো গন্ধে তো আমার প্রাণ যায় যায়!" তিনি প্রায় কেঁদেই দিলেন; "নাক চেপে ধরে বসে থাকি; কিন্তু তাতেও কিছু হয় না। নাকে ক্লিপ লাগিয়ে দেখেছি; গন্ধ তো একবিন্দু ও কমে না; বরং কাজের কাজ যা হয়- কানে আর কিছু শুনতে পাই না। হলোটা কি বলো তো? এর একটা বিহীত করো।"
নাক- কানের ভেতর যে একটা সম্পর্ক আছে সুবিদের এটা কিছুটা জানা ছিলো। তার মাথায় চট করে ভাবনা আসল- বুড়োকে কিছু পরীক্ষা- নীরিক্ষা করে দেখলে করে দেখলে কেমন হয়। টানা দুই দিন সুবিদ নানা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে গেলো খন্দকার সাহেব কে নিয়ে।
টোটকা গবেষনার বেশী জটিলতায় না গিয়ে বলা যায়; শেষ মেষ উপসংহারে এ যা দাড়ালো তা খুব বিভ্রান্তিকর।
কোন অজানা কারণে, ঘ্রাণের সাথে খন্দকারের নাকের আর কোন সংযোগ নেই! বরং নাক আটকে দিলে তিনি কোন শব্দ শুনতে পাচ্ছেন না!
কী ভয়ংকর।
মানে, তিনি কি তাহলে নাক দিয়ে শব্দ শুনছেন? তার উপর কানের সাথে শব্দ শোনার কোন সম্পর্কও আর নাই, বরং কান ঢেকে দিলে বুড়ো কোন সুবাস তিনি আর পাচ্ছেন না। (বুড়ো ঘামের গন্ধের অনুযোগ করার পর সুবিদ কড়া করে ডিউডরেন্ট মেরে এসেছিলো কিনা; তারই সুবাস)
আবিষ্কারক হবার পরও সুবিদ বেশ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলো প্রথমে। পরে ইন্টারনেট ঘেটে সে যা ধারনা করলো- তা মোটামুটি এরকম।
তার ধ্বনস্তরি অষুধ; কোন একভাবে ব্রেনের সেলগুলোকে উলোট- পালট করে দিয়েছে। যে নিউরন, শব্দ শোনার কাজে ব্যবহার হতো - তারা এখন ঘ্রাণ পায়! আর যেগুলি ঘ্রানের জন্যে ছিল- অর্থাৎ নাকের সাথে যুক্ত তারা এখন শব্দ পৌঁছে দেয়।
যাই হোক বিশদ বর্ণনার কলেবর আর বেশী বাড়াচ্ছি না।
বুড়ো খন্দকার এখন কান-মাফলার ব্যবহার করে সময়ে সময়ে, যাতে বাড়তি গন্ধ কানে না যায়!
তবে, শোনা গেছে গেন্ডারিয়া অবসরপ্রাপ্ত পেশাজীবি ক্লাবের বাৎসরিক পিকনিকে তিনি কান- মাফলার একেবারেই ব্যবহার করেন নি! শুধু তাই না ! বিরিয়ানীর হাড়ির দিকে নাকি সারাক্ষন কান পেতে ছিলেন!
সুবিদ এখন বেশ আছে; তার ধন্বস্তরি অষুধ বেশ বাজার পেয়েছে; অনেকেই এখন তাদের ঘ্রাণ শক্তি, শোনার শক্তি ফিরে পাচ্ছে।
শুধূ তাই না, সে আবার টানা এক্সপেরিমেন্ট চালিয়ে যেই ভার্শান বের করেছে- সেটা দিয়ে অন্ধ লোকেরা এখন দিব্যি দেখতে পাচ্ছে!
নাহ চোখ দিয়ে না!
এটাও সেই কান দিয়েই!
তবে সমস্যা একটাই, দৃষ্টি ফিরে পাওয়া লোকগুলি সামনা সামনি কিছু দেখতে পাচ্ছে না। মাছের মতো করে দুই বিপরীত দিক দেখতে হচ্ছে তাদের!
সুবিদ এই সমস্যার সমাধানে আপাততো একটা কান-চশমা বের করেছে- তাতে কোন রকম কাজ চলে যায়। সে এখন তার গবেষণার পার্টনার খুঁজছে।
কেউ উপযুক্ত আইডিয়া দিলে পারলে, সে তাকে পার্টনার করে নিতেও রাজী!
চেষ্টা করে দেখবেন নাকি?
ঠিকানা খুব সহজ। গেন্ডারিয়া পেশাজীবি ক্লাবের উপরতলাকেই সে তার চেম্বার কাম- গবেষনাগার বানিয়ে নিয়েছে।
সরাসরি চলে যান।




(গল্পের থিমটা লিখে রেখেছিলাম সেই ২০১০ এ; ড্রাফট দেখে ইচ্ছে হলো লিখে ফেলি। ভালো/মন্দ যাচাই এর ভার পাঠকের; কিন্তু লেখালেখির তৃপ্তিটা অনেক দিন পর পেলাম)





সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০২০ রাত ১১:২২
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। এপিআই প্ল্যান্ট

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:১৮




ওষুধে দুটো উপাদান থাকে। ওষুধের যে রাসায়নিক উপাদানটি মূলত রোগ সাড়ানোর কাজ করে, সেটিকে বলে এপিআই। দ্বিতীয় উপাদানটিকে সহকারি উপাদান বলে, যেমন— স্টার্চ, রং বা ফ্লেভার।

এপিআইয়ের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেভাবে ভারত-আফগানিস্তান মিলে পাকিস্তানকে ভাতে ও পানিতে মারতে পারে

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৯:৫৪


যুদ্ধ শুধু অস্ত্র দিয়ে হয় না, বুদ্ধি দিয়ে হয়। সিন্ধু নদীর শাখা নদী হচ্ছে ৬টি।এর মধ্যে তিনটি নদী রাবি, বিয়াস এবং শতদ্রু এই তিনটি নদী ভারতের ভেতরে অবস্থিত।এর... ...বাকিটুকু পড়ুন

পাকিস্তান আর চালাক হলো না!

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৫ রাত ১০:৩৬


ওরা আগেও বলদ ছিলো, এখনও আছে। এই বক্তব্যর পর ভারত এখন আরও জোর গলায় বলবে যে কাশ্মীরের সাম্প্রতিক হামলা পাকিস্তানের ইন্ধনেই হয়েছে এবং ফুল ফোর্স নিয়ে স্ট্রাইকে গিয়ে কাশ্মীরকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ সকাল ১০:৫০

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: প্রভূ-ভৃত্য নয়, চাই সমতা ও ইনসাফভিত্তিক মৈত্রী

ভারত বাংলাদেশ সীমান্তের ছবিটি http://www.gettyimages.com থেকে সংগৃহিত।

ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ভৌগোলিক নৈকট্যের গভীর বন্ধনে আবদ্ধ। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বাঁধলে বাংলাদেশের কি করণীয় ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ২:১৬


কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা বাংলাদেশের নাগরিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের অধিকাংশ নাগরিক মুসলিম হওয়ায় এবং ভারত বিদ্বেষী(যৌক্তিক কারণ আছে) হওয়ায় এই ঘটনাকে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে মুসলিমদের উপর নির্যাতন থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×